হাসবেন্ড এর অফিসে ফ্যামিলি প্রোগ্রামে একদিন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে আমার হাজবেন্ডের অফিসে ফ্যামিলি প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে সবাই মিলে গিয়েছিলাম। আপনার হয়তো জানেন যে আমার হাসবেন্ড গ্রামীণফোনে চাকরি করে। বাসার পাশে অফিস হলেও আমার ভিতরে কখনো আগে ঢোকা হয়নি। সেদিন অনুষ্ঠানে গিয়ে পুরো অফিসটি ঘুরে দেখলাম। এত বিশাল অফিস আগে কখনো দেখিনি। সবসময় বাইরে থেকেই দেখেছি। আমরা যখন রাজশাহী ছিলাম তখন রাজশাহীতে বিভিন্ন অকেশনে অফিসে প্রোগ্রাম হত। তখন রাজশাহীর অফিসে নিয়মিত যাওয়া হতো। কিন্তু ঢাকার অফিসে এরকম প্রোগ্রামের খুব একটা আয়োজন করে না। আয়োজন করলেও আমার যাওয়া পরেনি।। যেহেতু আমার শ্বশুর-শাশুড়ি রংপুর থেকে বাসায় এসেছেন। তাই তাদেরকেও নিয়ে গিয়েছিলাম তারা তো ছেলের অফিস জিপি হাউসে গিয়ে খুবই খুশি হয়েছিল।
শুরুতেই লাল গালিচায় আমাদেরকে অভ্যর্থনা জানালো। সামনে সবাই ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। ঢোকার সময় সবাইকে ফুল এবং বাচ্চাদেরকে চকলেট দিয়ে বরণ করে নিয়েছে। তারপর আমরা অফিসটি ঘুরে দেখলাম। এই অফিসের কি নেই আমার তাই মনে হচ্ছিল বারবার। নিচের ছবিটিতে পানির ফোয়ারা দেখতে পাচ্ছেন। আমরা যখন গিয়েছিলাম পানির ফোয়ারা বন্ধ ছিল। মাঝেমধ্যে বাইরে থেকে দেখেছি। খুব সুন্দর লাগে দেখতে।
বাচ্চাদেরকে দাড় করিয়ে এরকম ভিডিওর ব্যবস্থা ছিল এবং সাথে পাশ দিয়ে বাবল বের হচ্ছিলো। বাচ্চারা বাবল নিয়ে খেলছিল আর তারা ভিডিও করছিল। নিচে একটি জায়গা করেছিল ফ্যামিলি ফটো তোলার জন্য। এখানে ফ্যামিলি ফটো তোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রিন্ট করে একটি অ্যালবামে সাজিয়ে দিচ্ছিলো। আমরাও আমাদের একটি ফ্যামিলির ফটো তুলে নিলাম এই সুযোগে।
বাচ্চারা যাতে বোর না হয়ে যায় সেজন্য বাচ্চাদের জন্য এরকম খেলার ব্যবস্থা করেছিল। সব বাচ্চারা এখানে খুব মজা করছিল। তারপর আমরা চলে গেলাম আমার হাসবেন্ড এর ফ্লোরে সে যেখানে কাজ করে। ঘুরে ঘুরে তার কাজের ফ্লোরটি দেখলাম।
আমরা বিকেলের দিকে গিয়েছিলাম। বিকেলে নাস্তার ব্যবস্থা ছিল। বিভিন্ন ধরনের ফ্রুটস, ফুচকা, জিলাপি,পপকর্ন, বাচ্চাদের জন্য হাওয়াই মিঠাই আরো বিভিন্ন ধরনের খাবার ছিল। যে যার মত নিয়ে খাচ্ছিল। তারপর আমরা অডিটোরিয়ামে চলে গেলাম। সেখানে বিশাল স্কিনে গ্রামীণফোনের বিভিন্ন জিনিস দেখালো এবং ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছিল।
অনুষ্ঠান শেষে আমরা চলে গেলাম ক্যান্টিনে। এখানে আমার হাজবেন্ডরা দুপুরের লাঞ্চ করে। সেখানে যাওয়ার পর আমাদের জন্য গিফটের ব্যবস্থা ছিল সেগুলো দিলো। বাচ্চাদের জন্য ও আলাদা গিফ্ট ছিল। রাতের ডিনারের ব্যবস্থা ছিল। আমরা অবশ্য বাসায় নিয়ে চলে এসেছিলাম রাত হয়ে গিয়েছিলো জন্য।
বাসায় এসে গিফট খুলে দেখলাম যে বাচ্চাদের জন্য স্কেল, রাবার, ডাইরি, পেন্সিল কলম আরো এই জাতীয় বেশ কিছু আইটেম ছিল। আর আমাদের গিফটের মধ্যে একটি করে মগ এবং ছোট্ট টবসহ গাছ ছিল। খাবার আইটেমের মধ্যে পোলাও,খাসির মাংস, রোস্ট, টিকিয়া, জর্দা, বোরহানি ও কোল্ডড্রিংক্স ছিল। বেশ ভালই সময় কাটিয়েছিলাম।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ওয়াও লাল গালিচা বিছানো ছিল। ফটোশুট করে নিতেন। 🤭🤭 যাইহোক মডেলদের কে এ কাজ করতে দেখেছি ।
বাচ্চাদের জন্য বেশ ভালো ব্যবস্থা ছিল। খাবারের আইটেমগুলো জোস। সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় অতিক্রম করেছেন তা বোঝাই যাচ্ছে।
