ধানমন্ডি শেফস টেবিলে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।


আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এর আগের দিন আপনাদের কে বলেছিলাম যে নিউমার্কেটে গিয়েছিলাম। দুপুরে প্রচন্ড রকম ক্ষুধা লাগার পর খাবার রেস্টুরেন্ট খুঁজতে খুঁজতে সেফ'স টেবিলে গেলাম।এর আগে মাদানী এভিনিউয়ের সেফস টেবিলে গিয়েছিলাম। ঐটা বিশাল বড় এবং অনেক রেস্টুরেন্ট ছিল দেশি বিদেশি। তাই আমরা ধানমন্ডির সেফস টেবিলে গেলাম। এখানে যাওয়ার আরো একটি কারণ নীচে পার্কিং ছিল। তা না হলে অন্য যেকোন রেস্টুরেন্টে যেতে পারতাম। যেহেতু গাড়ি আমার হাসবেন্ড চালায় তাই রাস্তার উপরে গাড়ি রাখা নিরাপদ ছিল না। ড্রাইভার থাকলে রাখা যেত। যাই হোক সেফস টেবিলে গিয়ে খুব ভালো লাগলো পরিবেশ টা দেখে। এত সুন্দর ডেকোরেশন।এবার খাবার অর্ডার দেয়ার পালা।


A7A7546D-83D9-430E-B7E8-DFC30F64677F.jpeg


ধানমন্ডি সেফস টেবিল দুই ফ্লোর নিয়ে অনেক দোকান রয়েছে। এখানে গেলে দেশি-বিদেশি অনেক দোকান পাওয়া যাবে। ভিতরে গিয়ে আরেক বিপদে পরতে হয় যে কোন দোকান থেকে কি অর্ডার দিব। এর আগে আমরা যখন মাদানী এভিনিউয়ের সেফস টেবিলে গিয়েছিলাম তখন আমরা যেই দোকানে খেয়েছিলাম তাই ভাবলাম যে এবার অন্য একটি দোকানে খাই। এবার আমরা টার্কিশ একটি দোকানে গেলাম টার্কিশ খাবার খাওয়ার জন্য।


5B2F6FED-790C-48C5-B279-B69BD7FA1D45.jpeg


6719BA47-51FE-4D31-A85F-0EFE4C945893.jpeg


প্রথমে আমরা লেভেল তিন এ গেলাম। সেখানে আমার হাসবেন্ড একটি ইরানী দোকানের খাবার দেখছিল। সেখানে গিয়ে তার খাবার তেমন পছন্দ হয়নি। তখন আমরা লেভেল ফোর এ গেলাম।


5F8D5865-8114-41C9-AE2D-2840180567E7.jpeg


সেফস টেবিলের ডেকোরেশন গুলোর ছবি শেয়ার করলাম। ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন যে কি চমৎকার ডেকোরেশন এখানে।


213EC469-979C-4BC9-9492-145D01812BD0.jpeg


টার্কিশ দোকানে গিয়ে আমার হাসবেন্ড বেশ কিছু খাবার অর্ডার দিয়ে আসলো। এখন অপেক্ষার পালা। আমাদের সবার খুব ক্ষুধা লেগেছিল।বাচ্চারাও খুব বিরক্ত করছিল।


8465EA98-5807-4F87-B682-7DB48E473342.jpeg


DFFCF3A7-78D8-475D-9557-A9927613639B.jpeg


এই যে আমাদের খাবার চলে এসেছে। খাবার দেখে আমার খুব একটা পছন্দ হয়নি। দেখেই মনে হচ্ছিলো খেতে ভালো হবে না। আসলেই তাই খাবার যেরকম লিখা ছিল তার থেকে পরিমাণেও অনেক কম ছিল। তাছাড়া খেতেও খুবই জঘন্য লেগেছিল আমার কাছে।


64F072C8-6A14-49C6-8E5B-8EFAD6F74583.jpeg


কাবাবটা মনে হচ্ছিল যে পুড়িয়ে ফেলেছিলো। এই খাবারগুলো দাম পড়েছিলো ১৬০০ টাকার মত। এইখানের খাবারগুলোর একটু দাম বেশি। দাম বেশি হলেও যদি খেয়ে মজা পাওয়া যেত তাও কথা ছিল। পরিমান কম ছিলো জন্য আমার হাসবেন্ড আরো খাবার অর্ডার দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি আর রাজি হয় নি। এইখানে খাবার ইচ্ছাই চলে গিয়েছিলো।


