গন্তব্য যখন নিজের বাসা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বেশ কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। প্রায় ১০ দিনের মত ছিলাম। আরো কিছুদিন থাকার ইচ্ছা ছিল কিন্তু বড় ছেলের স্কুল খোলার কারণে চলে আসতে হয়েছে। বাচ্চাকাচ্চা স্কুল শুরু হয়ে গেলে চাইলেও আর মন মত কোথাও বেড়ানো যায় না। তাছাড়া এবার গিয়ে ঠান্ডার জন্য খুব একটা ঘুরতেও পারিনি। ঢাকায় ঠান্ডা ছিল না বাসায় গিয়ে হঠাৎ করে অনেক ঠান্ডা পেয়ে গিয়েছিলাম । এজন্য খুব একটা ঘোরাঘুরি করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া শীতের দিন অলস কাটে, কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না। আবার তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার আমার হাসবেন্ড গিয়েছিল আমাদেরকে আনার জন্য। রবিবার থেকে ছেলের স্কুল শুরু শনিবারে গিয়ে বই খাতা নিয়ে আসতে হবে স্কুল থেকে। সেজন্য আমরা শুক্রবারে রওনা দিয়ে দিয়েছি।
ইচ্ছে ছিল সকালের নাস্তা করে চলে আসবো। কিন্তু সকাল বেলায় উঠতে উঠতেই দেরি হয়ে গিয়েছিল। তার জন্য সাড়ে বারোটার বাসের টিকিট পেয়েছিলাম। অবশেষে সাড়ে বারোটার সময় আমরা ফরিদপুর থেকে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে।
এবার বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে খুব ভালো লেগেছিল নতুন কাউন্টারটিতে দেখে। অনেক বড় কাউন্টার করেছে এবং ভেতরের পরিবেশটা খুব সুন্দর সাজানো গোছানো। আগের কাউন্টারটা ছোট ছিলো। কাউন্টারের ভিতরে গিয়ে বসার জায়গায় পাওয়া যেত না। আমাদের বাস আসতে একটু দেরি হয়েছিল। সেজন্য আমরা ভিতরে গিয়ে বসলাম। ভিতরে গিয়ে বসে বেশ ভালো লাগছিল। অনেকগুলো বসার জায়গা ছিল এবং খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন লাগছিল দেখতে। অনেক ভিড় ছিল। জানিনা এখন সব সময় এই বাসের কাউন্টারে এত ভিড় কেন থাকে। যেখানে সময় এখন অনেক কম লাগে। ভিতরের পরিবেশটা দেখে আমার কাছে ভালো লাগলো তাই কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। নিচের ছবিগুলো কাউন্টারে বাইরে দাঁড়িয়ে তুলেছি।
নিচের ছবিটি তুলেছি পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে। পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে যে রাস্তাটি করেছে অসম্ভব সুন্দর রাস্তাটি। অনেক দূর থেকেই রাস্তাটি শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে এরকম একটি ব্রিজ দেখলাম তৈরি করছে। হয়তো এটি রেল লাইনের রাস্তা।
আজকের ওয়েদারটা খুবই কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। সূর্য কুয়াশার জন্য দেখাই যাচ্ছিল না। তাছাড়া নিচের ছবির এই জায়গায় এসে নামাজের বিরতি দিয়েছিল। ১৫-২০ মিনিট সময় লেগেছিল সকলের নামাজ পড়তে। এরই মধ্যে বাসের মধ্যে কিছু লোকজন হৈচৈ শুরু করে দিয়েছে। কেন রাস্তায় নামাজের জন্য এত সময় নষ্ট করছে। খুবই খারাপ লেগেছে বিষয়টি দেখে। যেহেতু শুক্রবারের নামাজ সে জন্যই এই বিরতি দিয়েছিল এমনি দিন হলে তো আর দেয় না। অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থাকে সেই বিষয় ঠিকই মেনে নেয়। কিন্তু নামাজের জন্য ৫-১০ মিনিট বিরতি আর লোকজনের সহ্য হচ্ছিল না । কিছু কিছু লোকজন আবার তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল।
