বাইরে ঘুরাঘুরি ও খাওয়াদাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এর আগে একদিন বলেছিলাম যে আমাদের ম্যারেজডে ছিল। সে উপলক্ষে দুপুরে বাসায় টুকটাক খাওয়ার আয়োজন করেছিলাম। বিকেল বেলায় হাসবেন্ড আমাকে যমুনা ফিউচার পার্কে নিয়ে গিয়েছিলো কিছু কিনে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমি একটু ভালো গিফট নিব জন্য সেদিন আর কিছু কিনিনি। তাছাড়া হাজবেন্ডকে কিছু শার্ট প্যান্ট কিনে দিলাম আমার পক্ষ থেকে। কেনাকাটা শেষ হয়ে যখন বাসায় ফিরব তখন হাসবেন্ড বললো যে বাইরে থেকে কিছু খাওয়া দাওয়া করে যাই। যদিও দুপুরে অনেক ভারী খাবার খেয়েছিলাম জন্যই তেমন খাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। তারপরও বাচ্চাদের জন্য যেতে হলো। আমরা বসুন্ধরার ভিতরেই ঢালী ফুড সেন্টার এর ভিতরের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। এখানে একসঙ্গে তিনটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আমরা পেপার এবং জিনজার নামক রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম।
এই রেস্টুরেন্টটি একটু অন্যরকম। বেশিরভাগই ইয়াং ছেলেমেয়েরা অনেক রাত পর্যন্ত এখানে আড্ডা দেয়। ঢোকার সঙ্গেই লাউড স্পিকারে গান বাজছিল এবং বেশ ভালই লাগছিল পরিবেশটা। ভিতরেও বেশ সাজানো গোছানো সুন্দর পরিবেশ দেখলাম। আমি অবশ্য এখানে আগে কখনো আসিনি। আমার হাসবেন্ড বেশ কয়েকবার গিয়েছিল জন্য এখানে এবার নিয়ে গিয়েছিল।
এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আমার কাছে এই খাবারের সিস্টেমটা ভালো লেগেছিল। এখানে প্রায় ২৫/৩০ রকমের খাবার ছিল। আপনি একটি বাটিতে আপনার পছন্দ মত যতগুলো খাবার ইচ্ছামত আইটেম নিয়ে ওজন করে দাম দিবেন। এখানে ওজন সিস্টেমে এই খাবারগুলো বিক্রি হয়। আমরা বেশ কিছু খাবার একটি বাটিতে নিয়েছিলাম। এই ওজন করা খাবার গুলোর দামও আমার কাছে তুলনামূলকভাবে কম লেগেছে। উপরের ছবিতে নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন। আমরা একদম কিচেনের পাশে বসেছিলাম জন্যই তাদের রান্নাও দেখতে পারছিলাম।নিচের ছবিটি তাদের কিচেনের ছবি।
প্রথমে এক বাটি ভর্তি করে আমরা বিভিন্ন আইটেম নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। পরে ভালো লাগাতে আরো কয়েকবার নিয়ে এসে খেয়েছিলাম। বেশ মজাদার ছিল খাবারগুলো।
যাইহোক খাবারদাবার গুলো বেশ ভালই ছিল। খাওয়া দাওয়া শেষে কোলড্রিংস খেয়ে আমরা বাসায় চলে আসলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ভাইরে ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করার জন্য আমিও মাঝে মাঝে গিয়ে থাকি। আসলে বাইরে ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করার মাঝে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি বেশ মজা করে খেয়েছেন খাবার গুলো। আপনাদের মুহূর্তটি তাহলে বেশ ভালোই কেটেছে।
জি আপু খাবার খেয়ে বেশ ভালো লেগেছিলো। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহিরে রেস্টুরেন্টে গিয়ে এভাবে খাওয়া-দাওয়া করার মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি রয়েছে বলতে হয়। আমরাও মাঝেমধ্যে গিয়ে থাকি বাহিরে ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করার জন্য। বিকেল বেলায় আপনার হাসবেন্ড আপনাকে নিয়ে একটি পার্কে ঘোরাঘুরি করার জন্য গিয়েছিল তাহলে। আপনি আপনার পক্ষ থেকে আপনার হাসবেন্ডকে কিছু শার্ট প্যান্ট কিনে দিয়েছেন এটা যেন ভালো লাগলো। আপনাদের কাটানো এত সুন্দর একটা মুহূর্ত দেখে ভালোই লাগলো।
পার্কে ঘুরতে যায়নি ভাইয়া। এটা একটা মার্কেট। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ওজন করে খাবার খাওয়ার এই ব্যাপারটা আমার কাছে বেশি ইন্টারেস্টিং লাগে। আমিও বেশ কিছুদিন আগে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম, যেখানে ওজন করা হয় পছন্দমত খাবার নেওয়ার পর। এতে করে নিজের ইচ্ছামত খাবার নেওয়া যায়,আবার নষ্টও হয় না। বেশ ভালো সিস্টেম। আমি আগে প্রচুর রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করতাম। ইদানিং বেশ খানিকটা কমিয়ে দিয়েছি। যাই হোক আপনাদের দাম্পত্য জীবন আরও বেশি ভালো হোক এটাই কামনা করি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ওজন করে নেয়ার জন্য যার যতটুকু লাগে সে ততটুকুই নেয়। নষ্ট হয় না খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ার জন্য।
আপু আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি তথ্য জানতে পারলাম। জীবনে এই প্রথম শুনলাম যে রেস্টুরেন্টে খাবার ওজন করে বিক্রয় করা হয়। আপনার পোস্ট দেখে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার ইচ্ছা জাগল। অবশ্যই একদিন সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে হাজির হবো। ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া এমন অনেক রেস্টুরেন্ট আছে ওজন করে খাবার নেয়া যায়। আবার এমনিতেও খারার অর্ডার করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা আমার কাছে খুব সুন্দর লেগেছে। খাবারের ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খাবারের মানও বেশ ভালো। তবে ওজন দিয়ে খাবারের দাম দেওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে আপু। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।