নারায়ণগঞ্জ ঘুরতে যাওয়া ও কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ যেতে মোটামুটি জ্যাম পার হয়ে দুই তিন ঘন্টা লেগে যায়। সেজন্য আমরা সকাল সকাল বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। সকাল বলতে ঠিক ১১ঃ০০ টার দিকে। আমার হাসবেন্ড ও সাথে তার অন্য একটি ফ্রেন্ড ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় চারপাশে পরিবেশ এত ভালো লাগছিল যে আমি তো বসে বসে ছবি তুলছিলাম। এত সুন্দর সুন্দর প্রকৃতির ছবি শেয়ার করতে করতে বেশ কিছু ছবি আজকে শেয়ার করে ফেললাম। সবগুলো ছবি খুব চমৎকার। আপনাদের দেখলে আশা করি ভালো লাগবে। এমন সবুজ প্রকৃতি শহরে খুব কম দেখা যায়।
এটি যাওয়ার সময় শহরের শুরুর দিকের রাস্তা। আস্তে আস্তে ভিতরে গেলে তখনকার রাস্তা আর এই রাস্তার মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখতে পাবেন।
যতই গ্রামের দিকে ঢুকছিলাম ততই মনে হচ্ছে যে প্রকৃতি আরো বেশি সুন্দররূপে ধরা দিচ্ছে। কিছুদূর যাওয়ার পর এরকম রেল রাস্তা দেখতে পেলাম। এই রাস্তা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। এই রাস্তার উপর দিয়ে কত হেঁটেছি ছোটবেলায়।
এই রাস্তাটি দেখুন দুই পাশ দিয়ে সারিসারি গাছ লাগানো। আর মাঝ দিয়ে রাস্তা। মনে হচ্ছিল যে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে যাই এত সুন্দর।
আরো ভেতরে যাওয়ার পর হঠাৎ এরকম একটি পুকুর সামনে পরলো। পুকুরের পাশের রাস্তাটি খুবই ভাঙ্গা ছিল। যেতে যেতে খুব ভয় লাগছিল যে গাড়ি পুকুরে চলে না চলে যায়।
ঐদিন আকাশে মনে হচ্ছিল যে সাদা তুলো দিয়ে সেজেছে। এত চমৎকার ছিল আকাশ। নিশ্চয়ই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
গাড়ি থেকে নামার পর বিশাল বড় একটি গাছ দেখলাম। গাছটি নিচ থেকে দেখতে খুব ভালো লাগছিল। তাই নিজ থেকে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুললাম।
অবশেষে আমরা পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু ফেরার সময় একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সেই বিষয়ে অন্য আরেকদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
শহরে থাকতে থাকতে হঠাৎ গ্রামের দিকে গেলে ঘুরতে ভাল লাগে। আপনি খুব ভাল কিছু সময় কাটিয়েছেন পরিবারের সাথে।পুকুর আর গাছের ছবিগুলো খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শহরে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে আসে। তখন গ্রামের দিকে ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপু এভাবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে যদি গেট টুগেদার করা হয় অনেক ভালো লাগে।সেখানে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়।আপনি চলন্ত গাড়িতে থেকেও বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়েছেন যা দেখতে অনেক ভালো দেখাচ্ছে।আমারও বেশ ভালো লাগে শহর থেকে কিছু সময়ের জন্য গ্রামের পরিবেশে যাওয়া হলে।
ঠিক বলেছেন আপু পরিবার নিয়ে কোথাও গেট টুগেদার করলে খুব ভালো লাগে । তাছাড়া অনেকদিন পর সকলের সঙ্গে দেখা হয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রকৃতির লীলাক্ষেত্র হলো গ্রাম।শহর থেকে গ্রামে ঢুকলে মনটা ভালো হয়ে যাবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়!
