এসো নিজে করি রঙিন কাগজ দিয়ে মাছ তৈরি🐬🐋
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস নিয়ে। এর আগে আপনাদেরকে বলেছি রঙিন কাগজের বিভিন্ন জিনিস বানালে আমার একসঙ্গে দুটি কাজ হয়ে যায়। পোস্ট তৈরি হয়ে যায় আবার বাচ্চাদের খেলনা তৈরি হয়ে যায়। বাচ্চারাও খুশি আমিও খুশি। সেজন্য আজকে আবার রঙিন কাগজের একটি মাছ তৈরি করেছি। মাছ তৈরি করার পর মাছটি দেখতে খুব চমৎকার লাগছিলো। বাচ্চাটা খুবই খুশি হয়েছে এই মাছটি পেয়ে।মাছটি দিয়ে ততক্ষণ খেলা করেছে যতক্ষণ না মাছটি ছিঁড়ে গিয়েছে। সময়ের অভাবে আসলে রঙিন কাগজ নিয়ে বসা হয় না। একবার বসতে পারলে তখন বানাতে বেশ ভালই লাগে। রঙিন কাগজ দিয়ে মাছ কিভাবে তৈরি করেছি তা আপনাদেরকে ধাপে ধাপে দেখাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- রঙিন কাগজ
- কাঁচি
- আঠা
প্রথমে চারকোনা একটি কাগজ নিয়ে মাঝ বরাবর কোনাকুনি ভাঁজ করেছি। তারপর ভাঁজ খুলে দুই কোনা থেকে ভাঁজ করেছি।
![]() | ![]() |
---|
এখন আবার ভাঁজটিকে খুলে কোনাকুনি ভাঁজ করেছি। তারপর কাঁচি দিয়ে এভাবে কেটে নিয়েছি।
এখন এক সাইডে আঠা লাগিয়ে নিয়েছি। তখন মাছটি এমন হয়েছে।
এখন আরেকটি কাগজ নিয়ে এভাবে U এর মত এঁকে নিয়ে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
তারপর মাছের মাথায় লাগিয়ে দিয়েছি জিহ্বা বানানোর জন্য।
এখন হলুদ আরেকটি কাগজকে আবার U এর মত এঁকে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি। তারপর জিহ্বা উপরে লাগিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
দুইটি হার্ট এঁকে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি। একটা হার্টকে মাঝ বরাবর কেটে নিয়েছি। সাদা আর কালো দুটি গোল কাগজ কেটে নিয়েছি চোখ বানানোর জন্য।
এখন হার্ট এবং চোখগুলো মাছের উপর লাগিয়ে দিয়েছি।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল রঙিন কাগজ দিয়ে মাছ। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্ট দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি মাছ তৈরি করেছেন আপনি মাছটি দেখতে বেশ কিউট লাগছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনার উপস্থাপনা করেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রঙিন কাগজের তৈরি মাছটি আপনার কাছে কিউট লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।ভাইয়া শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
রঙিন কাগজ ব্যবহার করে আপনি খুব সুন্দর করে মাছ এর অরিগামি তৈরি করেছেন। যা দেখতে বেশ ভালো লাগতেছে আমার কাছে। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিটি ধাপের বর্ণনা শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। কেন ভাই এরকম একটি কারুকাজ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার মাছের অরিগামি টা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। এভাবেই পাশে থাকবেন আশা করি।
রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি মাছ তৈরি করেছে। ঠিক বলেছেন রঙিন কাগজের এসব জিনিস গুলো বাচ্চারা দেখলে খুবই খুশি হয়। কিন্তু সময়ের অভাবে আমিও তেমন একটা করতে পারি না। আপনার আজকের মাছ তৈরি কি সত্যিই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে একজন সত্যিকারী মাছের মত দেখাচ্ছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সময়েরই তো বড় অভাব আপু। সময় হলে এগুলো বানানো কোন ব্যাপারই না। বাচ্চারাও খুব পছন্দ করে । যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার তৈরি মাছের চোখ দুইটা আমার কাছে হেব্বি লেগেছে ।সিসিম পুরের হালুমের কথা মনে পড়ে গেল ।
খুব সুন্দর হয়েছে আজকের কাগজের তৈরি মাছের অরিগামিটি ।
সিসিমপুরের হালুমকে আমিও অনেক দেখেছি। ভালই লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার রঙিন কাগজের তৈরি মাছটি সত্যিই চমৎকার হয়েছে ।আপনি ঠিকই বলেছেন রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে একদিকে বাচ্চারা খুশি হয় আরেকদিকে নিজেরও পোস্ট হয়ে যায় ।বেশ ভালো লাগলো আপনার মাছ টি দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার বাচ্চারা এই রঙিন কাগজের জিনিস দিয়ে দু-এক দিন খেলে। তারপর কোথায় হারিয়ে যায় তার কোন ঠিক নেই। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনি এত কষ্ট করে বানালেন আর বাচ্চারা কিছুক্ষণ খেলেই ছিঁড়ে ফেলল হা হা হা। রঙিন কাগজের তৈরি কাজ গুলো আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। ঠিক তেমনি আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে রঙ্গিন কাগজ দিয়ে মাছ তৈরি করেছেন। রঙিন কাগজের তৈরি মাছ টি আমার কাছে দেখতে খুব ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তাও তো কিছুক্ষণ খেলে তারপরে ছিঁড়েছে । মাঝেমধ্যে তো সঙ্গে সঙ্গেই ছিড়ে ফেলে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস বানালে একসাথে দুটি কাজই হয়ে যায় বাচ্চারাও খুশি হয় আবার আমাদের কাজটাও হয়ে যায় ।আমার বাচ্চাতো এ ধরনের খেলনা পেলে একেবারে পানিতে নিয়ে ভেজাতে থাকে। আপনার আজকের রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো মাছটি খুব সুন্দর হয়েছে। এই মাছগুলো দেখতে আসলে ভালই লাগে।
আসলে বাচ্চাদের খুশি দেখে মাঝে মাঝে বানাতে ইচ্ছা করে । ধন্যবাদ আপু আপনাকে সময় নিয়ে আমার পোস্ট দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রঙিন কাগজ ব্যবহার করে চমৎকার একটি মাছ তৈরি করেছেন আপু। এত বড় করে হা করে আছে মনে হচ্ছে কিছু একটা গিলে খাবে। অসাধারণ লাগছে মাছটি দেখতে। বিশেষ করে চোখগুলো খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
সাবধান আপু আপনাকে না আবার খেয়ে ফেলে😛 ।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার রঙিন কাগজ দিয়ে মাছ তৈরি দেখতে খুবই দারুন লাগলো আমার কাছে। রঙিল কাগজ দিয়ে কোনো কিছু বানানো মজাই আলাদা। আপনি এত সুন্দরভাবে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনাকে করেছেন। এক কথায় খুব অসাধারণ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানোর পর দেখতে খুবই ভালো লাগে। এজন্যই মাঝেমধ্যে বানানো হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রায় এমন একটি মাছ আমিও তৈরি করেছিলাম। মাছটি টিকে ছিল বড়জোর এক ঘন্টা। তারপরেই আমার ছেলে সেটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলে হাহাহা। দারুন হয়েছে আপনার হাতের কাজ। হাসিখুশি মাছ, দেখেই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু
আমার ছোটটা পেলেও একই কাজ করে । টেনে ছিঁড়ে ফেলে। বড়টা আবার অনেকক্ষণ খেলে এই কাগজের তৈরি জিনিস গুলো নিয়ে ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।