একদিন আড়ং এ কিছু কেনাকাটা।(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে সমস্যা। শীতের শুরুতে একবার জামা কাপড় কিনতে হয় আবার গরমের শুরুতেই একবার কিনতে হয়।কারণ শীত আসলেই গরমের গুলো উঠিয়ে রাখা হয় আবার গরম আসতে আসতে সেগুলো ছোট হয়ে যায়। আবার গরম আসলে একই অবস্থা শীতের গুলো উঠিয়ে রেখে শীতের গুলো ছোট হয়ে যায়। গরম তো প্রায় চলে আসলো তাই ভাবলাম যে যাই বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে আসি। আগেই বলেছি আমার বাসার পাশেই যমুনা ফিউচার পার্ক। আমি কেনাকাটা করার জন্য ওখানেই যাই সব সময়। আজকে যখন মার্কেটে গিয়েছিলাম তখন অলরেডি সাড়ে সাতটা বাজে। আটটায় যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ২১শে ফেব্রুয়ারির ছুটি হওয়ার কারণে ঢুকতেই দেখলাম যে এনাউন্সমেন্ট করছে যে আজকে ৯ টায় বন্ধ হবে। শুনে খুশি হয়ে গেলাম। যাই হোক কিছুটা সময় পাওয়া যাবে বাচ্চাদের কেনাকাটা করার জন্য। বাচ্চাদের কেনাকাটা করার জন্য ঘুরতে ঘুরতে একটি দোকানে ঢুকলাম। বাচ্চাদের কাপড় তেমন পেলাম না কিন্তু বাচ্চার বাবা শুরু হলো কেনাকাটা। বাচ্চাদের বাবার আবার শপিং খুব পছন্দ। মার্কেটে গেলে আর কেউ কিছু কিনুক আর না কিনুক তাকে কিছু না কিছু কিনতেই হবে। কিন্তু একথা বললে কখনোই স্বীকার করবে না😏। যাইহোক বাচ্চাদের বাবা বেশ কিছু টি শার্ট কেনার পর তখন ঘড়িতে বাজে সাড়ে আটটা। দেখলাম যে মার্কেট বন্ধ হতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় আছে। তাই আর এদিক সেদিক না ঘুরে ঢুকে গেলাম আড়ং। আড়ং থেকে বড় টার জন্য কিছু গেঞ্জি কিনে বেরিয়ে পরলাম। ছোটটার জন্য আর কিছু কেনা হলো না। আপনাদের সঙ্গে আড়ং এর কিছু ছবি শেয়ার করছি। যদিও আড়ং এ ছবি তোলা ও ভিডিও করা নিষেধ তারপরও আমি কিছু ছবি তুলেছি😜।
এই গাছগুলি আড়ং এর ক্যাশ কাউন্টারের সামনে রাখা। এগুলো বিক্রির জন্য। খুব চমৎকার চমৎকার ইনডোর গাছ এখানে রয়েছে। দাম ও মোটামুটি কম মনে হয়েছে আমার কাছে।
এইখানে কিছু বসার টুল রয়েছে। টুলগুলো দেখতে বেশ সুন্দর। আপনার চাইলে এগুলো কিনে ড্রইং রুম সাজাতে পারেন।
এই জায়গাটায় টুকটাক কসমেটিকস রয়েছে। এগুলোও ক্যাশ কাউন্টারের সামনেই।
লেডিস ব্যাগের কাউন্টার এটি। আপনারা চাইলে বিভিন্ন ধরনের লেডিস ব্যাগ এখান থেকে কিনতে পারবেন।
বিভিন্ন ধরনের আয়না এখানে পাওয়া যায়।
এটি একটি মোমবাতির কাউন্টার। এখানে এত সুন্দর সুন্দর মোমবাতি পাওয়া যায় যে দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করে। আমি তো প্রতিবার গেলেই কিছু মোমবাতি কিনে নিয়ে আসি।
আমাদের কেনাকাটা শেষ আমরা এখন বিল দিচ্ছি।
বাইরে আসার পর সানগ্লাসের দোকান দেখে আমার ছোটটার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। চশমা না কিনা সে বাসায় আসবে না। অবশেষে তাকে একটি সানগ্লাস কিনে দেওয়ার পরে ঠান্ডা হয়।
