বিকালে বাইরে টুকটাক খাওয়া দাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
এই রেস্টুরেন্টটি আমার বাসার একদমই কাছে। এর আগেও আপনাদের সঙ্গে এই রেস্টুরেন্টর অনেক ছবি শেয়ার করেছিলাম। এমনি দিন বিকেল বেলায় এই রেস্টুরেন্টে গেলে বসার একদম জায়গা পাওয়া যায় না। দাঁড়িয়ে থেকে তারপরে বসতে হয়। সেদিন এত বেশি ঠান্ডা ছিল যে বিকাল বেলায় গিয়ে দেখি যে রেস্টুরেন্ট একেবারেই ফাঁকা। তাই আমরা দোতলায় গিয়েছিলাম বসতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা যে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের জন্য রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেই ফ্রেন্স ফ্রাই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই আর কি করার আমরা ফুচকা, থাই স্যুপ এবং চিকেন রোল খেয়ে ফিরে এসেছি।
খাবার অর্ডার দিয়ে বসে থাকতে থাকতে রেস্টুরেন্টের কয়েকটি ছবি তুললাম। জানালা দিয়ে রেস্টুরেন্টের বাইরের কয়েকটি ছবি তুলেছি। বাইরে দেখে বুঝতে পারছেন যে রাস্তাঘাট একদমই ফাঁকা। তখন কেবলমাত্র সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা বাজে।
আমাদের খাবারগুলো চলে এসেছে। দই ফুচকাটা বেশ মজা ছিল। আমি এই রেস্টুরেন্টে অনেকবার এসেছি কখনো দই ফুচকা খাওয়া হয়নি। তাছাড়া থাই স্যুপটা মোটামুটি ছিল। কিন্তু চিকেন রোল টা একদমই ভালো ছিল না। মনে হয় যে ভিতরে কোন চিকেনই ছিল না।
চিকেন রোলটা দেখতে এত লোভনীয় লাগছে প্রথমে ভেবেছিলাম যে খেতে মনে হয় বেশ ভালই হবে। কিন্তু মুখে দেওয়ার পর একদমই ভালো লাগেনি। কিন্তু আমার বড় ছেলের আবার খুবই পছন্দ হয়েছে এই চিকেন রোল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা হেঁটেই বাসায় চলে আসলাম। রাস্তার একটা ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাস্তায় কোন লোকজনই নেই। ঠান্ডার কারণে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে কেউ বের হয়নি মনে হয়নি। কিন্তু আমার কাছে মনে হল যে ঘরের থেকে বাইরেই ঠান্ডা কম। বেশ ভালই লেগেছিল বাইরে গিয়ে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
ঠিকই বলেছেন দুপুরে খাওয়ার পরে শুয়ে রেস্ট নিলে তখন আর শোয়া থেকে উঠতে মন চায় না। ভালোই হয়েছে আপনার বড় ছেলের আবদার রাখতে গিয়ে বিকালবেলা বের হয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করলে। ফ্রেন্ড ফ্রাই না পেয়ে দই ফুচকা থাই সুপ ও চিকেন রোল খেয়েছে। তবে দই ফুচকা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে।
খুব কষ্ট হয় লেপের নিচ থেকে বিকেল বেলায় উঠতে। লেপের নিচে গেলে ঠান্ডা মনে হয় আরো বেশি লাগে। যাই হোক আপু ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
তাহলে এই প্ল্যান পুরোপুরি বড় ছেলেকে নিয়েই করা হয়েছে। সে যদি খেতে না চায় তো তাহলে তো আর আপনার বাইরে যাওয়া হতো না তাছাড়া এমনিতেও আপনি শীতের মধ্যে বাইরে যেতে চেয়েছিলেন না। তবে খাবার রিভিউ এর কথাটা শুনে একটু মন খারাপ হয়ে গেল কারণ চিকেন রোল রেসিপিটা আমিও দেখে ভেবেছিলাম হয়তো লোভনীয় কিন্তু আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম আসলে সেটা তুলনামূলক সুস্বাদু নয় কারণ ভেতরে চিকেন খুব কম।
আমার এই শীতের মধ্যে যাওয়ার তেমন একটা ইচ্ছা ছিল না। এদের জোড়াজড়িতেই যেতে হয়েছে যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলেই দুপুরে খেয়ে ধেয়ে লেপ কম্বলের নিচে৷ গেলে আর উঠতে ইচ্ছে করে না।ভালোই হয়েছে ছেলের বায়নাতে বাহিরে খেতে গিয়েছেন।আসলেই চিকেন রোলটা দেখতে লোভনীয় কিন্তু ভালো লাগেনি কেন।দই ফুচকাটা দেখতেও অনেক লোভনীয় লাগছে। শীতের সন্ধ্যায় সবাই যার যার বাসায় লেপের নিচে তাই কেউ রাস্তায় নেই 😜হয়তো।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
আমার মনে হয়েছে যে চিকেন রোলের মধ্যে কোন চিকেনই ছিল না। এজন্য খেতেও তেমন মজা লেগেছিল না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মোটামুটি খুব ভালো শীত পড়ছে সকালে ঘুম থেকে উঠতেও লেট হয় আবার দুপুর বেলা যদি খাওয়া দাওয়ার পরে লেপের নিচে যাওয়া যায় তাহলে তো আর কথাই নেই। এখন যেন লেপ আমাদের একমাত্র সম্বল।
