ইনানী বীচে ঘোরাঘুরি ও কিছু ফটোগ্রাফি(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হলাম আপনাদের সামনে ইনানী বীচের কিছু ছবি নিয়ে। ইনানী বীচ আমার কাছে সবসময় বেশি পছন্দের ছিল। কিন্তু গত কয়েক বার কক্সবাজারের ইনানী বীচে যাওয়া হয়নি। লাস্ট বার যখন গিয়েছিলাম সেবার অনেক পাথর ছিল এবং জায়গাটিও খুব চমৎকার লাগতো দেখতে। এইবার অনেকদিন পর খুব উৎসাহ নিয়ে গিয়েছিলাম ইনানী বীচে। কিন্তু গিয়ে আমি খুবই হতাশ হয়েছি। পাথরগুলো একটিও নেই। ওখানকার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম তারা বলল যে পাথর অনেক ভিতরের দিকে চলে গিয়েছে। ভাটার সময় কিছু কিছু দেখা যায়। কিন্তু জোয়ারের সময় কিছুই দেখা যায়না। ইনানী বীচে পাথরগুলো ডুবে যাওয়ায় আর আগের মত অত সুন্দর লাগেনি আমার কাছে।
এই ছবিটি আমি ইনানী বিচের যাওয়ার আগে ব্রিজের উপর বসে তুলেছি। নিচ দিয়ে নদী বয়ে যাচ্ছে। অসম্ভব সুন্দর একটি পরিবেশ ছিল। এর পানি এত পরিষ্কার ছিল যে পানির নিচের সবকিছু দেখা যাচ্ছিল।
এগুলো ইনানী বীচে ঢোকার আগে রাস্তার সাইডে কিছু দোকানের ছবি।
প্রথম ছবিটি আমি ওই দূরের ব্রিজের উপর বসে তুলেছি।
আমরা গাড়ি থেকে নামার পর যখন বালিতে পা রাখলাম তখন বালি এত গরম ছিল যে পা রাখা যাচ্ছিল না। বাচ্চাদের নিয়ে পানি পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া খুবই কষ্টকর মনে হচ্ছিল। তখন আমরা এই গাড়িগুলো দেখতে পেলাম। পরে গাড়িতে করে পুরা ইনানী বীচে একটা চক্কর দিয়ে তারপরে নামলাম। সামনে যে কলা দেখতে পাচ্ছেন এগুলো পাহাড়ি কলা। এই কলাগুলো আমরা খেয়েছি। খুবই মজা ছিল কলাগুলো।
ইনানী বীচের ঢেউগুলো অনেক বেশী বড় বড় মনে হয়েছে আমার কাছে। আর পানিগুলো পাড়ে আছড়ে পড়ার পর এত ফেনা হচ্ছিল যে দেখতে ভালো লাগছিল। আপনার নিশ্চয়ই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
এই ছবিতে কিছুটা ঢেউ দেখা যাচ্ছে।
আকাশের ছোপ ছোপ মেঘ জমেছিল। কিন্তু তারপরও খুবই গরম ছিল ওই দিন।
এই ছিল আমার ইনানী বীচের ঘোরাঘুরি এবং কিছু ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
ইনানী বীচের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছিলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে হারিয়ে যাই। আমার সমুদ্র সৈকত অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ছবিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি মনে হয় ছবির লোকেশন এড করতে ভুলে গেছেন। লোকেশন এড করে দিয়েন।
লোকেশন দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। মনে করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার ইনানী বিচ ঘোরাঘুরি করার পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আমিও কয়েকবার কক্সবাজার গিয়েছি কিন্তু ইনানী বিচ যাওয়া হয়নি। আপনার পোষ্ট থেকে দেখে ভালই লাগছে। তাছাড়া আপনার ফটোগ্রাফির তো কোন তুলনাই হয়না। আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটা মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কি বলেন আপু কক্সবাজারে গিয়েছেন আর ইনানী বীচে জাননি। তাহলে তো খুব মিস করে ফেলেছেন। পরেরবার গেলে অবশ্যই ইনানী বীচে ঘুরে আসবেন। খুব ভালো লাগবে।
ইনানী বিচে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আমিও যেবার গিয়েছিলাম সেবার পাথর দেখতে পাইনি যদিও আমি একটু দেরি করে গিয়েছিলাম সেজন্য পাথর দেখিনি। এখানের পাথরের অনেক গল্প শুনেছি। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। পানির ঢেউ দেখে মনে হচ্ছে একেবারে ফেনা ফেনা হয়ে আছে খুব ভালো লাগছে দেখতে।