এই হল আমার বড় বাচ্চার এবং বাচ্চার বাবার কেনাকাটা আজকের।
এই ছিল আমার আজকের দিনের কেনাকাটা। আশাকরি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভাল লেগেছে। এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
বাংলাদেশে গিয়ে আমিও আড়ং এর আউটলেটে গিয়েছিলাম। সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। সব কিছু এত সুন্দর করে ডিসপ্লে করা থাকে। দেখে ইচ্ছে করে যে সব গুলোই বাড়ি নিয়ে যাই। আর কালেকশন গুলোও বেশ ভালো। আপনার শপিং এর গল্প পড়ে বেশ মজা লাগলো। ছোট বাচ্চাদের জামা কাপড় এক বছর থেকে দুই বছর চলবে তার পরেই আবার নতুন। হিহিহিহি। ব্যাপারটা বেশ লাগে আমার। আর আমাদের জামাইবাবু যে এত শপিং প্রিয় এটা খুবই ভালো লেগেছে আমার। 😊
কি বলেন আপু আপনাদের জামাইবাবু তো কোন শপিংই করেনি। তাকে বললে সে এই কথা বলবে। সে কখনোই স্বীকার করে না যে সে অনেক শপিং করে।
ধন্যবাদ আপনাকে পাশে থাকার জন্য।
আড়ং এর প্রতিটি প্রোডাক্ট অসাধারণ দেশীয় প্রডাক্ট হিসেবে এর গুণগত মান খুবই ভালো।আমি মাঝে মাঝে আড়ং এ শপিং করতে যায় ।এতগুলো টি-শার্ট কিনেছেনব ওয়াও ।আপনি খুব সুন্দর ভাবে শপিং করার অনুভূতি ও অভিজ্ঞা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু যে কথা শোনালেন আমিতো এখন চিন্তায় পরে গেলাম কারণ আর খুব বেশি একটা দিন নেই আমার ঘরেও একটা টুনটুনি আসতে যাচ্ছে। মোমবাতি গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। আপু প্রতিটি টি-শার্ট অনেক সুন্দর ছিল সবগুলোই খুব কালারফুল। আপনার ছোট বাচ্চার সানগ্লাস কিনার পাগলামিটা খুব ভাল ছিল হাহাহাহা।
এত সুন্দর একটি সুখবর এতদিন পরে দিলে কিভাবে হবে। যাই হোক আপনাদের দু'জনকেই অভিনন্দন। খুব ভালো লাগলো সুখবরটি শুনে। আমার পোস্টটি পড়ে একটু হলেও আপনার উপকারে লাগলো তাহলে।
কি আর বলব উপকার মানি পুরাই উপকার হয়েছে ।আমি তো খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম কারণ ভোট যা পাবো তা তো কাপড় কিনতে কিনতে ফকির হয়ে যেতে হবে হাহাহাহা। এই আমি চাই না এই আমি মানতে পারবো না কোনদিনও না কোনদিনও না হাহাহাহাহা। দোয়া করবেন আমার ট্যাবলেট এর জন্য তার এখন ছয় মাস চলে।
সমস্যা নেই। বাবার কাপড়ের ব্যবসা আছে। ঐখান থেকে দুই একটা রেখে দিলেই হবে।
ভাইয়া তো বেশ মজার মানুষ মনে হচ্ছে। আগে জানতাম মেয়েরাই শুধু শপিং করতে ভালোবাসো আজ শুনলাম বিপরীত ধরনের লোক ও আছে। যাইহোক আমার বাসাতেও একই সমস্যা। ছোট বাচ্চাদের কাপড় আসলে বেশিদিন ব্যবহার করা যায় না। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
আপনাদের ভাইয়া যে এত শপিং করে এটা সে মনেই করে না। কিন্তু তার শপিংয়ের খুব নেশা। কত নতুন কাপড় চোপরের ভাঁজই যে এখনো খুলে নাই তার কোন ঠিক নেই। তারপরও শপিং এ গেলে বাচ্চাদের মত তার কিছু না কিছু কিনতেই হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া পাশে থাকার জন্য।