তবে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যেয়ে এত মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো আসলে বুঝতে পারিনি।।
খুব করে ক্ষুধা লেগে গেছে ইচ্ছে করছে তুলে সবগুলা খেতে শুরু করে।।
আমারও আপনার মত অবস্থা পোস্ট করার সময় এগুলো দেখে আবারও লোভ লেগে যাচ্ছিল। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু চিকেন রোলের ছবি দেখে আমারো লোাভ লেগে গেল। মাংস আর তেলেভাজা যেকোন খারারই আমার ভালো লাগে। বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া আপনার প্রতি টেক কেয়ারটা একটু বেশিই করে হাহাহা। তবে বাচ্চাদের বাইরের খাবার একটু কম খাওয়ানোই ভাালো।
টেক কেয়ার না করে উপায় নাই তো। কারণ জানে যে তার বউ অলস। একে দিয়ে এই শীতের মধ্যে কোন কাজ করানো যাবে না। তাই এই ব্যবস্থা। আর বাচ্চারা কি তা বোঝে। ওদের মন চাইলেই খেতে হবে। ধন্যবাদ।
আপু বিকালে বাইরে গিয়ে যে রেস্টুরেন্টে টুকটাক খাওয়া দাওয়া করলেন সেই রেস্টুরেন্টটা অনেক সুন্দর ছিল। দই ফুচকাটা দেখতে যেমন সুন্দর তাই খেতেও তেমন সুস্বাদু হয়েছে। আর থাই সুপটার কালারটাও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দই ফুচকা দেখতে যেমন খেতেও তেমন মজাদার ছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মেয়েদের জীবন কিছুটা বন্দিত্বময়। ছেলেরা ইচ্ছে করলে যখন তখন যে কোন স্থানে চলে যেতে পারে বা যে কোন কাজ করতে পারে কিন্তু মেয়েরা সব সময় তা পারে না। তাই এভাবে মাঝেমধ্যে বিকাল টাইমে কোথাও যেয়ে ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়া করলে মন ফ্রেশ থাকে। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই এত সুন্দর খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে। আশা করি খুবই আনন্দঘন একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনজনদের সাথে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া মেয়েদের কোথাও যেতে হলে বাচ্চাদের চিন্তা করে আর যাওয়া হয়না। এদিক দিয়ে ছেলেরা খুব আরামে থাকে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়লে লেপের ভিতর থেকেই বের হতে ইচ্ছে করে না আর বাইরে যাইয়া তো দূরের কথা। কিন্তু আপনার বড় ছেলের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার বায়না জন্য বাইরে না গিয়ে আর পারলে না। আসলে ছেলে মেয়ে কিছু আবদার করলে বাবা-মা সেটা পূরণ না করে পারে না। যাই হোক আপনারা খেতে গেলেন ফ্রেন্স ফ্রাই কিন্তু গিয়ে দেখেন যে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নেই। তাই ফুচকা থাই সুপ এবং চিকেন রোল খেয়েছেন। চিকেন রোল টা আপনার কাছে ভালো না লাগলেও আপনার ছেলের কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। কারণ বাইরে খাওয়ার ইচ্ছাটা তো তাঁরই ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যেটা খাওয়ার জন্য গিয়েছিল আর সেটাই খেতে পারেনি। অবশ্য চিকেন রোলটা পছন্দ করেছে জন্য কিছুটা খুশি হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই আপু দুপুরে খাওয়া- দাওয়ার পর লেপের মধ্যে থেকে বের হতে ইচ্ছেই করে না। ছেলের আবদারে বাইরে গেলেন আর বেশকিছু মজার খাবার খেয়েছেন। খাবারগুলো লোভনীয় লাগছে।শীতের কারনে রাস্তা ফাঁকা। বেশ ভাল লাগলো আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
তখন অনেক বেশি ঠান্ডা পরছিল এজন্য রাস্তাঘাটে লোকজন একদমই ছিল না। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
ঠান্ডার কারণে এখন বাহির হওয়া অনেক কষ্টকর। আর ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলে খুব ভালোই লাগে। আপনার বড় ছেলের পছন্দের খাবারটি ফ্রেন্স ফ্রাই ছিলনা। সে জন্য ফুচকা থাই স্যুপ চিকেন রোল অর্ডার করেছেন। এসব খাবারগুলো আমার ওয়াইফ অনেক পছন্দ করে। তবে চিকেন রোলগুলো আমার কাছেও খেতে তেমন ভালো লাগেনা। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।
এই খাবারগুলো আপনার ওয়াইফ পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।