বেগুন দিয়ে ছুরি শুঁটকি ভুনা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আবারো হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকে সারাদিন খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। অনেকদিন ঝামেলার জন্য বাবার বাড়িতে যেতে পারছিলাম না। ছেলের স্কুল, দাঁতের অপারেশন সব মিলিয়ে বারবার যাওয়া ক্যানসেল হচ্ছিলো। অবশেষে আজ বাবার বাড়িতে যাব বলে ঠিক করেছি। সেজন্য বাসায় টুকটাক কাজ ছিল। টুকটাক কাজ বললে ভুল হবে। অনেক কাজ ছিল। যেহেতু আমি আট দশ দিন বাসায় থাকবো না সেজন্য আমার হাজবেন্ডের জন্য রান্না করে রেখে গিয়েছি। আবার ব্যাগ গোছানো। তাছাড়া সব মিলিয়ে সারাদিন খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তারপরও রাতে একটু সময় বের করে ভাবলাম যে পোস্টটা করে ফেলি। কারণ কালকে তো আরো সময় পাবো না। যাই হোক ছুরি শুটকি এমনিতে খেতে খুব ভালো লাগে। বেশি করে পিঁয়াজ রসুন দিয়ে ভুনা করলে ভালো লাগে। আবার কুচি কুচি করে বেগুন কেটে রান্না করলেও ভালো লাগে। আজকে আমি বেগুন দিয়ে ছুরি শুটকি রান্না করেছি। এভাবে রান্না করে গরম ভাতের সঙ্গে খেলে খুবই ভালো লাগে। আশা করি আপনাদের কাছে রেসিপিটি ভালো লাগবে।
বেগুন
পিঁয়াজ
কাঁচা মরিচ
রসুন
আদা বাটা
রসুন বাটা
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
ধনিয়া গুঁড়া
লবণ
সরিষার তেল
ধনিয়া পাতা
প্রথমে গরম পানির মধ্যে শুটকি গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে শুটকি গুলোর কাটা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচিগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর রসুন কুচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
রসুন, পিঁয়াজ এবং কাঁচামরিচগুলো হালকা ভেঁজে নিয়ে তার মধ্যে শুটকিগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ভালোমতো ভেঁজে নিয়েছি। তারপর বাটা-মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো দিয়ে একটু কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। সবকিছু ভালো হতো কষিয়ে নিয়েছি। বেশ কিছুক্ষণ কষানোর পর বেগুন কুচিগুলো দিয়ে দিয়েছি।
বেগুন কুচি গুলো মসলার সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে আবারো বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব।
পানি শুকিয়ে গেলে আবারও সামান্য একটু পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করবো।
রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে। এখন ধনিয়া পাতা দিয়ে দিব। তারপর পুরোপুরি পানি শুকিয়ে ভাঁজা হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিব।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেল। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
এভাবে ছুরি শুটকি মাছ ভুনা করলে খেতে খুবই মজা হয়। তবে আমার কাছে বেগুন থেকে আলু দিয়ে করতে বেশি ভালো লাগে। কারণ আমি বেগুন খাই না। সেজন্য আমি দিই ও না। তবে অন্যরা খায় বলে রান্না করা হয় এভাবে। শুধু ছুরি শুটকি মাছের ঝাল ঝাল ভুনা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। দারুন একটা রেসিপি তৈরি করেছেন।আর ভাইয়া কি এতদিন বাসায় একা থাকবে নাকি,পরে খাবে কি🤔🤔
ঠিক বলেছেন শুধু ছুরি শুঁটকি ভুনা করলেও খেতে খুবই ভালো লাগে। একটু অন্য রকম করে রান্নার জন্য বেগুন দিয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু তাহলে তো কাল থেকে কিছু দিন আপনি অনেক আনন্দে থাকবেন। অনেক দিন পর বাবার বাড়িতে গিয়ে সবাইকে দেখলে মন ভরে যায়। এত ব্যস্তার মাঝেও খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপি দেখে আমার আবার খিদা লেগে গিয়েছে। এভাবে বেগুন দিয়ে ছুরি শুঁটকি ভুনা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। অনেক দিন হলো খাওয়া হয়না। এই ভুনা লেবু দিয়ে গরম ভাতের সাথে খেতে দারুণ একটা। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু আনন্দেই থাকবো। অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে গেলে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
বেগুন দিয়ে মজাদার সুস্বাদু ছরি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলেন আমার অনেক ভালো লেগেছে।
জি ভাইয়া খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপু তাহলে সব ঝামেলা কাটিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন। আসলে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। শুটকি আমার খুবই পছন্দের খাবার। সেটা যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে তো একদম জিভে জল চলে আসলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। এইরকম ছোট শুটকি চচ্চড়ি দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে খুব ভালই লাগে। এরকম শুটকি চচ্চড়ি হলে আর তেমন কিছু লাগে না। আপনার বেগুন দিয়ে ছরি শুটকি রেসিপিটি সত্যি খুব লোভনীয় হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নিয়ে একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু সব ঝামেলা কাটিয়া অবশেষে আসতে পেরেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখছি প্রচন্ড রকম ঠান্ডা। ঢাকায় তো ঠান্ডাই ছিল না। যাই হোক আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি যে এতো ব্যস্ততার পরেও এতো সুন্দর একটি রেসিপি তুলে ধরেছেন এটাই বড় পাওয়া ৷যা হোক আপনার ছেলের সুস্থতা কামনা করি৷ যদিও আমি শুটকি মাছ খাই না ৷ তারপরেও বেগুন দিয়ে ছুরি শুঁটকি ভুনা দারুন ছিল ৷
ধন্যবাদ আপু
আমিও আগে শুটকি মাছ খেতাম না। কিন্তু যখন থেকে এর স্বাদ পেয়েছি তখন থেকেই খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেয়েদের এই একটা সমস্যা,কোথাও বেড়াতে গেলে রান্না বান্না করে রেখে যেতে হয়।যাওয়ার আগেও কাজ,এসেও কাজ করতে হয়।যাক তারপর সব ঠিকঠাক করে করতে পেরেছেন তাই অনেক।যাই হোক ছুড়ি শুঁটকি আমার কাছে খুব ভালো লাগে,আর যদি এভাবে পেয়াজ ও বেগুন দিয়ে ভুনা করা হয় তাহল তো আরো দারুন।আপু আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপু আসার আগে একভাবে কাজ করতে হয়। গিয়ে আবার অন্যভাবে কাজ করতে হয়। কিছুই করার নেই। যাইহোক রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে শুটকী যারা খায় না তারা শুটকীর মজা ও বুঝে না। বেগুন দিয়ে ছুরি শুটকি? ওয়াউ দেখেই তো মনে হচ্ছে নিয়ে গোপার গোপ খাওয়া শুরু করে দেই। রেসিপিট দেখে মনে হচ্ছে স্বাদ ও অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে উপস্থাপন করান জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু শুটকি না খেলে শুটকির মজা একদমই বোঝা যায় না। একবার শুটকি পছন্দ হয়ে গেলে তখন আর অন্য কোন তরকারি না হলেও চলে। ধন্যবাদ আপনাকে।