কাঁচা আমের জেলি তৈরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আপনাদের সঙ্গে মজার একটি রেসিপি শেয়ার করবো। সেটি হল কাঁচা আমের জেলি। জেলি খেতে মোটামুটি সবাই পছন্দ করেন। বিশেষ করে বাচ্চারা জেলি খেতে খুবই পছন্দ করে। পাউরুটি অথবা টোস্ট বিস্কুটের সঙ্গে খেতে খুব ভালো লাগে। সবসময় বাজার থেকে কিনে জেলি খাওয়া হয়। কখনো বাসায় বানানো হয়নি। তাই এবার একটু অন্যরকম ভাবে কাঁচা আম দিয়ে জেলি তৈরি করেছি। আমি প্রথম জেলি তৈরি করলাম। বানানোর আগে বুঝতে পারিনি যে এত সুন্দর হবে। ভাবছিলাম যে বানাতে পারব কিনা। কিন্তু বানানোর পর দেখলাম যে একদম বাজারে কেনা জেলির মত হয়েছে। খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। আপনারা বাসায় চাইলে এভাবে জেলি বানিয়ে খেতে পারেন।
চিনি
ভিনেগার
সবুজ ফুড কালার
পানি
লবণ
প্রথমে আমগুলোকে গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে নিয়েছি। তারপর একটি কাপে মেপে ফ্রাইপ্যানে দিয়ে দিয়েছি। যতটুকু আম দিয়েছি তার ডাবল পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
আমগুলো ফুটতে শুরু করলে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিয়েছি। পানি যখন অর্ধেক হয়ে যাবে আমগুলো সিদ্ধ হয়ে তখন চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এখন একটি ছাঁকনি দিয়ে আমগুলো ছেঁকে পানিটুকু নিয়ে নিবো।
![]() | ![]() |
---|
আমের পানি টুকু আবারও কাপ দিয়ে মেপে ফ্রাইপ্যানে নিয়ে নিয়েছি। যতটুকু পানি হবে ঠিক ততটুকু চিনি দিয়েছি। চিনিগুলো গলে গেলে প্রথমে ভিনেগার এবং পরে ফুড কালার দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
নাড়তে নাড়তে আমগুলো যখন ঘন হয়ে যাবে তখন চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
গরম থাকতে একটি বয়ামে ঢেলে নিয়েছি যাতে এর মধ্যে সেট হয়ে যায়। এখন সাত-আট ঘন্টার জন্য এভাবেই রেখে দিবো।
সাত আট ঘন্টা পর আমার জেলি সেট হয়ে গিয়েছে। দেখতেই পারছেন একদম বাজারের কেনা জেলির মত হয়েছে। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ । সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপু, যে রাধে সে চুলও বাধে, আপনি তাই প্রমাণ করে দিলেন। কেননা আপনি এই প্রথমবার কাঁচা আমের জেলি তৈরি করেছেন। আর প্রথমবারেই কাঁচা আমের জেলি তৈরি করে বাজিমাত করে ফেললেন। আপনি নিজেও ভাবতে পারেননি শেষ পর্যন্ত কাঁচা আমের জেলি ঠিকঠাক হবে কিনা। তবে আপনার রন্ধন প্রণালী দেখে কিন্তু বোঝাই যাচ্ছিল, কাঁচা আমের জেলি খেতে খুবই মজার হবে। যাইহোক আপু, একদম বাজারে কেনা জেলির মত, কাঁচা আমের জেলি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রথম বানিয়েছিলাম জন্য একটু ভেবেছিলাম বানাতে পারবো কিনা। পরে দেখলাম যে একদম পারফেক্ট হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাঁচা আমের জেলি তৈরি। দেখে মনে হচ্ছে আপনি বেশ সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন আপু। আসলে এগুলো তৈরি করতে হলে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে কাঁচা আমের জেলি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এগুলো তৈরি করতে অনেক সময় এবং ধৈর্য লাগে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আরে বাহ্ আপনি তো দেখছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুবই সুন্দর ভাবে কাঁচা আমের জেলি তৈরি করে ফেলেছেন একেবারে বাজারের মতো করে। আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম আপনি হয়তো বাজার থেকে নিয়ে এসেছেন এবং আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন। আসলে একেবারে বাজারের জেলির মত লাগছে এটি দেখতে। আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে জেলি তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আমার কাছে।
দেখতে এবং খেতে একদম বাজারের কেনা জেলির মত হয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
জেলি বানানো এত সহজ! আর এটা বাজার থেকে এত দাম দিয়ে কিনি!! রীতিমত অবাক করার মত। বেশ ভালো লাগলো দেখে। আচ্ছা আপু এটা তো মনে হয় রিসেন্ট বানিয়েছেন, তার মানে ফুরিয়ে যায় নি, তাই তো? 😉
আরো আগে বলতেন। এখন তো শেষ হয়ে গেছে। সবসময় শেষে কেন আপনি হাজির হন?