আমিও অনেক আশা নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে হতাশ হয়েছি পাথরগুলো না পেয়ে। লাস্ট বার বার গিয়েছিলাম সেবার অনেক পাথর ছিল। যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটিতে সময় দেওয়ার জন্য এবং আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
আমার কখনো কক্সবাজার যাওয়া হয় নাই আপু। তবে আপনি কয়েকবার কক্সবাজার গিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগে। ইনানী বিচ সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন এবং আপনার দুইবারের পার্থক্য গুলো তুলে ধরেছেন । কক্সবাজারের এই অপরূপ সৌন্দর্য খুব উপভোগ করতে চাই আপু ।
ইনশাআল্লাহ আপু ইচ্ছা থাকলে খুব শীঘ্রই এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আপনি খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন ৷ যা দেখে ইনানি বীচের সম্পর্কে বেশ ভালো ভাবে দেখলাম ও বুঝলাম ৷যদিও কখনো যাই নি তবে আশা করছি আমিও একদিন সেই জায়গায় যাবো ৷কি সুন্দর পরিবেশ সমুদ্রের কি সুন্দর ঢেউ সাথে মুক্ত বাতাস সত্যি মন ভরে যাওয়ার মতো ৷আমি এখান থেকেই উপলদ্ধি করতেছি ৷
ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ইচ্ছা থাকলে এক সময় অবশ্যই যেতে পারবেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি যখন গিয়েছি তখন ইনানি বিচ এত সুন্দর ছিলনা, তখন সেখানে পাথরে বরপুর ছিলো। তবে এখন দেখতে পাচ্ছি খুব চমৎকার বিচ হয়ে গেছে এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক দারুন হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
যখন পাথর ছিল তখন দেখতেই তো বেশি ভালো লাগতো আমার কাছে। এখন তখনকার মত অত সুন্দর লাগেনি আমার কাছে।
কি বলেন আপু তখন তো হাটাই যেত না। কষ্ট করে করে লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটতে হতো। অথবা কোন জায়গা দিয়ে সচরাচর পথ হয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে হতো। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
ইনানি বিচ ঘুরে আপনি খুব সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি করল এবং সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ইনানী বীচে যাওয়ার সময় করা ভিডিও।
কবে গিয়েছিলেন?
আসলে এই রাস্তা দিয়ে সারাদিন চললেও ক্লান্তি আসবে না। এত সুন্দর।
কি দেখালেন? আমার তো আবার যেতে ইচ্ছা করছে।
গিয়েছিলাম গতবছর আগস্ট মাসের দিকে। প্রথমে কক্সবাজার তারপর বান্দরবান। দুই জায়গায় ঘুরে তারপর এসেছিলাম।
এটা নীলগিরি পাহাড়ের উপর থেকে করা ভিডিও। অবশ্য টাইম ল্যাপস করা আছে।
আপনার কাছে আমি নীলগিরির ভিডিও দেখতে চেয়েছি??😡😡
বাচ্চাদের জন্য যেতে পারছি না। আর উনি আসছে ভিডিও দেখতে।😭😭
হা হা। এটা দেখে মজা পাইছি।।
ইনানী বীচ টা আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। কিন্তু আমি যে বার গিয়েছিলাম সেবার ইনানী বীচের পাথরগুলি দেখেছিলাম। আসলে পাথরগুলি না থাকলে ইনানী বীচ ততটা ভাল লাগেনা ।খুব ভোরে যেতে হয় এই জায়গায় ।ভোরের দিকে পাথরগুলি দেখা যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব চমৎকার হয়েছে ।আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনি।ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ছোট বাচ্চা নিয়ে ভোরে যাওয়া তো সম্ভব নয় আপু। তাহলে পাথর দেখার জন্য ইনানী বিচের আশেপাশে হোটেল গুলোতে এক রাত থাকতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।