বাচ্চাদের নিয়ে ফ্রাই বাকেট রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সুস্থতা আল্লাহর কত বড় নেয়ামত তা সুস্থ থাকলে বোঝা যায় না। অসুস্থ হলেই হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারের কেউ না কেউ অসুস্থই যাচ্ছে। কিছুদিন আমি অসুস্থ ছিলাম। তারপর হাসবেন্ড। তারপর ছোট ছেলে। মনে মনে ভাবছিলাম যে বড় ছেলে সুস্থ আছে আল্লাহর রহমতে। ভাবতে না ভাবতেই বড় ছেলের জ্বর। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তারে বলল যে বুকে কফ বসে গিয়েছে। চুপি চুপি ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেয়ে এ অবস্থা করেছে। ডাক্তার এন্টিবায়োটিক দিয়ে দিলো। বাসায় এসে ঔষুধ খাওয়ার পর জ্বর চলে গেলো। কিন্তু হঠাৎ করে পায়ে ব্যথা শুরু হলো। আবারো ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। তখন ডাক্তার ব্যথার ওষুধ দিল এবং বলল যে একদিন খেলে সেরে যাবে। বাইরে গিয়েছি আর বাচ্চারা কিছু না খেয়ে বাসায় আসবে তা কি হয়।
ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তার কি দেখাবো বাচ্চারাদের খাবার খাওয়ার জন্য বায়না শুরু হয়ে গিয়েছে। তারা কোথায় খাবে সেটার প্লান্ট শুরু করেছে। ডাক্তারের চেম্বারের পাশে নতুন একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে রেস্টুরেন্টটি চালু হবে হবে অবস্থা ছিলো। তখন থেকেই আমার বড় ছেলের ইচ্ছা ওই রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন ফ্রাই খাবে। আমি ভাবলাম যে এখনো চালু হয়নি পরে গিয়ে দেখলাম যে চালু হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টির জন্য বেশিদূর যেতেও হয়নি। চেম্বারের পাশেই ছিল। বাইরে প্রচন্ডরকম বৃষ্টি ছিল তাই ভাবছিলাম যে অন্য একদিন আসবো। কিন্তু ছেলেরা কিছুতেই মানতে রাজি না।
রেস্টুরেন্টটি ছোট হলেও ডেকোরেশন ভালোই করেছে। তাছাড়া বাইরে ও বসার জায়গা করেছে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য বাইরে বসার একদমই উপায় ছিল না। তা না হলে বাইরে বসে রাতের বেলায় খেতে বেশ ভালই লাগতো। বাচ্চারা চিকেন ফ্রাই খাবার জন্য গিয়েছে। তাই চিকেন ফ্রাই অর্ডার দিলাম। যেহেতু রাত হয়ে গিয়েছিল তার সাথে দুটি রাইস বোল অর্ডার দিয়ে দিলাম। যাতে রাতে বাসায় গিয়ে খাবার ঝামেলা না থাকে।
নতুন দোকান হলে কি হবে দোকানের খাবার আসলেই খুবই মজাদার ছিল। যেমন মজা চিকেন ফ্রাইগুলো তেমন মজাদার ছিল রাইস। রাইসগুলো দেখে ভেবেছিলাম যে খেতে তেমন একটা মজা হবে না। কিন্তু মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার ধারণা চেঞ্জ হয়ে গেলো এত সুস্বাদু ছিল। ছেলের কথা মতো এখানে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলাম।
খাবারের মান ভালো হলেও রেস্টুরেন্টের খাবারের দামও আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে। অন্যান্য দোকানে থেকে দাম অনেকটা বেশি। এক পিস চিকেন ফ্রাই এর দাম এখানে ১৩০ টাকা করে। অন্যান্য জায়গায় যেখানে ১০০/১১০ টাকা রাখে। যাইহোক খাবার পরে খাবার সুস্বাদু লেগেছে জন্য দাম নিয়ে তেমন খারাপ লাগেনি। খাওয়া দাওয়া শেষে বৃষ্টি একটু কমলে আমরা বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসার পর ওষুধ খাওয়ানোর পর ছেলে সুস্থ হয়েছে আল্লাহর রহমতে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
অসুস্থতার কথা শুনলে এমনিতেই অনেক বেশি খারাপ লাগে। আর আপনার বড় ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে খুব খারাপ লেগেছে। এমনিতেই বাচ্চারা বাইরে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। শুধু বাচ্চারা কেন আমরা বড়রাও তো অনেক পছন্দ করি বাহিরে এভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে। খাবারের ফটোগুলো দেখেই বুঝতে পারছি বেশ মজাদার ছিল এই খাবার। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার বিষয়টা অনেক ভালো লেগেছে।
এখন আপু সুস্থ আছে আল্লাহর রহমতে। জানিনা আবার কখন অসুস্থ হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ এখন চারিদিকেই একটু ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে সবাই তবে হয়তো আপনার ছেলে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি খেয়েছিল বলে একটু অসুস্থ হয়েছিল এখন তুলনামূলক সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালই হয়েছে তবে আবহাওয়াটা বেশ উপভোগ করেছেন মনে হয় কেননা বাইরে বৃষ্টি হলে সেই মুহূর্তে রেস্টুরেন্টে খেতে বসলে মজাটা বেশি উপভোগ করা যায়।
