রংপুর থেকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছানো

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম ঢাকা থেকে রংপুরে আসার বিষয়ে। রংপুরে মামাশ্বশুরের বাসায় উঠেছিলাম। ওখান থেকে সকালে ভারী খাওয়া-দাওয়া করে বারোটার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার আগে আমার ননদ দুপুরে তার বাসায় খেয়ে যাওয়ার দাওয়াত দিয়েছে। বাড়িতে যাওয়ার পথেই তার বাসা পরে। আমরা যেতে চেয়েছিলাম না। কিন্তু তার জোড়াজড়িতে যেতে বাধ্য হলাম। আমার একটুও ইচ্ছা ছিল না। কারণ সারারাত জার্নি করে আসার কারনে মনে হচ্ছিল যে কখন বাড়িতে যাব আর গোসল করে ফ্রেশ হব। রংপুরে নামার পর থেকেই মনে হচ্ছিল যে এবার বাড়িতে আসার আগে কষ্ট করে যে ২ কেজি ওজন কমিয়েছি বাড়িতে আসার পর এই সাত দিন থেকে তার ডাবল ওজন বাড়িয়ে নিয়ে যাব। কারণ অনেকদিন পর বাড়িতে আসার কারণে সবাই দাওয়াত করে। আর সবার বাসায় না গেলেও মন খারাপ করে। দাওয়াতে গিয়ে তো আর না খেয়ে বসে থাকা যায় না এতো মজার খাবার সামনে দেখে। তাছাড়া এখন আম কাঁঠালের সিজন। সেগুলো তো আছেই। আমার শ্বশুর পাশে বসিয়ে রেখে এগুলো খাওয়াবে। না খেলে আবার মন খারাপ করে। এত আদর পেতে ভালই লাগে। আবার ওজন বেড়ে যাবে সেই চিন্তাতেও মন খারাপ লাগছিল। কারণ অনেক কষ্ট করে ওজন কমিয়েছিলাম। তাছাড়া ঈদের খাওয়া-দাওয়াতো রয়েছেই। কি যে হবে আমার ওজনের বাসায় যেতে যেতে।


IMG_1052.jpeg


IMG_1053.jpeg


IMG_1055.jpeg


মামার বাসায় গেলে ভালই লাগে। বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখা যায়। নতুন বাসা হলে কি হবে সব ধরনের সবজি লাগিয়েছে এবং সব গাছে অনেক সবজি ধরেছে। আমি ছাদে গিয়ে এই ফুল এবং কলার ছবি তুলেছি।


IMG_1056.jpeg


ননদের বাসা থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। যতই গ্রামের দিকে যাচ্ছিলাম ততই মনে হচ্ছে যে সবুজের মধ্যে ডুবে যাচ্ছি। চারপাশে এত সবুজ আর সবুজ। যদিও এখন মাঠ একদমই ফাঁকা। কারণ কিছুদিন আগেই ধান কাটা হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মাঠ দেখতে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় ধানের চারা লাগিয়েছে। সেগুলো দেখতে খুব ভালো লাগছিল।


IMG_1057.jpeg


IMG_1059.jpeg


ঢাকার ওয়েদার মোটামুটি ভালোই ছিল। এজন্য ভেবেছিলাম যে বাড়িতে গিয়ে এবার আরামে কাটানো যাবে। কিন্তু যতই বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম ততই মনে হচ্ছে যে সূর্য মাথার উপরে দাঁড়িয়ে তাপ দিচ্ছে। এত কড়া রোদ উঠেছিলো।


IMG_1061.jpeg


IMG_1063.jpeg


অবশেষে দুই জায়গায় দাওয়াত খেয়ে আমরা বাড়িতে পৌঁছেছি। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 last year 