ফটোশুট করেছিলাম কিন্তু অন্য জায়গায়। খাবার গুলো আসলেই বেশ মজাদার ছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
লাল গালিচায় অভ্যর্থনা পেলে তো অনেক খুশি হয় সবাই। তবে আপনার হাজবেন্ড গ্রামীন অফিসের চাকরি করে তবে আপনারা কখনো তার অফিসের ভিতরে যান নাই। এই অনুষ্ঠানের কারণে আপনারা ভিতরে যেতে পারলেন এবং ভিতরে পরিবেশ দেখতে পারলেন। আসলে এরকম পরিবেশ দেখলে নিজের কাছে
এবং বাচ্চাদের কাছেও খুব ভালো লাগে। তবে মনে হয় আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি ও অনেক খুশি হয়েছে এই অনুষ্ঠানে সবাই একসাথে অংশগ্রহণ করতে পেরে ।খুব সুন্দর করে অনুভূতিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম অভ্যর্থনা পেলে যে কারো খুশি লাগার কথা। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আজকেই জানতে পারলাম আপু আপনার হাসবেন্ড গ্রামীণফোনে চাকরি করে, এটা আমি আগে জানতাম না। হাসবেন্ডের অফিসে ফ্যামিলি প্রোগ্রামে গিয়ে অনেক মজা করেছেন যা বুঝতে পারলাম। লাল গালিচায় অভ্যর্থনা পাওয়া বেশ দারুন ব্যাপার।অফিসটি অনেক বড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এখানে তো দেখছি সব কিছুই রয়েছে। বাচ্চাদের বিনোদনের জন্যেও অনেক ব্যবস্থা ছিল এই অফিসের মধ্যে যা ফটোটে দেখতে পেলাম।
ছবি দেতো অফিসের আকার কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভিতরের সব কিছুর আয়োজন দেখেই অফিসের আকার সম্পর্কে একটা ধারণা করে নিলাম আপু।
খুবই সুন্দর আয়োজন ছিল ফুল চকলেট দিয়ে লাল গালিচায় অভ্যর্থনা দিয়েছে দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো আর সত্যি বলতে অফিসটা সত্যি খুব সুন্দর ছিল। বাচ্চাদের জন্য খুব সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন আয়োজনটা সত্যি খুব জর্জমকপূর্ণ ছিল। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে। খুব সুন্দর সুন্দর গিফট ও পেয়েছেন দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি আনন্দের মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের জন্যই বেশি আয়োজন করা হয়েছিল। তারা খুবই খুশি হয়েছিল এরকম পরিবেশে গিয়ে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অফিসটা তো আসলেই অনেক বড় । বাববাহ আপনাদেরকে লাল গালিচায় অভ্যর্থনা জানিয়েছে তাহলে আপনারা তো ভিআইপি গেস্ট । ভালই তো বাচ্চাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রেখেছে । সবকিছু মিলিয়ে দারুন লাগলো আমার কাছে । আর এ ধরনের প্রোগ্রামে গেলে ভালোই লাগে। খাবার দাবারগুলো তো অনেক লোভনীয় দেখছি গিফট গুলো দারুন পেয়েছেন ।ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে ।
জ্বী আপু আমরা ভিআইপি গেস্টই ছিলাম। বেশ আয়োজন করেছিল আমাদের জন্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাহ্! অফিসটা তো অনেক বড় দেখছি। আপনাদেরকে তো দেখছি লাল গালিচায় অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য চমৎকার ব্যবস্থা রেখেছে। বাচ্চারা সেখানে দারুণ সময় কাটিয়েছি নিঃসন্দেহে। আপনার শ্বশুর শ্বাশুড়িকে নিয়ে গিয়েছেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সেখানে। সব মিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলেই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম ভাইয়া। অনেকদিন পর এরকম আনন্দ পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।