জি ভাইয়া ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি ভালোই খেয়েছিলো। এজন্য এরকম অবস্থা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ডাক্তারের চেম্বারের পাশের নতুন রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদের আবদারে গিয়ে বেশ ভালই খাওয়া-দাওয়া করেছেন বোঝা যাচ্ছে। আর তাছাড়া মাঝেমধ্যে বাইরে বেরিয়ে এমন খাওয়া-দাওয়া করলে মন্দ হয় না। দোয়া করি, আপনার পরিবার যেন সুস্থ থাকে আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার বড় ছেলের এই রেস্টুরেন্টটিতে খাওয়ার অনেকদিন ধরে ইচ্ছা ছিল। রেস্টুরেন্টটি যখন চালু হয়নি তখন থেকেই বলে রেখেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আসলে এখন বেশিরভাগ ফ্যামিলিতে দেখা যাচ্ছে ফ্যামিলির অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বেশ কয়েকদিন ধরে আপনারা একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এটা জেনে খুব খারাপ লেগেছে। আর আপনার বড় ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ লাগলো। আশা করছি ভালো হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। চিকেন ফ্রাই দেখছি খুব মজা করেই খাওয়া হয়েছিল। আসলে রেস্টুরেন্টে গেলে মজার মজার খাবার গুলো খেতে খুব ইচ্ছে করে আমাদের নিজেদের। আর বাচ্চারা তো আরো বেশি পছন্দ করে খেতে। আপনাদের খাওয়া দাওয়ার বিষয়টা বেশ উপভোগ করলাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখনকার ওয়েদার এর জন্য সব ফ্যামিলিতে লোকজন অসুস্থ হচ্ছে। আর জ্বর তো লেগেই আছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে শুধু বাচ্চাদের কথা বলি কেন ? আমরাও কিন্তু বাহিরে গেলে খাবার দাবার ছাড়া বাসায় ঢুকতে চাইনা।তবে আপনারা যে রেস্টুরেন্টে খেয়েছেন সেটা কিন্তু বেশ সুন্দর গুছালো আর পরিপাটি। ঠিকানাটা বলেন তো যেখানে যেয়ে এত মজার মজার খাবর খেয়ে আসলেন। আমি দেখি একবার যেতে পারি নাকি।
আমার আর কষ্ট করে বলা লাগে না। বাচ্চারাই আমার কাজ করে দেয়। সেই সাথে আমারও খাওয়া হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাদের কথা বাদ দিলাম,আমার নিজেরই তো বাইরে গেলে কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে। আর যেহেতু বড় ছেলে আগে থেকে আবদার করে রেখেছে রেস্টুরেন্টে খাবে সেক্ষেত্রে তাকে আর কিভাবে আটকানো যায়।রাইসগুলো দেখতে একদম সিম্পলই লাগছে। তবে আপনার কথামতে এগুলো মজার ছিল।যাইহোক আপু,দারুণ মুহূর্ত শেয়ার করেছেন।
আমারও বাইরে গেলে খেতে মন চায়। কিন্তু বাচ্চাদের উসিলায় আমার আর বলা লাগে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হাহাহ।।।এক ডিলে দুই পাখি।।।🤣🤣🤣
এখন প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে অসুস্থ্যতার সংবাদ। বাহিরে বের হলে কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে। আর বাচ্চারাতো আবদার করবেই। ঠিক আপু রাতে বাহিরে বসে খাবার খাওয়ার মজাই অন্যরকম। বেশ মজা করেই রেস্টুরেন্ট খাবার খেলেন। যহিও দাম তুলনামূলক বেশি। যেহেতু খাবার মজা ছিল। তাই মেনে নেয়া যায়, আর শুনে ভালো লাগলো আপনারা সবাই এখন সুস্থ্য আছেন।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাদের জন্য।
খাবারগুলো মজা ছিল জন্য দাম তেমন কিছু মনে হয়নি। যাইহোক আপু ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার পরিবারের সবাই একের পর এক অসুস্থ হচ্ছে জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো। আসলে সুস্থ থাকলে আমরা সুস্থতার মূল্য বুঝিনা। অসুস্থ হলেই বুঝতে পারি কতটা কষ্ট হয়। যাইহোক ডক্টর দেখাতে গিয়ে ছেলের বায়নায় বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়েছে দেখছি। অনেক নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট আছে যেগুলোর ডেকোরেশন যেমন সুন্দর হয় তেমনি খাবারের মান ভালো থাকে। আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু অসুস্থ হলে বোঝা যায় সুস্থতার কত বড় নেয়ামত। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাচ্চাদের সাথে একটি সুন্দর রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই অসাধারণ একটি ভালোলাগার অনুভূতিমূলক মুহূর্তের পোস্ট দেখতে পেরে। যেখানে আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন আর আনন্দঘন মুহূর্তটা বর্ণনার সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এই পোস্টে,সব মিলে ছিল অসাধারণ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি দেখে মন্তব্য করার জন্য।