লাচুং ইয়াশরী হোটেলের সৌন্দর্য
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম ভারতের সিকিম রাজ্য ভ্রমণের নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম নর্থ সিকিম যাওয়ার মুহূর্ত। যাওয়ার পথে বেশ কিছু ঝর্ণা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। আমরা পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত আটটা বেজে গিয়েছিল। সকাল সাড়ে ১১ টায় রওনা দিয়েছিলাম আমরা। যদিও বেশ ক্লান্ত ছিল শরীর তারপরেও রাস্তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল এখানে আসতে। অবশেষে আমরা লাচুং পৌঁছে গিয়েছি। আমরা আগে থেকে হোটেল বুকিং করে এসেছিলাম। এখানে আসতে হলে অবশ্যই আপনাকে আগে থেকে হোটেল বুকিং করে আসতে হবে। তা না হলে রাতে এসে হোটেল খোজাটা খুবই কষ্টকর। আমরা চাচ্ছিলাম একটু ভালো মানের হোটেলে থাকার জন্য। এজন্য আমরা নেটে খোঁজাখুঁজি করে এই হোটেলটির খোঁজ পেয়েছিলাম। হোটেলটি আসলেই খুব চমৎকার ছিল। যেমন হোটেলের রুমগুলো বড় ছিল তেমনি রুম থেকে চারপাশের ভিউ দেখার মত সুন্দর ছিল। যদিও খুবই অল্প সময় আমরা ছিলাম। ওখানে যাওয়ার পর মনে হল যে এই হোটেলে আরামসে দুই তিন দিন সময় পার করে দেওয়া যাবে এত চমৎকার পরিবেশ। এরকম পরিবেশের জন্য আমাদের এক রাতের হোটেল ভাড়া লেগেছিল সাড়ে ৫৬০০ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৫০০ টাকা। প্রথমে এত টাকা এক রাতের জন্য হোটেল চিন্তা করে একটু খারাপ লাগছিল। কিন্তু পরে আসার পর টাকার কথা আর মনে হয়নি। এত সুন্দর পরিবেশের জন্য এই পরিমাণ টাকা তো খরচ করাই যায়। হোটেলে চারপাশের ফটোগ্রাফিগুলো দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে কত চমৎকার পরিবেশ ছিল।
উপরের ছবিটি হোটেলের সামনের খোলা জায়গা। হোটেলের সামনে বেশ বড় একটি খোলা জায়গা রয়েছে। নিচের ছবিটিতে দূরে যে রাস্তা দেখা যাচ্ছে সেই রাস্তা দিয়ে আমরা এখানে এসেছি। দেখে বেশ কাছে মনে হচ্ছে। কিন্তু অনেক ঘুরে ঘুরে ভালোই সময় লেগেছে ওখান থেকে আসতে।
উপরের ছবিটি হোটেলের সেই সামনের খোলা অংশের ছবি। আর নিচেরটি হোটেলটির ছবি।বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না যে ভেতরের পরিবেশ এত চমৎকার।
হোটেলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গলায় এরকম স্কার্ফ দিয়ে বরণ করে নিয়েছে এবং এককাপ চা দিয়েছে। এই ঠান্ডার মধ্যে নেমে এরকম এক কাপ চা আসলেই খুব দরকার ছিল। ওরা সেই জিনিসটি বুঝতে পেরেই এরকম আয়োজন করেছে।
রুমে ঢোকার পর আমাদের আরো বেশি ভালো লেগেছে। কারণ বিশাল বড় একটি রুম ছিল। হোটেলগুলোতে সাধারণত এত বড় রুম দেখা যায় না। তাছাড়া জানালা দিয়ে চারপাশের পাহাড়, নদী, মেঘ সব দেখা যাচ্ছিল। জানালা খোলার সঙ্গে সঙ্গে নদীর পানির শব্দ। নদীর পানি বয়ে যাওয়ার ও যে এত চমৎকার শব্দ হতে পারে তা এখানে না আসলে বোঝা যাবে না।
এমনি সময় সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু সেদিন সকাল বেলা নামাজ পড়ার পর বাইরে তাকিয়ে আর ঘুমাতে মন চাইলো না। বাইরে তাকানোর সঙ্গে সঙ্গে মেঘ আর পাহাড় মিলেমিশে যেন একাকার হয়ে গিয়েছে। এরকম পরিবেশে এক কাপ চা না হলে হচ্ছিল না। তাই হাসবেন্ডকে বললাম যে চা বানাতে। রুমের মধ্যে সব ছিল চা বানানোর জিনিসপত্র।
এই ছবিগুলো কিন্তু সব রুমের জানালা দিয়ে তুলেছি। এখানকার জানালাগুলোতে গ্রিল থাকে না। এজন্য খোলার সঙ্গে সঙ্গে বাইরের পরিবেশ আরো ভালো দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর আমরা রেডি হয়ে নিলাম য়ুমথ্যাং ভ্যালির উদ্দেশ্যে। রাতের খাওয়া দাওয়া হোটেলেই করেছিলাম এবং সকালের নাস্তা ওরা প্যাক করে দিয়েছিল।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব য়ুমথ্যাং ভ্যালির সৌন্দর্য । সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
হোটেলের উপর থেকে ভিউ টা কিন্তু আপু খুবই সুন্দর আসলে । এমন পরিবেশে যেতে পারলে আসলে জীবনটাই সার্থক মনে হয়ে যেত । খুবই চমৎকার পরিবেশ চারিপাশে । সে হিসেবে হোটেলের ভাড়াটাও আমার কাছে মনে হয় ঠিক ঠাক ছিল
অসম্ভব সুন্দর ছিল এই হোটেল থেকে চারপাশের ভিউ। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে মনই ভালো হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।