আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকের রেসিপিটি একটু অন্যরকম ভাবে করার চেষ্টা করেছি। সেটি হল বেলে মাছের ঝুরি ভুনা। বেলে মাছের ঝুরি ভুনা আমি আগে কখনো খাইনি। আজকেই প্রথম করেছিলাম। বাজার থেকে বেশ কিছু বেলে মাছ নিয়ে এসেছিল। সেই মাছ ভুনা, চচ্চড়ি করে খেয়েছি। বিভিন্ন রকম ভাবে খাওয়ার পর মনে হল যে এবার একটু অন্যরকম ভাবে রান্নার চেষ্টা করি। প্রথমে একটু চিন্তায় ছিলাম যে এভাবে রান্না করলে কি খেতে আসলেই ভালো লাগবে। রান্না শেষে যখন গরম ভাত দিয়ে খেয়েছি আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছি যে এত মজা হয়েছে। তাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। তাহলে শুরু করি।
বেলে মাছ--৪ টি
পিঁয়াজ--৩ টি
কাঁচামরিচ-- ৪ টি
পেঁয়াজ বাটা --১ টেবিল চামচ
আদা বাটা --১/২ চা চামচ
রসুন বাটা --১/২চা চামচ
হলুদের গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া--১/২ চা চামচ
জিরা গুঁড়া--১চা চামচ
ধনিয়া গুড়া--১চা চামচ
ধনেপাতা --পরিমাণমতো
লেবু--১ টুকরা
সরিষার তেল-- পরিমাণমতো
লবন-- পরিমাণমতো
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে বেলে মাছ দিয়ে দিয়েছি। তারপর হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
মাছ প্রায় সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন মাছের পানি শুকিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
মাছগুলো ঠান্ডা হলে কাটা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এখন চুলায় আরেকটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি। পিঁয়াজ মরিচগুলো ভালোমতো ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। গুড়া মশলাগুলো দিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মসলাগুলো কষিয়ে নিয়েছি। তারপর কাটা ছাড়ানো মাছগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
মাছগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভালো মতো ভেঁজে নিয়েছি। তারপর রান্না প্রায় শেষের দিকে আসলে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিয়েছি। তারপর এক টুকরা লেবু চিপে রস দিয়ে দিয়েছি।
এখন সবকিছু ভালোমতো মিশিয়ে আবারো কিছুক্ষণ ভেঁজে নিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photography | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
খুবই ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু, এবং এটি কখনো এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন ফ্যামিলি সবাইকে নিয়ে সব সময় কামনা করি
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য। আপনিও ভালো থাকবেন পরিবার নিয়ে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু দোয়া রাখবেন এবং আপনার জন্য ও অনেক অনেক দোয়া থাকবে ভাল থাকেন সবসময়।
বেলে মাছ অনেক নরম একটি মাছ এই মাছ এভাবে ঝুড়ি করে খেলে মনে হয় ভালই লাগবে খেতে। আপনি ভালই তো নতুন একটি রেসিপি ট্রাই করেছেন যেটা দেখে মনে হচ্ছে যে খুব মজা হয়েছে। গরম ভাত দিয়ে এ ধরনের খাবারগুলো খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে ।আপনার কাছ থেকে বেলে মাছের ঝুড়ি রেসিপিটা আমি শিখে নিয়েছি একদিন আমি এভাবে করে ট্রাই করবো।
ঠিকই বলেছেন আপু গরম ভাত দিয়ে এই বেলে মাছের ঝুরি ভুনা খেতে খুবই মজা লেগেছিল। আপনিও বাসায় একবার রান্না করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে বলবো আপু বেলে মাছের নাম আমি প্রথম শুনলাম ৷যাই হোক বেলে মাছ দিয়ে সুন্দর একটি ঝুড়ি ভুনা রেসেপি আমার কাছে অনেক সুস্বাদু মনে হয় তা দেখে বোঝা যাচ্ছে
কি যে বলেন ভাইয়া এই মাছ তো খুবই কমন একটি মাছ। আপনি প্রথম শুনলেন জেনে অবাক হলাম। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বেলে মাছের ঝুরি ভুনার রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। বেলে মাছ খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু
আমার রেসিপি দেখে যেহেতু লোভ লেগে গিয়েছে সেহেতু ভাইয়া আপনি বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।
বেলে মাছের ঝুরি ভুনার চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটি আমার মা মাঝে মাঝেই বাসায় বানায়। আমার বাবা পছন্দ করে জন্য। আপনি আবার ধনেপাতা দিয়েছেন তাতে করে আরো সুন্দর একটা গন্ধ বের হয়েছে বলে মনে করি। নিশ্চয়ই খেতেও মজা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
এই রেসিপিটি এবার আমি প্রথম রান্না করেছিলাম। খেতে আসলেই অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
বেলে মাছ খেতে আমি খুব পছন্দ করি। তাই মাঝেমধ্যেই বড় সাইজের বেলে মাছ বাজারে দেখলে কিনে নিয়ে আসি। সবসময় আমি কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ দিয়ে ভুনা করে খেতেই বেশি পছন্দ করি। কিন্তু কখনো এরকম ভাবে ঝুরি ভুনা করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। বেলে মাছের ঝুরি ভুনা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেলে মাছ আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। সেজন্য একটু অন্যরকম করে রান্নার চেষ্টা করেছি। আসলেই খেতে খুবই মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
এমন এক সময় ছিল, ছোটবেলার কথা যখন গ্রামে যেতাম মাছ ধরার সময় লক্ষ্য করতাম বেলে মাছ জালে উঠলে নিতই না আর এখন কি মূল্য।
বেলে মাছের সুস্বাদু লোভনীয় এবং মজাদার ঝুড়ি ভাজা প্রস্তুত করেছে।। দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয় খুব মজা হয়েছিল স্পেশালি লেবু দেওয়ার কারণে মনে হয় খেতে বেশি মজা হবে।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া লেবু দেয়ার কারণে এর স্বাদ আরো অনেক বেড়ে গিয়েছে আমার মনে হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুবই মজাদার একটি বেলে মাছের ঝুড়ি ভুনা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বিলে মাছের এরকম ঝুড়ি ভুনা আমি কয়েকবার খেয়েছি খুবই সুস্বাদু লাগে আমার কাছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম বেলে মাছের ঝুরি ভুনা খেতে খুবই মজাদার হয়। আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বেলে মাছটা বেশ নরম এবং বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। বেলে মাছের ঝুড়ি ভুনা রেসিপি টা কী আপনার আবিষ্কৃত আপু। এইরকম রেসিপি আমি প্রথমবার দেখলাম। বেশ চমৎকার বলতেই হয়। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।।
না ভাইয়া আমি আবিষ্কার করিনি । ইউ টিউব থেকে দেখে শিখেছি। তাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।