টুক টাক কেনাকাটা আর খাওয়া দাওয়া। (১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমার যখন ভালো লাগে না কোন কিছু তখন আমি ঘুরতে বের হয়ে যাই। ঘুরতে আর কই যাব মার্কেটে চলে যাই। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করি, টুকটাক কেনাকাটা করি তারপর খাওয়া দাওয়া করে বাসায় চলে আসি। ছুটির দিন ঘরে বসে বসে বোর হচ্ছিলাম। তাই ভাবলাম যে কোথায় যাওয়া যায়? যমুনা ফিউচার পার্কে আর কত যাই। তাই বারিধারার ডি ও এইচ এস এ মার্কেটে চলে গেলাম হাজবেন্ডের টুকটাক কেনাকাটা ছিল ভাবলাম যে কেনাকাটা সেরে আসি ঘুরা হয়ে যাবে। মার্কেটে যাবো আর খাওয়া-দাওয়া করবো না তা কি আমার ছেলে মানবে। তাই কেনাকাটা শেষ করে মার্কেটের নিচে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লাম হালকা কিছু নাস্তা করার জন্য। সেই রেস্টুরেন্টে বসে ছবিগুলো তুলেছি। সেই ছবিগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এই ছবিটি মার্কেটের ছবি। মার্কেটটি খুব বড় না। নিচ তলায় কিছু খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই মার্কেটে ছেলেদের জিনিস ভালো পাওয়া যায় দেখলাম। বিশেষ করে টি শার্ট প্যান্ট, ট্রাউজার। আমি আমার বাচ্চাদের কাপড় এই মার্কেট থেকেই বেশি কেনাকাটা করি। আমার হাজবেন্ড গেঞ্জি, ট্রাউজার, আর প্যান্ট কিনলো। বসে থাকতে থাকতে আমার ও কয়েকটি ট্রাউজার পছন্দ হয়ে গেল ।আমিও ভাবলাম যে বাসায় পরার জন্য কয়েকটি ট্রাউজার কিনে নেই।
বাসা থেকে বের হলেই আমার ছেলের খুব ক্ষুধা পেয়ে যায়। বাসায় সারাদিন না খেয়ে থাকলেও খাবারের কথা কখনো বলে না। যথারীতি মার্কেটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমার ছেলের খুব ক্ষুদা পেয়ে গেল। তাই কেনাকাটা শেষ করে নিচে এই রেস্টুরেন্টে গেলাম। রেস্টুরেন্টটি খুব বেশী বড় না। কিন্তু খুব সুন্দর করে সাজানো ছিল। আর এই রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো খুব মজা ছিল।
আমরা বাচ্চাদের জন্য দুটি চিকেন ফ্রাই আর আমাদের জন্য দুটি চিকেন শর্মা অর্ডার করেছিলাম। যেহেতু বিকেল বেলা ছিল তাই খুব বেশি খাবার অর্ডার করিনি।
বাচ্চারা খাবার খাচ্ছিল আর চোখ আটকে ছিল বাইরের এইখানে। বুঝতেই পারছেন কি জিনিস। কোলড্রিংস না খেলে তো খাবার অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই দুটো কোকাকোলা অর্ডার দিয়েছিলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা বাসায় চলে আসলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন । আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্ট দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
আপু কেনাকাটা থেকে ও আমাকে বেশি আকর্ষণ করেছে আপনাদের খাবারের ছবি গুলো 😋। ছেলেদের এবং হাসবেন্ডের জন্য টুকটাক মার্কেট শেষ করেই আপনারা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে গিয়েছেন । খাবারগুলো খুবই লোভনীয় ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ আপু আপনাদের কাটানোর সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপু খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু ছিল । আমিও প্রথম খেয়েছিলাম ওই রেষ্টুরেন্টটিতে। আসলে এত মজার হবে খাবারগুলো আশা করিনি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো খুব সুন্দর। খুব সুন্দর একটি মুহূর্তের বর্ণনা করেছেন। অনেক সময় আমরা পরিবার থেকে অনেক দূরে সরে যাই। পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের কষ্টগুলোকে দূর করতে পারে। খাবার এর পিকগুলো আকৃষ্ট করছে, হা হা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পরিবারের সঙ্গে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি এবং খাবার গুলো খুব মজাদার ছিল। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার আজকের পোস্ট এর টাইটেল টা পড়ে কেমন জানি আমার কাছে একটু হাস্যকর মনে হল। তবে যাই হোক এটাই দুনিয়ার কাজকর্ম। বেশ ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট পড়ে।
আমার টাইটেল পড়ে কেন হাস্যকর মনে হল বুঝতে পারলাম না। বুঝিয়ে বললে মনে হয় ভালো হত। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
মার্কেটে গেলে আমারও হঠাৎ করেই খিদে লেগে যায়। বাসায় থাকলে আসলেই খিদে পায় না। খালা ভাগ্নের মিল আছে। 😜
পরিবার নিয়ে এভাবে বাইরে ঘুরতে গেলে দারুন মজা হয়। আপনার আনন্দের মুহূর্তের স্মৃতিগুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
তাইতো বলি ছেলে এমন কেন করে। বাইরে গেলেই খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। এখন বুঝলাম খালার মত হয়েছে😛।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আপনার বাচ্চাদের নিয়ে টুকটাক কেনাকাটা করেছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। পরিবারকে মাঝে মাঝে এভাবে টাইম দিয়ে বাইরে বেরোনো খুব ভাল উদ্যোগ আমি মনে করি আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল এবং বাচ্চাদের জন্য অনেক দোয়া থাকলো
আমি তো প্রতি ছুটির দিনেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে চলে যাই বাচ্চাদের কে নিয়ে। বেশ ভালো সময় কাটে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভাল লাগল। খাবার দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল। এমন খাবারের ফটো দেখলেই জিভে পানি চলে আসে।যাইহোক,শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে খাবারগুলো অনেক মজাদার ছিল। প্রথমে ভাবিনি যে এত ভালো হবে খাবারগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে পাশে থাকার জন্য।