আপনার আউটিং গুলো ভালো লাগে,সাথে ছবিগুলোও দারুণ হয়।ভালো থাকবেন,শুভ কামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রকৃতির এই লীলা খেলা গ্রামেই সব থেকে বেশি ভালো দেখা যায়। এর জন্যই তো গ্রামের ছবিগুলো খুব সুন্দর আসে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার হাসবেন্ডের সাথে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আমারও কোথায় ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। তবে গ্রামের পরিবেশ এবং গাছ ফলাগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ অসাধারণ লাগলো। তবে আমি কখনো নারায়ণগঞ্জে যাইনি। খুব সুন্দর কর উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমিও মাত্র দুইবার গিয়েছি নারায়ণগঞ্জ। গ্রামীন পরিবেশে গেলে এমনিতেই খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ঘোরাঘুরি করতে আমরা সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করি আর আপনি তো ঘোরাঘুরি করতে খুবই পটু যেটা আপনার পোস্ট করে বুঝলাম। আপনার হাজব্যান্ডের বন্ধু অস্ট্রেলিয়া থেকে আসছে যার কারণে গেট টুগেদার এর জন্য সবাই একত্রে মিলিত হয়েছে। সেখানে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঘোরাঘুরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। এই জন্যই তো যখন সুযোগ পাই ঘুরতে চলে যাই। আর সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমার কাছেও ঘুরতে যেতে অনেক ভালো লাগে আর সেই ঘুরাঘুরি গ্রামের দিকে হলে আরও বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কয়েক বছর আগে আমার হাসবেন্ডের অফিস থেকে নারায়ণগঞ্জ পিকনিকে গিয়েছিলাম। আমরাও একটু গ্রামের ভিতরে গিয়েছি। সেখানের রাস্তার চারপাশের গাছপালা দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। আপু সত্যি আপনার ফটোগ্রাফিতে আকাশের মেঘগুলো দেখলে মনে হচ্ছে সাদা তুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আপনারা যাওয়ার সময় খুব মজা করেছেন বোঝতে পারছি তবে আসার সময়ের তিক্ত ঘটনা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
গ্রামের দিকে গেলে এমনি খুব ভালো লাগে। ওই দিককার পরিবেশটা খুব সুন্দর ছিল। গাছ গাছালিতে ভরপুর । এই জন্যই তো এত সুন্দর ছবি এসেছে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আমার কাছে ঘুরে ফেরা করতে খুবই ভালো লাগে ।আপনি আপনার হাজবেন্ডের বন্ধু এবং তাদের পরিবারসহ গেট টুগেদার করে বেশ আনন্দের সময় কাটিয়েছেন ।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতেও ভুলেন নি ।এত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখলে আসলে ফটোগ্রাফি না করে পারা যায় না। সবগুলো ফটোগ্রাফি আবার অনেক ভালো লেগেছে ।সারিবদ্ধভাবে গাছগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এত সুন্দর সবুজ প্রকৃতি দেখে ফটোগ্রাফি না করে থাকাই যায় না । সারিবদ্ধ গাছগুলো আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
আপু আপনি নারায়ণগঞ্জ এসে চলে গেলেন,জানতেও পারলাম না। আমি তো নারায়নগঞ্জ থাকি। জানলে আপনাদের গাড়ি আটকিয়ে ডাকাতি না করতে পারি একটি সেলফি তুলতে পারতাম, হি হি হি। ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
ওহ হো। আপনি নারায়ণগঞ্জ থাকেন তা তো জানা ছিল না। পরেরবার গেলে আপনাকে নক দিবো। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যেকোনো জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে বেশ কিছুদিন হয়েছে কোথাও ঘুরতে যাইনি। আজ আপনাদের ঘুরতে যাওয়ার পোস্ট দেখে আমারও বাইরে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে। নারায়ণগঞ্জে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে
কিছুদিন ঘরে থাকলেই আমার বন্ধি বন্ধি লাগি। এজন্যই তো কোথাও না কোথাও ঘুরতে চলে যাই। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।