লোভনীয় মাটন রোগান জোশের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আপনাদের সঙ্গে খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করবো। তা হল মাটন রোগান জোশ। এই রেসিপিটির নাম শুনলেই মুখে পানি চলে আসে। অবশ্য খাসির মাংস যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুবই মজা লাগে। খাসির রেজালা, খাসির ঝাল ফ্রাই, খাসির রোগান জোশ। কোনটি রেখে কোনটির কথা বলবো।বাসায় খাসির মাংস আনলে প্রথমে চিন্তায় পড়ে যাই কিভাবে মাংসটি রান্না করবো। কারণ এই তিন রকম ভাবেই খাসির মাংস আবার আমাদের বাসার সবাই খুব পছন্দ করে। এর আগেরবার খাসির রেজালা করেছিলাম। তাই এবার ভাবলাম যে রোগান জোশ করি। অনেকদিন রোগান জোশ তৈরি করা হয় না। এভাবে খাসির মাংস রান্না করলেন এত সুন্দর কালার আসে যে দেখে লোভ সামলানো যায় না। আজকে এই পোস্টটি তৈরি করার সময় তো আমার মুখে পানি চলে এসেছে। অনেক দিন আগে তৈরি করেছিলাম তো তাই। মনে হচ্ছে দু-একদিনের মধ্যে আবার রান্না করতে হবে।
খাসির মাংস যেভাবে রান্না করা হয় এই রোগান জোস একটু ভিন্ন রকম ভাবে রান্না করতে হয়। রোগান জোস রান্না করতে হলে অবশ্যই সরিষার তেলে রান্না করতে হবে। তা না হলে এর আসল মজা পাওয়া যায় না। দুই রকম ভাবে এই রেসিপি তৈরি করা যায়। আগে মাংসগুলোকে সিদ্ধ করে নিয়েও তৈরি করা যায়। আবার আজকে আমি যেভাবে তৈরি করেছি এভাবেও তৈরি করা যায়। দুই রকম ভাবে খেতেই বেশ মজা লাগে। আপনারা সময় পেলে এভাবে বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি খুব ভালো লাগবে।
পিঁয়াজ-- ১ কাপ
আদা বাটা- ১.৫ টেবিল চামচ
রসুন বাটা-- ১ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া--৩ চা চামচ
ধনিয়া গুড়া--১ চা চামচ
গরম মসলার গুড়া --২ চা চামচ
টক দই-- হাফ কাপ
চিনি-- ২ চা চামচ
লবণ-- পরিমাণ মতো
সরিষার তেল-- পরিমাণ মতো
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
পিঁয়াজ কুচি গুলোকে ভেঁজে বেরেস্তা তৈরি করে নিয়েছি। তারপর তার মধ্যে মাংসগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
মাংসগুলো বেশ কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। যখন মাংসগুলো ভাঁজতে ভাঁজতে সাইজে ছোট হয়ে গিয়েছে তখন বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়েছি। তারপর গুঁড়া মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর সবকিছু আবারও নেড়েচেড়ে নিয়েছি বেশ কিছুক্ষণ।
এভাবে নাড়তে নাড়তে যত সময় নিয়ে কষানো যায় রেসিপিটি তত বেশি সুস্বাদু হয়।
এখন একটি বাটিতে টক দই নিয়ে তার মধ্যে চিনি দিয়ে টক দই ভালোমতো ফেটিয়ে নিয়েছি।
টক দই মাংসের মধ্যে দিয়ে মাংসগুলো আবারো নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
ঢাকনা দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি। এত বেশি কষাতে কষাতে টায়ার্ড হয়ে প্রেসার কুকারে দিয়ে দিয়েছি।
মাংসগুলো সিদ্ধ হওয়ার পর আবারো ফ্রাইপ্যানে ঢেলে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করে ঝোল কমিয়ে নিয়েছি। তারপর চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
মাটন রোগান জোশ নামটা কিন্তু খুবই চমৎকার। রেসিপিটি আপনি এত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন যে দেখেই লোভ লেগে গেল। মাটন রোগান জোশ এর আগে আমার কখনোই ট্রাই করা হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম। একদিন বাসায় ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপু।
নামটা যেমন সুন্দর এই রেসিপি খেতেও তেমন মজাদার। অবশ্যই বাসায় ট্রাই করতে পারেন আপু। ধন্যবাদ।
