অনেকদিন পর নিজের ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি শেষ পর্ব(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
সেদিন আপনাদের সঙ্গে আমার ক্যাম্পাসের ডিগ্রী শাখার কিছু ছবি শেয়ার করেছিলাম। ডিগ্রি শাখায় ঘোরাঘুরি করার পর আমাদের মনে হল যে বসে বসে গল্প করব এর থেকে ভালো একটি রিকশা নিয়ে অনার্স শাখা থেকে ঘুরে আসি । পুরনো স্মৃতি মনে পড়বে। যেই ভাবা সেই কাজ। একটি রিকশা নিয়ে চলে গেলাম অনার্স শাখায়। আমরা বিকালের দিকে গিয়েছিলাম যার কারণে কলেজ একদমই ফাঁকা ছিল। আর কলেজে গিয়ে নতুন একটি বিষয় দেখলাম আমরা আগে যেই রাস্তা দিয়ে ঢুকতাম সেই রাস্তা বাদেও নতুন একটি রাস্তা করেছে ঢোকার জন্য।
আকাশে অনেক মেঘ ছিল ছবিতে নিশ্চয় দেখতে পারছেন। তাছাড়া ক্যাম্পাস অনেক ফাঁকা ছিল এজন্য আমরা বেশি ভিতর দিকে না গিয়ে আমার ডিপার্টমেন্টের সামনে দিয়ে ঘুরে চলে এসেছি । নিচের বিল্ডিং আমার ডিপার্টমেন্ট এর বিল্ডিং। নিচতলায় সমাজবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট। আর তিন তলায় ছিল আমাদের অর্থনীতি ডিপার্টমেন্ট ও সমাজ কল্যাণ ডিপার্টমেন্ট।@tauhida,@wahidasuma আপনাদের ডিপার্টমেন্ট।
ডিপার্টমেন্টের সামনে একটি বকুল ফুল গাছ লাগিয়েছে। যা আমাদের সময় ছিল না। গাছটি বকুলফুলে ভর্তি ছিল। এত সুন্দর ঘ্রাণ বেশ কিছুক্ষণ ওখানেই দাঁড়িয়েই ছিলাম।
ডিপার্টমেন্টের সামনে বিশাল মাঠ। এত সুন্দর সবুজ ঘাস ছিল যে মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো পরিবেশ।
দূরে যে বিল্ডিংটি দেখতে পারছেন সেটি আমাদের মেয়েদের কমন রুম ছিল। হাতে গোনা দুই একবার ছাড়া এই কমনরুমের আর গিয়েছি কি না মনে পড়ে না। আসলে ওখানে তেমন কিছুই ছিলনা এজন্য খুব একটা যাওয়া হতো না।
সবশেষে আমাদের যুদ্ধের ময়দান। এখানে এসে বাসগুলো দাঁড়াতো আর আমাদের যুদ্ধ শুরু হতো বাসে ওঠার জন্য । এত ভিড় থাকতো যে যুদ্ধ না করে বাসে উঠা যেত না। তখন খারাপ লাগতো। কিন্তু এখন মনে পড়ে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে।
এই ছিল আমার আয়োজন। আজকের পোস্টটি করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। লেখার সময় একটি আনন্দ কাজ করছিল মনের মধ্যে। আর বারবার মনে হচ্ছে আবার যদি সেই সময় ফিরে যেতে পারতাম। তা তো কোনভাবেই সম্ভব না ।
আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্ট দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
| Photography | @tania |
|---|---|
| Phone | oppo reno5 |
| Location | Link |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
আপনার ক্যাম্পাস অনেক সুন্দর। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এর সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ছবিগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন্ম আপনার পোস্ট বেশ ভালো লাগে আমার।
আসলেই ভাইয়া ক্যাম্পাসটি যে এত সুন্দর এই বার গিয়েই বুঝতে পারলাম। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
দীর্ঘদিন পর আমার কলেজের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। সমাজবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট দেখেই বুকের ভেতরটা কেমন যেন মোচর দিয়ে উঠল। কত মধুর স্মৃতি রয়েছে আমার এই ডিপার্টমেন্টে ।আজ সেগুলো শুধুই স্মৃতি ।দীর্ঘ কয়েক বছর দেখি নি প্রিয় ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে সত্যিই খুবই ভালো লাগলো। সময় করে কখনো যাওয়া হয় না ক্যাম্পাসে।নিশ্চয়ই যাবো একবার ভাবছি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনি কলেজের এত কাছাকাছি থেকেও যেতে পারেন না যা আসলেই দুঃখজনক। সময় করে একসময় গিয়ে ঘুরে আসবেন খুব ভালো লাগবে । আমার তো খুবই ভালো লেগেছিল গিয়ে।
নিজের ক্যাম্পাসে এইভাবে ঘোরার মজাই আলাদা। আপনার ক্যাম্পাসটা খুব সুন্দর আপু। কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে আপনার এখানে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার ক্যাম্পাসের এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো আপু।