9E507B0A-938B-4DC7-B35C-92D4CA18B57C.jpeg


36C948D9-1196-4059-9823-B81A2BD0A589.jpeg


এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।

ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

আপু কথায় আছে চকচক করলেই সোনা হয়না। আপনাদের এই ধানমন্ডি শেফস টেবিলে খাওয়ার অবস্থাও ঠিক সেই রকমই হয়েছে। সম্পূর্ণ রেস্টুরেন্টের ছবির মধ্যে পরিবেশ দেখে মনে হয়েছিল এখানের খাবার হয়তো খুব সুস্বাদু হবে।কিন্তু আপনার কাছ থেকে যা শুনতে পেলাম সত্যি আশ্চর্য হওয়ার মতো। খাবার মজা না হলে কি হবে তাদের দাম ঠিকই থাকে। গতকাল আমিও ডিনার করতে গিয়ে এমন সমস্যায় পড়েছিলাম। যাই হোক খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

দুপুরে আপনাদের প্রচুর পরিমাণ খিদা লেগেছে এ বিষয়টি সত্যি অনেক কমন বিষয়। একদিনে মোট তিনবার খাওয়া দাওয়া করতে হয় সকাল দুপুর রাত দুপুরে তো খিদা লাগবেই তাহলে আপু। আপনারা রেস্টুরেন্ট খুলতে খুলতে ধানমন্ডি শেফস টেবিলে গিয়েছিলেন। খাবার দেখে যখন আপনার পছন্দ হয়নি তখন আপনি অন্য খাবার খেতে পারতেন আপু। সত্যি আপু খাবারের দামটি আকাশচুম্বী।

 2 years ago 

এত টাকা দিয়ে খাবার নেওয়ার পরে আর মনে হয়নি যে এখান থেকে অন্য কিছু কিনে খাই। সেজন্য আর নতুন খাবার নেইনি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

শেফস টেবিলে আপনি সুন্দর কিছু মুহুর্ত পার করেছেন তবে খাবার মজা হলে হয়ত আরো ভাল লাগত। শেফস টেবিলে ফরেন কাস্টমার আসে অনেক। আপনার ছবিগুলো অনেক দারুণ হয়েছে। ভিতরের ইন্টেরিয়র খুব সুন্দর করেছে তারা। ইরানি টার্কিশ খাবারগুলো এমনিতে খেতে খুব মজার তবে আপনার খাবারের ছবি দেখে মনে হচ্ছে সাশ্লিক এর কালার ভাল হয়েছে কিন্তু খেতে কেমন হয়েছে জানিনা। আর কাবাব একটু পোড়া ফ্লেভার আসলে খেতে ভাল লাগে তবে আপনাদেরকে সার্ভ করা কাবাব মনে হচ্ছে বেশি পুড়ে গিয়েছে। এত ঘুরাঘুরির পর একটু ভাল করে খাবার খেতে না পারলে খারাপ লাগে। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ঠিক ধরেছেন ভাইয়া কাবাবটি একেবারে পুড়িয়ে ফেলেছিল। খেতে একটুও ভালো লাগছিল না। খুবই বাজে ছিল খাবার।

 2 years ago 

ভেতরের ডেকোরেশন দেখে তো যে কারো মন ভরে যাবে। কিন্তু খাবারের মানের কথা শুনে তো মনে হচ্ছে বেহাল দশা। আচ্ছা বাইরের দেশের লোকজন এমন স্বাদেই খায় নাকি!!! বোঝা বড় দায়। কাবাব গুলো পোড়াতে পোড়াতে একদম শেষ করে ফেলেছে দেখে মনে হচ্ছে। যাই হোক এরপরে অন্য কোথাও আশা করি মনমত তৃপ্তি করে খাবেন।

 2 years ago 

আমাদের এইদিকে মাদানী এভিনিউতে যে সেফস টেবিল সেটার ডেকোরেশন আরো সুন্দর। একবার গিয়ে দেইখেন। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছিল যে শেফস টেবিলের ডেকোরেশন অনেক সুন্দর । কিন্তু আপনার কাছে খাবারগুলো ভালো লাগে নি শুনে খরাপ লাগলো।দুপুরে ঘুরাঘুরির পরে ক্ষুধা নিয়ে যদি খাবার ভালো না লাগে তাহলে তো খারাপ লাগার ই কথা।এরপরে আশা করি এরকম পরিস্থিতিতে আর পরতে হবে না।ভালো থাকবেন আপু।

 2 years ago 

ক্ষুধা পেটে যে কোন খাবারই ভালো লাগে। এই খাবারগুলো ক্ষুধা পেটেও ভালো লাগেনি। তার মানে বুঝুন যে কেমন ছিল । ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60752.38
ETH 2453.49
USDT 1.00
SBD 2.63