বড় ছেলেকে বার্গার খাওয়ানোর জন্য রেস্টুরেন্টে যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন পর পর বাচ্চাদের বায়না শুরু হয় যে বাইরের খাবার খাবে। এখনকার বাচ্চাদের কিছুদিন পর পর রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার না খেলে ভালোই লাগে না। প্রতি সপ্তাহে দুই একবার তো রেস্টুরেন্টে খেতে যেতেই হয়। হঠাৎ করে বড় ছেলের খুব বার্গার খেতে মন চেয়েছে। কিন্তু বার্গার বাসায় অর্ডার দিলে হবে না। তাকে রেস্টুরেন্টে গিয়েই খেতে হবে। আমার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু বাচ্চারা আবার আমাকে ছাড়াও যেতে রাজি না। বাধ্য হয়ে যেতে হলো। পরে ঘুরে ঘুরে এমন এক রেস্টুরেন্টে গেলাম যেখানে গিয়ে আমি হালকা কিছু খেতে পারবো। এই রেস্টুরেন্টিতে আগেও বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। এখানে সালাদ আইটেমের খাবার পাওয়া যায়। যেগুলো ওজন করে দেয়া হয়। ১০০ গ্রাম খাবারের দাম ১০০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের সালাদের আইটেম সাজানো থাকে সেগুলো থেকে আপনি পছন্দ করে একটি বাটিতে নিয়ে ওজন করে দাম দিতে পারবেন। এই সিস্টেমটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যে যতটুকু খাবে ততটুকুই নিতে পারবে। এতে খাবার নষ্ট হওয়ার সুযোগ থাকে না।
এই রেস্টুরেন্টটি বসুন্ধরা আবাসিকের ভিতরে। এজন্য খুব বেশি দূরেও যেতে হয় না। কিন্তু রেস্টুরেন্টটিতে প্রচুর ভিড় থাকে। বিশেষ করে যত রাত বাড়ে রেস্টুরেন্টে লোকজনের আনাগোনা তত বেশি হয়। তাছাড়া খুব চমৎকারভাবে সাজানো ডেকোরেশন করা। ভালোই লাগে ভিতরে গেলে। খুব বেশি আলো না অল্প আলো দেয়া থাকে এজন্য আরো ভালো লাগে।
রেস্টুরেন্টের খাবার তৈরি করা থেকে সার্ভ করা সব ওপেন থাকে। আপনি দাঁড়িয়েই দেখতে পারবেন যে আপনার খাবার কিভাবে তৈরি করছে।
আমি এই খাবারগুলো অর্ডার দিয়েছিলাম। খাবারগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। তাছাড়া ওজন খুব বেশি ছিল না ৩৫০ গ্রামের মতো হয়েছিল। আমার হাজবেন্ডও এরকম একটি বাটিতে সালাদ আইটেম নিয়েছিল। তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য বার্গার অর্ডার করেছিলাম। সেই বার্গারের ছবি তুলতে মনে ছিল না।
এই রেস্টুরেন্টের সঙ্গে আরেকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সেখানে অবশ্য আমার যাওয়া হয়নি। এখানে বেশি আসা হয়। তাছাড়া পাশে এরকম আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে ডেকোরেশন করা দেখতে খুব ভালো লাগছিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষে হাজবেন্ড সহ বাচ্চাদেরকে রিক্সায় উঠিয়ে দিয়ে আমি হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চলে আসলাম।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আসলে বার্গার ছোট বড় সবারই বেশ পছন্দের খাবার। বার্গার খেতে আমার খুব ভালো লাগে। ছেলের আবদার রাখতে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টের পরিবেশ খুবই চমৎকার। খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তে দুর্দান্ত কাটছেন । এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে ভাইয়া এই রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা খুব সুন্দর। বিশেষ করে লাইটিং এর জন্য ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন ব্যাপার তো যতটুকু খাবেন তার ওজন অনুযায়ী দাম দেয়া যায়। খাবারের মান বেশ ভালো মনে হলো আমার কাছে।
এখানে অপচয় হবার সম্ভাবনা কম থাকবে, সবমিলিয়ে দারুন একটি রেস্টুরেন্ট।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।
এই ব্যাপারটা আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। কারণ এতে খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
ছোট ছোট সোনামণিদের হঠাৎ করে মুখরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায় আপু। আমার মেয়েও মাঝে মাঝে এরকম করে তাই বিষয়টি বুঝতে পারলাম। যাইহোক আপু আর্টিফিশিয়াল দিয়ে সাজানো গোছানো সুন্দর ডেকোরেশনের রেস্টুরেন্টটি দেখে বোঝা যাচ্ছে এই রেস্টুরেন্টটিতে বসে খাবার খাওয়ার মজাটাই আলাদা। এছাড়াও যেহেতু পরিমাণ মতো সালাদ আইটেমের খাবারগুলো কিনে খাওয়া যায় তাহলে তো অপচয়ের কোন সম্ভাবনাই নেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, রেস্টুরেন্টে গিয়ে বার্গার খাওয়ার সুন্দর অনুভূতিটুকু শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদের কখন কোন জিনিস খাওয়ার ইচ্ছা জাগে বোঝা মুশকিল। এজন্যই তো বাইরে নিয়ে যেতে হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।