ওজন কমানো ভীষণ মুশকিল। আমারতো শুধু বেড়েই চলেছে। কিযে হবে নিজেই জানিনা। তবে গ্রামের বাসায় গেলে সত্যি অনেক ওজন বেড়ে যায়। সবার বাসায় গিয়ে মজার মজার খাবার খেতে ভালোই লাগে। শান্তিমত খেয়ে নেন আপু। ঢাকা গেলে ওজন কমানোর অনেক সময় পাবেন। সেখানে গিয়ে তো আর সবার এত ভালোবাসা পাবেননা।

 last year 

ভেবেছিলাম যে এখানে এসে খাবার একটু কন্ট্রোল করে খাবো। কিন্তু এত মজার মজার খাবার দেখে ডায়েটের কথা ভুলেই গিয়েছি। বাসায় গিয়ে যে কি অবস্থা হবে। আবার কষ্ট করে কমাতে হবে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

সত্যি কথা বলতে আপু ওজন কমানো অনেক বড় মুশকিলের ব্যাপার। আমার তো দিনে দিনে ওজন আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও কন্ট্রোল করার অনেক চেষ্টা করতেছি। কন্ট্রোল করে খাওয়া দাওয়া করতেছি জানিনা কি হয়। তবে ঈদ আসলে বিভিন্ন বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে ওজন আরো বেশি বেড়ে যায়। দুই বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার পরে আপনি অবশেষে বাড়িতে এসে পৌঁছেছেন এটার জন্য ভালোই লেগেছে।

 last year 

কন্ট্রোল করে খাওয়া দাওয়া করলেও খুব বেশিদিন তার কন্টিনিউ করা যায় না। আবার দেখা যায় খাওয়া-দাওয়া শুরু করে দেই। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

রংপুর থেকে শ্বশুরবাড়িতে তাহলে পৌঁছে গিয়েছেন আপু। দাওয়াত খেলে স্বাস্থ্য আরো বেশি বেড়ে যায়। যদিও আপনি অনেক কষ্টে ওজন কিছুটা কমিয়ে ছিলেন। ওজন কমানোর সত্যি বড্ড কঠিন একটা ব্যাপার। আর আমিও ডায়েট করার চেষ্টা করতেছি এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করতেছি। গ্রামের পরিবেশটা অনেক সুন্দর আর গ্রামে আসলে মনটা একেবারে ভরে যায়। আশা করছি বেশ ভালোভাবে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করেছিলেন।

 last year 

বাড়িতে আসলে আর খাওয়া দাওয়ার কোন হিসাব থাকে না। ওজন কোন দিক দিয়ে বেড়ে যায় টেরই পাইনা।আবার গিয়ে ওজন কমানোর জার্নিতে নামতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আহারে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছার আগে তাহলে কয়েকটা দাওয়াত খেয়ে ফেললেন। মামাশ্বশুর এবং ননদের বাসায় বারি খাবার খেলেন। আসলে ঈদের সময় কাউকে মানা করতে পারবেন না। দাওয়াত আরো বেশি খেতে হবে। কষ্ট করে ২ কেজি শরীর কমিয়েছেন এখন আরও বেড়ে যাবে শরীরের ওজন। যতই বলেন আপু শহর থেকে গ্রামে গেলে পরিবেশ অনেক ভালোই লাগে। সুন্দরভাবে ঈদের উদযাপন করেন এই কামনা করি ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বাসায় গিয়ে দেখবো যে এই দুই কেজির ডাবল বেড়ে গিয়েছে। কিছু করার নেই আপু ওজন বাড়বে জন্যই ওজন কমিয়ে এসেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

তাহলে অবশেষে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে গেলেন। তবে আপু ঈদের সময় আপন জন গুলো সব সময় দাওয়াত করার জন্য চেষ্টা করে। যদিও আপন জনের দাওয়াত না খান তাহলে তাদের মনে কষ্ট যাবে। কষ্ট করে দুই কেজি ওজন কমিয়েছেন। আবার অতিরিক্ত শরীর অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপরও খাওয়া দাওয়া গুলো নিয়মমাফিক করে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো হয়। আর যারা শহরে থাকে বিশেষ করে তারা গ্রামে গেলে তাদের কাছে পরিবেশ অনেক ভালো লাগে। যাইহোক আপু খুব সুন্দর করে ঈদ উদযাপন করেন এই কামনা করি।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এজন্য বাসায় গিয়ে আবারো ওজন কমানোর শুরু করতে হবে। ওজন কমালে অনেক হালকা লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 55971.81
ETH 2362.70
USDT 1.00
SBD 2.32