আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম শ্বশুরবাড়ির কিছু ঘোরাঘুরির ফটোগ্রাফি নিয়ে। আপনারা ভাবছেন যে আমি এর আগে বলেছি গরমের জন্য কোথাও ঘুরতে যাইনি। তারপরও এত জায়গায় ঘুরার ছবি। আসলে আমি ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। সেটি হোক কারো বাসায় অথবা কোন জায়গায়। কেউ আমাকে ঘুরার কথা বলে আমি এক পায়ে রাজি হয়ে যাই । প্রতিবার শ্বশুরবাড়িতে আসলে আরো অনেক বেশি জায়গায় ঘুরতে যাই। কিন্তু এইবার গরমের কারণে খুবই অল্প জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। তা না হলে আরো বেশ কয়েকজনের বাসায় দাওয়াত খেতে যেতাম। তাছাড়া আশেপাশে আরো কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল । কিন্তু গরমের কারণে একদমই যেতে ইচ্ছা করেনি। প্রতিদিনই দোয়া করেছি আজ যেন একটু বৃষ্টি হয়, তাহলে ঘুরতে যাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বৃষ্টির দেখা পেলাম না।
আজকে গিয়েছিলাম আমার ননদের বাসায়। আপনারা হয়তো ভাবছেন যে এর আগে একদিন বললাম যে ননদের বাসায় গিয়েছি। না সেইদিন ননদের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম। আজকে গিয়েছি ননদের বাসায়। যখন রেডি হয়ে বারান্দায় দাঁড়ালাম তখন হঠাৎ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছি। আকাশে একেবারে ছোট ছোট ফেনার মত মেঘ জমে আছে। দেখে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
উপরের ছবি তিনটি দেখেই বুঝতে পারছেন যে কি অসম্ভব সুন্দর লাগছিল আকাশ দেখতে।
আজকে গরম একটু কম ছিল সেজন্য আমরা রিক্সায় করে গিয়েছিলাম। আমরা বিকালের দিকে বের হয়েছিলাম। তখন সূর্য প্রায় ডুবতে বসেছিল। সূর্য একেবারে লাল রং হয়ে গিয়েছিল। উপরের ছবিগুলো দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
উপরের বাকি ছবিগুলো আমি রিকশায় যেতে যেতে বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলেছি। সূর্য ডোবার মুহূর্তে প্রকৃতির খুবই চমৎকার একটি কালার হয়। সেই মুহূর্তে ছবিগুলো আসলেই অসম্ভব সুন্দর হয়।
আমি আমার ননদের বাসায় প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি। এই নিচের গাছের ছবিটি ওর বাসার কাছ থেকে তুলেছি। ওর বাসা বাজারের সঙ্গেই। বাজারে টুকটাক কেনাকাটা ছিল। তাই ওর বাসা থেকে চা খেয়ে বাজারে কেনাকাটা সেরে রাতের খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে চলে এসেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
আপু আপনি কি খবর রেখেছেন? আপনার ননদের ননদের ননদকে আমি প্রেম করেছি। আপনি যখন ননদের বাড়িতে যেয়ে ফটোগ্রাফি করে বেড়াচ্ছিলেন। আমি তখন আপনার ননদের ননদের ননদকে নিয়ে প্রেমে মগ্ন ছিলাম। আহ সে কি প্রেম! 🤣
চালিয়ে যান। আমি জেনে কি করবো? ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সত্যি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এবার ঈদে যা গরম গেল তাতে ঘোরাঘুরি করাটা সত্যি অনেক কষ্টের ছিল। তার পরেও আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি না গেলেও নয়। ছবিগুলো অনেক সুন্দর উঠেছে। এরকম আকাশ আর আকাশের সাদা মেঘ আমি আগে কখনোই দেখিনি। চমৎকার লাগলো ছবিগুলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রচন্ডরকম গরম ছিল সেজন্য খুব বেশি জায়গায় যাওয়া হয়নি। তারপরও যেসব জায়গায় না গেলেই নয় সেইসব বাসাতেই গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ননদের বাসায় যাওয়ার পথে অপরূপ সৌন্দর্যময় কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে আকাশের ফটোগ্রাফি গুলো আমার মন ছুঁয়ে গেছে। এত সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝ উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আকাশের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছেও খুবই চমৎকার লেগেছিল। এত সুন্দর আকাশ আমি আগে কখনো দেখিনি। সেজন্য ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে পরিবেশের অবস্থা এখন এমন হয়ে গিয়েছে বর্ষাকাল তারপরও আমরা বৃষ্টির দেখা পাচ্ছি না।
ননদের বাড়িতে ভ্রমণ করতে যেয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে যে কোন মানুষ মুগ্ধ হয়ে যাবে তাই আমি মনে করি।
আসলেই অনেক গরম ছিল ওই সময়টা। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার ফটোগ্রাফি গুলো পছন্দ করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপনার ননদের বাসায় যাওয়ার পথে। আমার কাছে আপনার প্রথম ফটোগ্রাফি গুলো বেশি ভালো লেগেছে। মেঘের ফটোগ্রাফি আমার কাছে এমনিও বেশি ভালো লাগে। খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ননদের ভাষায় ঘুরতে যাওয়ার প্রাক্কালে আপনি অনেকগুলো ছবি ক্যামেরা বন্দি করেছেন ।সবগুলো ছবি ছিল প্রাকৃতিক দৃশাবলি নিয়ে। গুলো ফটোগ্রাফ অনেক গর্জিয়াস ছিল ।পাশাপাশি কভার ফটোটাও ছিল অনেক সুন্দর ।সবগুলো ছবি কভার আপ করেছেন। এত সুন্দর ফটোগ্রাফার গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি অনেক শুভকামনা রইল।
বুঝতে পারলাম আপনার লেখা পড়ে দাওয়াত খেতে খুব ভালোবাসেন। তাই আমার বাসায় আপনার দাওয়াত রইল ,অবশ্যই আসবেন। শ্বশুরবাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু খুবই ভালো লাগছে। বিশেষ করে আকাশের ফটোগ্রাফি চমৎকার ছিল।