অবশেষে আবার নিজের রুটিনে ফেরা।(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আপনারা জানেন যে আমার বড়বোন ইংল্যান্ড থেকে আসার পর আমরা তিন বোন মিলে ফরিদপুর আমার বাবার বাসায় গিয়েছিলাম।অনেক দিন থাকার পর আজকে বাসায় আসলাম। আমার বোনের ও ইংল্যান্ড যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। আজকে ফরিদপুর থেকে আসার সময় অনেক কষ্ট হয়েছে। কারণ এসি গাড়ি একটা মাত্র। সেটি আবার দুপুর ৩ টায় ছাড়ে। বাচ্চাদের নিয়ে রাত হয়ে যাবে তাই আমরা বাধ্য হয়ে সকালে নন এসি গাড়িতেই রওনা দেই। রাস্তায় কিছুদূর আসার পর বুঝতে পারলাম যে আমাদের নন এসি বাসে আসা একদমই ঠিক হয়নি। অনেক গরম এবং ধুলাবালি। বিশেষ করে বাচ্চারা একটু অসুস্থ হয়ে গিয়েছে বমি করে। আমরা সকল ১১টার গাড়িতে উঠেছি। ঢাকায় এসে ৩টায় পৌঁছেছি। আমরা আজকে আসার সময় কোন জ্যাম পাইনি তাই দ্রুত চলে এসেছি। আমার মেজ দুলাভাই গাড়ি নিয়ে আসতে একটু দেরি হওয়াতে বাস থেকে নেমে আবার কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। অবশেষে গাড়ি আসলে আমরা গাড়িতে উঠলাম। তারপর আগারগাঁও আমার হাসবেন্ড গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি আমার বাচ্চাসহ আমাদের গাড়িতে উঠে গেলাম আর আমার বড় এবং মেজ বোন শান্তিনগর আমার মেজ বোনের বাসায় চলে গেল। যেহেতু আমাদের আসতে আসতে দুপুর পার হয়ে গিয়েছিলো তাই আমরা বাসায় না ঢুকে একবারে বাসার পাশের রেস্টুরেন্ট এ ঢুকে খাওয়া দাওয়া করে বাসায় আসলাম। মাঝে আমি কিছু ছবি তুলেছি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। |
---|
উপরের ছবিগুলো আমি বাসে বসে তুলেছি স্মৃতিসৌধের সামনে থেকে। অনেক দিন পর এরকম নন এসি বাসে উঠেছি সেই জন্য গাড়িতে অনেক খারাপ লেগেছে। তাই আর রাস্তায় কোন ছবি তুলতে পারি নি। |
---|
এই ছবিগুলো আমাদের বাসার পাশের ফুড হল রেস্টুরেন্টে বসে তুলেছি। খাবার অর্ডার দিয়ে বসে ছিলাম। তাই ভাবলাম বাইরের কিছু ছবি তুলি। তারপর খাবার আসলে খাবারের কিছু ছবি তুললাম। আমরা দুই প্লেট চাপ আর লুচি এবং এক প্লেট রাইস আর স্মোকি চিকেন অর্ডার দিয়েছিলাম। এখানের খাবারগুলো বেশ ভালো। এর মধ্যে আমার আবার মাইগ্রেন এর ব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছিলো। খাওয়া দাওয়া করে বাসায় এসে একটি ঔষুধ খেলাম আর হাসবেন্ড এক কাপ চা দিলো খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলাম। ঘুম থেকে উঠে পোস্টটি রেডি করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। |
---|
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
জেনে ভালো লাগলো ভালোভাবে আপনি বাসায় পৌঁছেছেন। আর খাবারের ছবি গুলো অনেক লোভনীয় লাগছে দেখে তো লোভ লেগে গেলো। আর বাসায় ফেরার মজাই আলাদা বাসার মতো কোন জায়গা হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে শুভেচ্ছা রইল।
খাবার গুলো আসলেই অনেক মজা ছিল। আর নিজের বাসায় ফেরার মজা অন্যরকম হলেও বাবার বাড়ি থেকে আসতে একটু কষ্ট লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
স্মৃতিসৌধের সামনের ফটোগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো । অনেকদিন পর স্মরণ করতে পারলাম স্মৃতিসৌধের সেই স্বপ্নের দিনগুলো । একদিন পড়ন্ত বিকেলে স্মৃতিসৌধের ভেতরে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম এবং ফটোগ্রাফি করছিলাম । আর সব থেকে বেশি মনে পড়লো লজ্জাবতি গাছ গুলোর কথা এগুলোর উপর হাত বুলাইতেছিলাম,পাশে বসে ছিলাম কিছুক্ষণ বাদাম খেয়ে ছিলাম। কত না মধুর স্মৃতি।
আমার ছবি দেখে আপনার পুরনো দিনের স্মৃতি মনে পরেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনাদের দেশের বাড়ি ফরিদপুরে আপনার বোন ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসা উপলক্ষে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছিলেন।আসার সময় তাই একটু খারাপ লাগারই কথা। তার মধ্যে আবার নন-এসি বাস।যা আপনার জন্য সুইটেবল ছিল না।পরবর্তীতে ঢাকা ফিরে আসার পর রেস্টুরেন্টে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। সব মিলে আপনার মূহুর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেকদিন পর ভাই-বোনরা সবাই একসঙ্গে হয়েছিলাম আসলে অনেক সুন্দর সময় কেটেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।