নর্থ সিকিম যাওয়ার পথে পর্ব-১
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম ভারতের সিকিম রাজ্যে ভ্রমণের নতুন একটি পর্ব নিয়ে। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের স্থানীয় এলাকাগুলো ভ্রমণের পরেরদিন আমরা রওনা দিয়েছিলাম নর্থ সিকিমের দিকে। নর্থ সিকিমে যাওয়ার জন্য গাড়ি এবং হোটেল বুকিং দিয়ে রাখতে হয়। কোন টুরিস্ট এজেন্সির কাছে আগে থেকেই কাগজপত্র জমা দিয়ে রাখতে হয়। তারা পারমিশন নিয়ে রেডি করে রাখে। নর্থ সিকিমে ঢুকতে হলে আপনাকে পারমিশন নিয়ে যেতে হবে। সিকিম ঢোকার সময় একবার পারমিশন নিতে হয়, আবার নর্থ সিকিমে ঢোকার সময় আবারও পারমিশন নিতে হয়। আমরা আগের দিন কাগজপত্র জমা দিয়ে রেখেছিলাম। পরের দিন দশটায় রওনা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু রওনা দিতে দিতে প্রায় সাড়ে এগারোটা বেজে গিয়েছিল।
নর্থ সিকিমে একদিন যাওয়া এবং পরের দিন আসা মিলিয়ে আমরা ১৩০০০ রুপি দিয়ে একটি প্যাকেজ ঠিক করেছিলাম। প্যাকেজের মধ্যে গাড়ি এবং একজন গাইড ছিল। গাইড ছাড়া বিদেশি পর্যটকদের সেখানে যেতে দেয় না। এজন্য আপনাকে গাইড নিতেই হবে। তাছাড়া নর্থ সিকিম যাওয়ার পথে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ভিউ পয়েন্ট রয়েছে। তার মধ্যে বাটারফ্লাই ফলস, সিংহিক ভিউ পয়েন্ট, মনগান। আরো রয়েছে ব্যারেজ লাচেন চুং, লাচুং, নাগা ঝরনা, ভিমানালা ঝরনা। অদ্ভুত সব নাম। যদিও নাম গুলো তখন শুনেছিলাম পরে ভুলে গিয়েছি। এখানে এসে গুগলে সার্চ দিয়ে আবার নামগুলো বের করলাম।
যদিও রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বেশ ভাঙ্গা ছিল কিন্তু চারপাশে এত চমৎকার দৃশ্য এগুলোর কাছে এই ভাঙ্গা কিছুই মনে হয়নি। বড় বড় ঝর্ণাগুলো ছাড়াও অসংখ্য ছোট ছোট ঝরনা পড়বে যাওয়ার পথে। প্রথম প্রথম ছোট ঝর্ণাগুলো দেখে খুব এক্সাইটেড লাগছিল। পরবর্তীতে বড় ঝর্ণাগুলো দেখে ছোট গুলোকে আর ঝর্ণাই মনে হচ্ছিল না। কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আবার বৃষ্টি থেমে চমৎকার মেঘ দেখা যাচ্ছিলো।
এটি সেভেন সিস্টার ওয়াটারফল। এই ওয়াটার ফলটি সাতটি ধাপে নিচে পরে।এ জন্য একে
সেভেন সিস্টার বলা হয়। শীতকালে উপরে উঠে সাতটি ধাপ দেখা যায়। যেহেতু এটি বর্ষাকাল ছিল জন্য উপরের রাস্তা বন্ধ ছিল। নিচ থেকেই অসম্ভব ভালো লাগছিল। তাছাড়া সামনে এরকম একটি ব্রিজ তৈরি করছিল। এই ব্রিজ তৈরি হলে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগবে।
যতই উপরে উঠছিলাম মনে হচ্ছিল যেন মেঘে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। মেঘ আমাদের নিচে চলে যাচ্ছে। এত সুন্দর লাগছিল দেখতে। যদিও গাড়ি একদম পাহাড়ের ঢাল দিয়ে যাচ্ছিল। মাঝে মাঝে খুব ভয় লাগছিল । কিন্তু এখানকার ড্রাইভার গুলো খুবই দক্ষ থাকে জন্য খুব একটা সমস্যা হয় না।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে দেখা হবে নর্থ সিকিমের নতুন কোন স্পট নিয়ে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
| Photographer | @tania |
|---|---|
| Phone | i phone11 |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness 
OR SET @rme as your proxy
