সিলেট চা বাগানে একদিন(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বেশ কিছুদিন আগে সিলেটে গিয়েছিলাম। তখন চা বাগানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেই চা বাগানের ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি। তাই আজকে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ ছবিগুলো দেখলাম। ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি ছবিগুলো। আপনাদের ভালো লাগবে।
দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়া করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম চা-বাগানের উদ্দেশ্যে অবশ্য আমাদের বাসা থেকে বের হতে দেরী হয়ে গিয়েছিল। আমরা চা বাগানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। এজন্য আমরা চা বাগানের ভিতর দিকে যেতে পারিনি। যেখানে চা বাগানের আসল সৌন্দর্য রয়েছে। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন সিনেমার শুটিং হয়। যাই হোক আমরা যে পর্যন্ত গিয়েছিলাম তার কিছু ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
আমরা গিয়েছিলাম শহরের কাছেই মালনিছেরা চা বাগানে। এটি শহরের সবচেয়ে বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। এই চা বাগান ১৮৪৯ সালে লর্ড হার্ডসন ১৫০০ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠা করেন।
আমরা প্রধান রাস্তা দিয়ে যায়নি। আমরা সাইড দিয়ে ঢুকেছি। সেজন্য একদম চা বাগানের ভিতরের রাস্তা দিয়ে উপরে গিয়েছি। এটি হলো চা বাগানের ঢোকার রাস্তা।
এই রাস্তা দিয়ে চা বাগানের আরো অনেক ভিতরে যাওয়া যায়। সেখানে একটি শুটিং স্পট রয়েছে।সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারনে আমরা ভিতরে আর যায়নি।
চা বাগানে ঘুরে আমরা সাত রঙের চা খেতে গিয়েছিলাম। আমার কাছে এই চা একদম ভালো লাগেনি। আমি অল্প খেয়ে আর খাইনি। কিন্তু দেখতে খুব সুন্দর ছিল।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Link | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট এর সৌন্দর্য মূলত চা বাগান কে ঘিরেই। যাইহোক আপনি চা বাগানের অপরুপ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। চা বাগানগুলোর ভিতরে ঢুকলে যে দিকে তাকাবো চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। এই সবুজের সমারোহে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে মনের মধ্যে বেঁশ একটা প্রশান্তি কাজ করে। ধন্যবাদ অনেকগুলো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া চা বাগানের ভিতরে ঢুকলে চারপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। এত ভাললাগে দেখতে যে কি আর বলব। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সিলেটের চা বাগান যাওয়ার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। কিন্তু সেই ইচ্ছা এখনো পূরণ হয়নি। তবে তেতুলিয়া চা বাগান গিয়েছিলাম। চা বাগানের আঁকাবাঁকা পথ গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। অবশ্যই কোন একদিন ঘুরে আসবো সিলেটের চা বাগান। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে অবশ্যই একদিন ঘুরে আসবেন ভাইয়া। খুব ই ভাল লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সিলেট এখন পর্যন্ত যাওয়া হয় নি আমার খুব শখ সিলেট চা বাগানে ঘুরে বেড়ানো ও পরিবেশ টা উপভোগ করার। আমার কাছে ভালো লাগলো আপনার চাবাগানে ঘুরে বেড়ানো স্মৃতি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সময় নিয়ে আমার পোস্ট টি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনি চা বাগানের একটি আনন্দময় মুহূর্ত কাটিয়েছেন। চা বাগানে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে । আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু বিশেষ করে চার বাগানের সাত রংয়ের চা খাওয়ার আমার খুব ইচ্ছা। একদিন অবশ্যই যাবো। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই সাত রঙের চা আমার কাছে ভালো লাগেনি। অবশ্য আমি সবটুকু খাইনি। একটা লেয়ার শুধু খেয়েছিলাম। প্রতি লেয়ার এ নাকি আলাদা মজা। আপনি খেয়ে দেখতে পারেন। ভালও লাগতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সিলেটের চা বাগান ঘুরে দেখা হয়নি তবে আপনার পোস্ট দেখে সিলেটের চা বাগানের সৌন্দর্য সম্পর্কে কিছু ধারনা পেলাম। প্রতিটা ছবি অনেক যত্নসহকারে তুলেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ছবির সৌন্দর্য যেন জায়গাটা ঘুরে আসার প্রতি একটা আগ্রহ জন্মেছে।আপু অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সময় পেলে একবার গিয়ে ঘুরে আসবেন ভাইয়া। ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ইচ্ছা তো আছে আর বাকিটা উপর আল্লাহর ইচ্ছা।
আপু চা বাগানে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন। যদিও এখনও সিলেটে যাওয়া হয়নি তবে এখানে ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় চা বাগানে গেছিলাম দেখতে। অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। এভাবেই পাশে থাকবেন আশা করি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি সিলেট এবং চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি চা-বাগানে গিয়েছি। বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে সিলেটের চা বাগান গুলো অন্যতম কিন্তু কেন যেন আমার চা বাগানগুলোতে দুবার যেতে ইচ্ছে করে না। সে তুলনায় সমুদ্র আমার কাছে বেশি প্রিয়। যাইহোক চাবাগান যেমনই হোক না কেন আপনার চা এর ছবিটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
চা বাগান আর সমুদ্র দুটির সৌন্দর্য একেবারেই আলাদা। আপনি কি কখনো দার্জিলিংয়ের চা বাগানে গিয়েছেন। ওখানকার চা বাগানে গেলে বুঝতে পারতেন যে চা বাগানের সৌন্দর্য কি। বারবার যেতে মন চাইতো। অসম্ভব সুন্দর লাগে দার্জিলিং এর চা বাগান। চা বাগানের ভিতর মেঘের খেলা।
না আপু। সেই সুযোগ এখনো হয়নি। তবে ইচ্ছা আছে এ এবছর ভারত যাব। কোথায় যাব এখনো ঠিক করিনি।
আপু সিলেটের চা বাগানের কথা তো অনেক শুনেছি এবং এই চায়ের কথাও তো শুনেছি। কিন্তু কখনো যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তবে বাগানের সতেজ টাটকা চা দেখে তো আর তর সইছে না মনে হচ্ছে এখুনি চোলে যাই আর চা খেয়ে সতেজ হয়ে ফিরে আসি। যাইহোক আপনার উপস্থাপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুন ছিল আপু।
চলে যান ভাইয়া খুব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।