বিভিন্ন ধরণের ক্যাকটাস গাছের ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আপনাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস গাছের পরিচয় করিয়ে দিব। যদিও এখানে অনেক ধরনের ক্যাকটাস গাছ আছে। আমিও বেশিরভাগ ক্যাকটাস গাছেরই নাম জানতাম না। ক্যাকটাস গাছ যে কত প্রজাতির হয় তা নার্সারী অথবা মেলাতে না গেলে বোঝা যায় না । আজকে যে ছবিগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব এই ছবি আমি বৃক্ষ মেলা থেকে তুলেছিলাম। বাসায় আনার পর গুগলে সার্চ করে এগুলোর নাম বের করেছি। এই ধরনের ক্যাকটাস গাছগুলো ঘরে সাজিয়ে রাখলে খুব ভালো লাগে দেখতে। কিছু কিছু গাছ ইনডোরের হয়। আবার কিছু কিছু বাইরে রোদে রাখতে হয়। বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস গাছে আবার অনেক সুন্দর ফুলও ফোটে। এই রংবেরঙের ফুল দেখতে খুব চমৎকার লাগে। বেশিরভাগ ক্যাকটাস গাছ কাঁটাযুক্ত হয় আবার কিছু কাটা ছাড়াও ক্যাকটাস গাছ রয়েছে। আশা করি আমার আর বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাস গাছ দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।
উপরের গাছটির নাম ব্যারেল ক্যাকটাস। এগুলোর গায়ে অসংখ্য বড় বড় কাটা থাকে এবং কাঁটাগুলো বেশ শক্ত হয়। তাছাড়া এই গাছগুলো কয়েক দশক বেঁচে থাকে। শুনলে অবাক হবেন এই গাছ বাইরে লাগালে ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু হয়। এই গাছগুলোর জন্য অল্প পানি এবং প্রচুর আলোর প্রয়োজন হয়। তাতে এই গাছগুলো এত বড় হয়।
উপরের ক্যাকটাস গাছটি ম্যামিলেরিয়া ভেটুলা প্রজাতির ক্যাকটাস। এই একটি ক্যাকটাস গাছের দামই ৬৫০ টাকা।
নিচের গাছটির নাম এঞ্জেল উইং ক্যাকটাস। এটি দেখতে অনেকটা খরগোশের কানের মত লাগে। তাছাড়া এই গাছ অল্প আলোতে রাখলে ফুল ফোটে। মাঝেমধ্যে নাকি ফলও হয় এবং সেই ফল খুব সুস্বাদু হয়।
নিচের গাছগুলোর নাম চাঁদ ক্যাকটাস। চিকন একটি গাছের মাথায় অনেক বড় ফুল ফোটে। এজন্য হয়তো এর নাম চাঁদ ক্যাকটাস। এই গাছগুলো নাকি কলমের মাধ্যমে তৈরি করতে হয়। এক একটি গাছে একেক কালারের ফুল ফোটে। দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
উপরের ক্যাকটাস গাছটির নাম আমার জানা নেই। গুগলেও তেমন ভালো নাম পেলাম না। কারো জানা থাকলে অবশ্যই জানাবেন অনেকটা ফুলের মত দেখতে গাছগুলো।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ক্যাকটাসের অনেকগুলো জাত আছে এ বিষয়টি আগে থেকেই আমার জানা রয়েছে। তবে সব ধরনের জাত এখনো দেখতে পাইনি। আজকে আপনার এই ক্যাকটাসের ফটো গুলোর মধ্যে নতুন কিছু জাতের ক্যাকটাস দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।
এবার বৃক্ষ মেলায় গিয়ে ক্যাকটাসের অনেক প্রজাতির গাছ দেখতে পেয়েছিলাম। তাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু এত রকমের ক্যাকটাস তো এর আগে কখনো আমার দেখাই হয়নি। আপনি একদম ঠিক বলেছেন বৃক্ষমেলাতে অথবা নার্সারিতে গেলে বিভিন্ন রকম ক্যাকটাস দেখা যায় তবে আপনি তো অনেক রকমের ক্যাকটাসের ছবি তুলেছেন এর আগে আমি এতো রকমে ক্যাকটাস গাছ দেখিনি এবং এগুলোর নাম জানা ছিল না। আপনিও গুগলে সার্চ দিয়ে এই ক্যাকটাস গুলোর নাম বের করেছেন। ক্যাকটাস গাছ যে এত রংবেরঙের হয় তাও আগে কখনো দেখি। দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ক্যাকটাস গাছের সাথে আমাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।