সবশেষে আমরা তিনটার সময় বাস থেকে নেমে পরি। নেমে একটা উবার ডাক দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। অবশেষে আমরা পৌনে চারটার সময় বাসায় পৌঁছে যাই। কাল থেকে আবারো শুরু হবে সেই পুরনো রুটিন। যাইহোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আসলে শীতকালে প্রচুর শীত থাকা সত্বেও সবাই ভ্রমন করতে বের হয় এজন্য যানবাহন গুলোতে লোক বেশি হয়। আর গ্রামের দিকে একটু বেশি শীত।এই তো কদিন আগে গিয়েছিলাম বাবার বাগি গিয়ে তো ঠান্ডা লেগে গেছে মা ছেলের।তারপর আপনার ভাইয়া আর থাকতে দেয়নি।যাক সাবধানে বাসায় গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু শীতকালে সব বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকে।এ জন্যই সবাই বাইরে ঘুরতে যায়। তাছাড়া আমার বাবার বাড়ি গ্রামের দিকে না শহরে। তারপর ওই দিকটা একটু ঠান্ডা বেশি পরে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দেখতে দেখতে ১০ দিন হয়ে গিয়েছে।আমার মনে হচ্ছিলো এই তো সেই দিন গিয়েছিলেন।আসলেই গ্রামে অনেক শীত পরে, ছোট বাচ্চা নিয়ে বেশ ঝামেলা হয়।ছেলেমেয়েদে স্কুল কলেজের জন্য বেড়ানো বেশ মুশকিল হয়ে পরে।যাক ভালোমত বাসায় ফিরেছেন শুনে ভালো লাগছে।আবার শুরু হবে ব্যস্তময় রুটিন।
একদম ঠিক দেখতে দেখতে দশ দিন হয়ে গেল। তাছাড়া আমাদের বাসা গ্রামের দিকে না শহরেই বাসা। তারপরও ঠান্ডা বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতের সময়টা সবার ওই একটু অলস কাটে আপু। বাবার বাড়িতে নিশ্চয়ই খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। এখন থেকে আবার পুরনো নিয়মে পুরনো রুটিন শুরু হল। ঠিক বলেছেন আপু কাউন্টারের ভিতর দেখে বোঝা যাচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এরকম গাছ-গাছালি থাকলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আপু। ঠিকঠাক মত আপনার গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু এখন আবার পুরনো রুটিন শুরু। কয়েকদিন একটু রিলাক্সে ছিলাম। কাউন্টারটা আসলেই অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ডিসেম্বর মাসটা যেন ঘোরাঘুরির এক উপযুক্ত সময় কারণ এই সময়ে ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজ বন্ধ থাকে যার কারণে সবাই হয়তো মার বাড়িতে ঘুরতে চায় আপনিও তাদের মধ্যে একজন। সেখানে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আবার আপনাদের ঠান্ডাও লেগে গিয়েছে। আসলে বর্তমান প্রচন্ড শীত পড়ছে যার কারণে আবহাওয়া যখন তখন পরিবর্তন হচ্ছে ঠান্ডা লাগাটা স্বাভাবিক। অবশেষে নিজ বাসায় ফিরেছেন খুবই ভালোভাবে এটা জেনে আরো ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ডিসেম্বরে সব বাচ্চাকাচ্চার স্কুল বন্ধ থাকে জন্যই সবাই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। আমি তো ভেবেছিলাম যে আমাদের বাসার ওদিকে ঠান্ডা বেশি। এখন ঢাকায় এসে দেখছি এখানেও অনেক ঠান্ডা পড়ছে। সকালবেলা তো কুয়াশার জন্য কিছু দেখাই যায় না।
এই তো সেদিন গেলেন, এর মাঝেই দশ দিন হয়ে গেল!!! বাসের কাউন্টার টা সত্যিই ভালো লাগলো দেখে। পরিবেশটা বেশ👌। পদ্মা সেতুর জন্য খুব দ্রুত যাওয়া আসা করা যাচ্ছে। এটা অনেক ভালো একটা দিক। বাবার বাড়ি থেকে ব্যাগ ভর্তি করে কি কি নিয়ে আসলেন আপু 🤔? সেটা নিয়ে তো কোন লেখা দেখছি না 😉
বাবার বাড়ি থেকে কিছুই নিয়ে আসেনি। ঠিকই বলেছেন ভাইয়া দেখতে দেখতে দশ দিন চলে গেছে টেরই পাইনি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।