রোগান জোশের রেসিপির একটা ভিডিও কিছুদিন আগেই আপনার ভাইয়া দেখিয়েছিলো আমাকে যে তাকে যেনো রান্না করে দেই।আজ আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম আপু।সত্যিই খুবই লোভনীয় লাগছে রোগান জোশের রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপু দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়াকে বাসায় বানিয়ে দিতে পারেন আপু খুব মজা লাগে খেতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
একবারে প্রথমে রেসিপি ছবি দেখেই জিহ্বায় জল চলে আসলো পরিবেশন করা মাংসের হাড্ডি দেখে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না আপু। আগে থেকে জানলে অবশ্যই আপনার বাসায় হাজির হতাম একটু মনের আয়েশ পূরণ করতাম 🙂
হাড্ডিগুলো বেশ মজা ছিল খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
লোভনীয় এই রেসিপি এভাবে যদি পেজেন্ট করেন তাহলে কিভাবে নিজেকে সামলিয়ে রাখি। রেসিপি তৈরি করা টা এক কথায় অসাধারণ ছিল। খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে দেখিয়েছেন। আর রেসিপি দেখেই বলে দিচ্ছে কতটা সুস্বাদু হতে পারে। খুব সুন্দর হয়েছে আপু আপনার এই রেসিপি প্রস্তুত করা।
নিজেকে সামলাতে না পারলে রেসিপি ফলো করে বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন ভাইয়া। ভালো লাগবে আশা করি।
রেসিপিটা আমার কাছে নতুন লাগলো রোগান জোস নাম টা প্রথম শুনলাম।খাশির মাংশ আমার খুবই পছন্দের অন্য মাংস খেতে পারিনা তাই এটাই খাই।অনেক লোভনীয় লাগছে আপনার রেসিপিটা ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন এর জন্য।
খাসির মাংস আপনার যেহেতু পছন্দ তাহলে এই রেসিপি আপনার কাছে অনেক মজা লাগবে খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
বেশী লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো কঠিন। খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে আপনি এই রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান্নার কৌশলটা অসাধারণ ছিল। আশা করি খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছে।
রেসিপি তৈরির ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
লোভনীয় মাটন রোগান জোশের রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির কালার টাও দারুন হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এলো। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কাশ্মীরি মরিচের গুড়া দেয়ার কারণে কালার এত সুন্দর এসেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খাসির মাংস দিয়ে এরকম ভাবে অনেক লোভনীয় এবং মজাদার রেসিপি তৈরি করা যায়। খাসির মাংস অনেকবার খাওয়া হয়েছে। আমার কাছে খাসির মাংস খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো মাটন রোগান জোশের রেসিপি আমি তৈরি করিনি। রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ইউনিট লেগেছে। সেই সাথে লোভনীয় তো অনেক বেশি মনে হচ্ছে। এখন যেহেতু দুপুর বেলা, এই সময় কিন্তু রেসিপিটা খুবই মজা করে খাওয়া যাবে। আমার তো অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে রেসিপিটা। আর শিখেও নিলাম তৈরি করার পদ্ধতি।
এই রেসিপি যেহেতু কখনো তৈরি করেননি তাহলে অবশ্যই একবার বাসায় তৈরি করে দেখবেন আপু। খুব মজা লাগে খেতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ওরে বাবা! এমনিতেই পেট অনেক খিদা আপু , আজকে রাতে মাংস রান্না হলেও একটু গ্যাসের সমস্যার জন্য খেতে পারিনি কিন্তু রাত যত গভীর হচ্ছে মনে হচ্ছে খুদাটা বাড়তেছে আর আপনার এই রেসিপিটা দেখেই তো লোভ সামনে রাখাই মুশকিল এখন দেখছি। যাই হোক পার্সেল করে পাঠানো তো কোন ব্যবস্থা নেই হলে বলতাম ☺️
ক্ষুধা অবস্থায় যেকোনো খাবার দেখলেই ক্ষুধা আরো বেড়ে যায়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।