বিভিন্ন রকমের ক্যাকটাস গাছ আমিও বৃক্ষ মেলায় গিয়ে দেখেছিলাম। একসঙ্গে এত গাছ নার্সারি বা বৃক্ষ মেলা ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে গাছের অনেক রকমের প্রজাতি থাকে যেগুলো নার্সারি অথবা বৃক্ষমেলায় গেলে সেটা দেখা যায় যেমন ক্যাকটাসের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে যেগুলো আপনি আজকের ফটোগ্রাফিতে তুলে ধরেছেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দেখতে হলে অবশ্যই আপনাকে বৃক্ষ মেলায় যেতে হবে। এজন্যই গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্ট দেখে তো মনে হচ্ছে যে আপনি মনে হয় ক্যাকটাস নিয়ে কোন গবেষণাগার খুলতে যাচ্ছেন। এত এত প্রজাতির ক্যাকটাস কিন্তু আমি আজ প্রথমেই দেখলাম। আমার কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে এত এত ক্যাকটাস দেখে। অবশ্য কাটার আঘাতের ভয়ে আমি আবার এই ফুলের ধারের কাছেও যাই না। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
না আপু গবেষণাগার খুলতে যাচ্ছি না। শুধুমাত্র এই পোস্টটি করার জন্য গবেষণা করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভালো লেগেছে। প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
ওরে বাপরে আপনি তো রীতিমত ক্যাকটাস নিয়ে গবেষণা করছেন দেখছি। যাইহোক আপনার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাকটাস সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারণা পেলাম। আগে আমি এই গাছগুলো তেমন পছন্দ করতাম না কাঁটার কারনে, তবে ইদানিং বেশ ভালোই লাগে। রঙিন ক্যাকটাসগুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এবং তথ্যবহুল পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।
জ্বী ভাইয়া এই পোস্টটি করার জন্য গুগল থেকে বেশ পড়ালেখা করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ক্যাকটাস যে এত প্রকার হয় এটা আজকে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে জানলাম। আর ক্যাকটাস এখন সবার অনেক পছন্দের তাইতো অনেকের বারান্দাতে বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাসের সমারহ থাকে।ক্যাকটাসের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাসের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ক্যাকটাস বিভিন্ন প্রজাতির আগেই দেখেছিলাম। কিন্তু একসঙ্গে এতগুলো প্রজাতির এই প্রথম দেখলাম। ধন্যবাদ আপ মন্তব্য করার জন্য।
আমি নিজেও দুই প্রকার ক্যাকটাস গাছ চিনতাম। ক্যাকটাস এর যে এতো ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি হয় সেটা না দেখলে বিশ্বাস করার মতো না হা হা। বৃক্ষমেলা থেকে করা ক্যাকটাস এর ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। তবে রঙিন ক্যাকটাস গুলো আমি এই প্রথম দেখলাম। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো।।
তাহলে তো আজকে একসঙ্গে অনেক প্রজাতির ক্যাকটাস গাছ দেখে নিলেন। রঙিন ক্যাকটাস গুলো দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এতোরকমের ক্যাকটাস যে আছে তা জানা ছিল না আপু। ব্যারেল ক্যাকটাস আলো পেলে আরও বড় হয় আজ জানতে পারলাম। দেখতেও সুন্দর লাগছে। খরগোশের মতো দেখতে ক্যাকটাসটিও দারুণ ছিল। তবে চাদঁ ক্যাকটাস কলমের কালি থেকে কিভাবে তৈরি হয় আপু সেটাই ভাবছি।
ক্যাকটাস সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে আমিও সেদিন গুগলে সার্চ করে জানতে পেরেছি। আগে জানা ছিল না। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।