আসলে আপু কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে তা বলে শেষ করা যাবে না। বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছি এখানে। আসলে সময়টি এখন অনেক মিস করি।
নিজের ক্যাম্পাসের ছবিগুলো দেখলে কেবল পুরাতন দিনের সেই স্মৃতিময় দিনগুলো কথাই মনে পড়ে। আর বর্ষার মৌসুমে চারদিকে সবুজে চেয়ে গেছে। দেখতে দারুণ লাগছে, আর বকুল ফুলের গাছের ফটো গ্রাফিটি সত্যি দারুন ছিল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্ষাকাল হওয়ার কারণে চারপাশে গাছ গাছালি সবুজে ভরে গিয়েছিল। দেখতে আরো বেশি চমৎকার লাগছিলো।
আপনার ক্যাম্পাসের ফটোগ্রাফির গুলো বেশ সুন্দর ছিল। অনেকদিন পর আপনি আপনার ক্যাম্পাস ঘোরাঘুরি করেছেন নিশ্চয় আপনি খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনার ক্যাম্পাসে। আপনার ক্যাম্পাসটা কিন্তু সত্যি খুব সুন্দর ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার ক্যাম্পাসে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক ধরেছেন আপু সময়টি আসলেই খুব ভালো কাটিয়েছিলাম। পুরনো স্মৃতিগুলো সব মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ছিল।
অনেকদিন পর আপনার ক্যাম্পাসে গিয়ে আপনি দারুন সময় উপভোগ করেছেন এবং অনেক চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে আপনার ক্যাম্পাস অনেক সুন্দর। আসলে নিজের ক্যাম্পাসে গেলে মনটা এতটাই প্রশান্ত হয়ে যায় যা বোঝানো যাবে না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার ক্যাম্পাসে কাটানো মুহূর্তগুলো বিস্তারিত ভাবে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। তৌহিদা আপুও ওয়াহিদা সোমা আপু আপনারা কি এক সাথে পড়েন?? যাইহোক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু.
না আপু তৌহিদা আপু এবং সোমা আপু আমরা একসঙ্গে পড়ি নি। ওনারা আমার সিনিয়র ছিলেন। একই কলেজে পড়েছি আমরা সবাই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
শিক্ষা জীবনে কলেজ লাইফটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জীবনে মূলত আমরা কলেজ লাইফেই সঠিক দিক নির্দেশনা পেয়ে থাকি। আর তাই অনেকদিন কেন অনেক বছর পরে গেলেও নিজের এই প্রিয় ক্যাম্পাস আবার নতুন করে ভালো লাগে। তবে আপনার কলেজ ক্যাম্পাসটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনি যে বকুল ফুলের গাছের কথা বলেছেন আপনার মত আমারও সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে। আপনার আনন্দের জায়গাটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে এই কলেজে থাকাকালীন বুঝতে পারিনি যে কলেজটি এত সুন্দর ছিল। এবার গিয়ে কেন যেন অনেক বেশি ভাল লেগেছিল। বকুল গাছটি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছিল। ফুল দিয়ে ভর্তি ছিল যার কারণে চার পাশ ঘ্রানে মো মো করছিল।
অনেকদিন পরে নিজের ডিপার্টমেন্ট এর ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো। নিজের কলেজ ক্যাম্পাসের ছবি গুলো আসলেই দেখলে পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। কলেজের বেশ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে ।বকুল ফুল গাছটা তো আসলেই সুন্দর লাগছে যা আমাদের সময় ছিল না। সত্যি আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে।
আমি যখন কলেজে গিয়েছিলাম আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছিলো। একদম পুরনো স্মৃতিগুলো সব মনে পড়ে গিয়েছিল। খুব মিস করছিলাম কলেজকে। পুরোনো দিনে ফিরে যেতে মন চাচ্ছিল।
কবে গিয়েছিলেন কলেজে? আগে বলল সংগ দিতাম। নাকি ভাইজান ছিল আপনার সাথে। তবে সত্যি বলতে কি অনেকদিন পর পুরাতন জায়গায় গেলে কেমন একটা নষ্টালজিক ভাগ কাজ করে। ভালোই লাগলো আপনার ক্যাম্পাস ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
সেইদিনই তো গিয়েছিলাম ভাইয়া। আপনাকে তো বললাম। একটুর জন্য আপনার সঙ্গে দেখা হয়নি । আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে গিয়েছিলাম । আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করলে হয়ত দেখা হয়ে যেত ক্যাম্পাসে।