হঠাৎ বাইরে খেতে যাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে হাজির হয়ে গেলাম আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছুটির দিনে বাসায় থাকলে ফুড পান্ডা থেকে বেশিরভাগ দিনে খাবার অর্ডার করে খাওয়া হয় বিকালের নাস্তার জন্য। খাবার দেখতে দেখতে হঠাৎ করে চিকেন গ্রিল খেতে ইচ্ছা করলো। কিন্তু ফুডপাণ্ডায় ভাল কোন দোকান পাচ্ছিলাম না যে চিকেন গ্রিল অর্ডার দিব। তাই ভাবলাম যাই বাইরে থেকে খেয়ে আসি। হাসবেন্ডকে বলার সঙ্গে সঙ্গে সেও রাজি হয়ে গেল। মাগরিবের পর চলে গেলাম চিকেন গ্রিল খাওয়ার জন্য। যখন রাজশাহীতে ছিলাম তখন কোন কিছু খাওয়ার কথা মনে হলেই চিকেন গ্রিল খেতাম। ঢাকায় আসার পর চিকেন গ্রিল খাওয়া একদমই কমে গিয়েছে। কারণ এখানে এত রেস্টুরেন্ট আর এত ধরণের খাবার সেখানে গিয়ে চিকেন গ্রিল খেতে ইচ্ছা করেনা।


photoCollageMaker_20220925_111512586.jpg

যেহেতু আমরা বসুন্ধরার মেইন গেটের দিকে গিয়েছিলাম সেখানে প্রচুর ভিড় থাকে। গাড়ি নিয়ে গেলে পার্কিং করার কোন জায়গা থাকে না। তাই আমরা রিক্সায় করে গিয়েছিলাম। যদিও চারজন রিক্সায় উঠতে খুবই সমস্যা হয়। কারণ ঢাকার রিকশা গুলো খুব ছোট লাগে। যেই রিক্সাগুলো ব্যাটারি চালিত হয় সেগুলো অনেক বড় হয়। সেগুলোতে চারজন অনায়াসেই বসা যায়। কিন্তু এই রিক্সাগুলোতে চারজন বসতে খুবই কষ্ট হয়। আবার আলাদা রিকশায় যেতেও ইচ্ছা করে না। অবশ্য আসার সময় খুব টায়ার্ড লাগছিল সেজন্য আর এক রিকশায় আসিনি । দুই রিক্সা নিয়ে বাসায় এসেছি। আমি আর আমার বড় ছেলে এক রিক্সায়, ছোট ছেলে আর হাসবেন্ড অন্য রিক্সায়।


খাবার অর্ডার করার পর বসে থাকতে থাকতে এই ছবিগুলো তুলেছি। রেস্টুরেন্টটি খুব বড়সড়ো না মোটামুটি মানের। রেগুলার খাবার দাবার এখানে বেশি বিক্রি হয়। এজন্য রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু নিরিবিলি বসতে পেরে ভালোই লাগছিল।


IMG_20220925_111301_092.jpg


IMG_20220925_111258_926.jpg


IMG_20220925_111253_789.jpg


আমরা যে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেই রেস্টুরেন্টের নাম ছিল কাবাব পোড়া। এই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে । অবশ্য এর আগেও খেয়েছি কিন্তু আজকে যে খাবারগুলো খেয়েছি সেগুলো আগে খাইনি। আজকে আমরা চিকেন গ্রিল , চিকেন আচারি, বিফ কাবাব , সাথে দুইটি গার্লিক নান এবং একটি কোকাকোলা ও একটি স্প্রাইট অর্ডার দিয়েছিলাম। খাবারগুলো খেয়ে খুবই ভালো লেগেছিল।

photoCollageMaker_20220925_111440444.jpg

photoCollageMaker_20220925_111415796.jpg


এতকিছু খাবার অর্ডার দেয়ার পরও মাত্র বিল এসেছিল ৫০০ টাকা। অন্যান্য কোন নামি দামি রেস্টুরেন্টে গেলে এই খাবারের বিল এক হাজার থেকে বারোশো টাকা আসতো। খাওয়ার পরে মনে হলো যে এক কাপ চা না খেলে হচ্ছে না। কিন্তু এই রেস্টুরেন্টে চা নেই। তাই বাইরে দাঁড়িয়ে একটা দোকান থেকে চা খেলাম। চা টা আসলেই অসম্ভব ভালো ছিল খেতে।


এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone 11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

Sort:  
 2 years ago 

আপু আমরা তো রিকশায় গেলে দুইজনের বেশি যেতে পারি না। আপনারা চার জন গেছেন। অনেক কষ্ট হয়েছে মনে হয়। আর রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলাম। ভালই লাগলো নিরিবিলি পরিবেশ। অনেক কিছুই খেলেন মাত্র পাচশত টাকা বিল আসলো। আসলেই কম। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

চারজন উঠলেও ভাইয়া বাচ্চাদুটা তো ছোট। কোলে করেই যেতে পারে। কিন্তু রিকশা উঠার অভ্যাস কম হওয়ার কারণে তেমন আরাম পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপনার বাইরে খেতে যাওয়ার অনুভূতিটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে যেমনটা বললেন যতগুলো অর্ডার দিয়েছেন সেই অনুযায়ী বিলটা অল্প ছিল। আরে হ্যাঁ নিরিবিলি জায়গুলোতে বেশ আলাদা একটা অনুভূতি পাওয়া যায়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

রিকশায় উঠলে সাধারণত আমরা তিনবন্ধু উঠি। তিনজনই মোটামুটি বেশি পারফেক্ট সেজন্য হয়ে যায়। কিন্তু চারজন বসা সত্যি কষ্টকর। রেস্টুরেন্টের নামটা তো বেশ দারুণ কাবাব পোড়া। এবং এতকিছু খাওয়ার পর দামটা সত্যি তুলনা মূলক অনেক কম এসেছে। সময় টা ভালো কাটিয়েছেন আপু।।

 2 years ago 

ভাইয়া আমরা চারজন উঠলেও দুইজন তো ছোট ছোট। তাই জায়গা হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও কষ্ট হয়। এজন্যই আলাদা বসা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপনার বাইরে খেতে যাওয়ার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনি অনেক সুন্দর খাওয়া দাওয়া করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পোস্টটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। এভাবেই পাশে থাকবেন ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য ও।

এই পোস্টটা অন্য সময় দেখলে হয়তো বলতাম ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে কারণ আমিও পছন্দ করি এটা। আজকে এই সময়ে একটা কথাই শুধু মাথায় আসলো এই চিকেন গ্রিল আর কাবাব দুটোই শুধু তেতো আর তেতো 😭

 2 years ago 

আহারে! দ্রুত আপনার মুখের তেতো ভাব কেটে যাক এবং আমার রেসিপি নজর লাগান এই দোয়াই করি।

 2 years ago 

বাহিরে খেতে যাওয়ার মুহূর্তগুলো খুব চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। সত্যি দেখে খুব ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্টের পরিবেশ সত্যিই অনেক সুন্দর। অনুভূতি পোস্টটের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56588.25
ETH 2399.94
USDT 1.00
SBD 2.32