জানেনই তো যে আমি উকি দেবই,, তাহলে বেশি করে করেন নাহ্ কেন শুনি!!??? বার বার কেন ভুলে যান আমার কথা?
দারুন রেসিপি তৈরি করছেন তো আপু। অনেকের কাছে জেলি তৈরি করার কথা শুনেছিলাম।চেষ্টা করলে যদিও তৈরি করা যায় তবে কখনো চেষ্টা করিনি। কারণ সব সময় আমের চাটনি, আমের বিভিন্ন রকম আচার তৈরি করেছি। কিন্তু জেলি তৈরি করিনি। করলে হয়তোবা পারতাম। তবে আজকে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি তৈরি করা দরকার।বাজার থেকে কেনা জেলি থেকে এই জেলি স্বাস্থ্যসম্মত এবং সুস্বাদু হবে আশা করি। অসাধারণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আজকে।
আমিও এই প্রথম চেষ্টা করে বানালাম। খুব সহজেই বানানো গিয়েছে। আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁচা আমের জেলি দেখেই খেতে মন চাইছে।অনেক সুন্দর করে বানিয়েছেন আপু।আমি জানতাম জেলি পাউডার ছাড়া এটা সম্ভব নয়।তবে আপনি তো খুবই সুন্দর বাজারের মতো করে তৈরি করেছেন।আমি শিখে নিলাম পরবর্তীতে অবশ্যই ট্রাই করে দেখবো।সবুজ রঙের সঙ্গে অনেক সুন্দর সেট হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে।তাছাড়া পাউরুটি দিয়ে জেলি খেতে দারুণ মজার, ধন্যবাদ আপনাকে।
না আপু এই জেলি বানাতে জেলি পাউডার লাগেনি । কিন্তু একদম কেনা জেলির মত হয়েছে খেতে এবং দেখতেও। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে এভাবে কাঁচা আমের জেলি তৈরি করা যায় এটা কিন্তু আগে জানা ছিল না আমার। এমনি আমি কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম বাজার থেকে কাঁচা আমের জেলি নিয়ে আসবো। আসলে কাঁচা আমের জেলি আমার খুবই পছন্দের। এখন তো দেখছি আমি নিজেও এটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করে নিতে পারব আর বাজার থেকে কেনা লাগবে না। আপনার উপস্থাপনা দেখে শিখে নিলাম কিভাবে তৈরি করতে হবে। ভাবছি দু-একদিনের মধ্যে এটি তৈরি করে নেব। এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
আপু বাজার থেকে কাঁচা আমের জেলি কিনে নিয়ে আসার থেকে এভাবে বানিয়ে নিবেন। খুব সহজে এবং স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে বানাতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁচা আমের জেলি তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বাজার থেকে কিনে আনা জেলির মতই লাগছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সহজ ও সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কাঁচা আমের জেলি তৈরি করে যেহেতু খাওয়া হয় নাই তাহলে অবশ্যই একবার বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন । খুবই ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
জেলি বানানোর রেসিপি টা দেখে অনেক ভালো লেগেছে আপু বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে জেলি খেতে। এত সহজে যদি বাসায় জেলি তৈরি করা যায় তাহলে বাজার থেকে এনে খাওয়ার কি দরকার। ঘরে তৈরি করে ফ্রেশ খাবার খেতে পারলে অনেক ভালো। আপনার রেসিপি দেখে তৈরি করে দেখতে হবে বাসায়। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর রেসিপি শেয়ার করলেন ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন আপু জেলি বাচ্চারা খুবই পছন্দ করে। এভাবে বাচ্চাদেরকে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে ঘরে তৈরি করে দিলে খুবই ভালো হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।