মামাতো ননদের কাবিনে আমরা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
এইবার ঈদের সময় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বেশ মজা হয়েছে। সবাই মিলে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। তাছাড়া মামাতো ননদের বিয়ে ছিল। বিয়েতে সবার সঙ্গে দেখা হয়। দেখা যায় যাদের সঙ্গে অনেকদিনের যোগাযোগ নেই বিয়েতে তাদের সঙ্গেও দেখা হয়ে যায়। যদিও সম্পূর্ণ বিয়ে ছিল না এটি কাবিনের অনুষ্ঠান ছিল। বিয়ের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান আরো কিছুদিন পরে হবে। এখন যে পরিমাণ গরম পড়েছে এমন গরম যদি বিয়ের সময় থাকত তাহলে সবার অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যেত। ঈদের সময় ওয়েদার ভালো ছিল জন্য ভালোমতোই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করা গিয়েছিলো।
মামাশ্বশুরের বাসা রংপুর শহরে। যদিও আগের দিন যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আগের দিন আর যাইনি। সকাল সকাল যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু চাইলে কি আর সকাল সকাল যাওয়া যায়। সকালের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বের হতে হতে প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিলো। যদিও আমরা আসার অনেক পরে ছেলে পক্ষের লোকজন এসেছিল।
কাবিনের অনুষ্ঠান খুবই অল্প কিছু মানুষজনকে দাওয়াত করেছিলো এজন্যই বাসাতেই আয়োজন করেছিলো। কিন্তু শহরের বাসা গুলোতে অনেক বেশি জায়গা থাকে না। যদিও মামার বাসার ভিতরে খোলা জায়গা ছিলো তাই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরেছিল। বাসায় গিয়ে দেখলাম রাস্তার সাইড দিয়েও বেশ ডেকোরেশন করেছে। ছেলে পক্ষের লোকজনের আসতে দেরি হচ্ছিলো। তাই আমরা আগেই খাওয়া-দাওয়া করে নিয়েছিলাম ।যদিও খাবারের ছবি তুলতে মনে নেই। খাবার আইটেম এর মধ্যে পোলাও, রোস্ট, মাংস, টিকিয়া, ডিম, সালাদ পায়েস ও কোল্ড্রিংস ছিলো।
প্রায় সাড়ে চারটার দিকে ছেলে বাড়ির লোকজন এসেছিল। শুরুতেই ছেলেকে মামি চেইন দিয়ে,শরবত ও মিষ্টি খাইয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিলো। তারপর সবাইকে শরবত ও হালকা ফ্রুটস দেয়া হলো। তারপর বিয়ে পড়ানো হল। বিয়ের পর ছেলে পক্ষের লোকজন খাওয়া-দাওয়া সেরে নিল। তারপর গল্প গুজব করে ছেলেকে রেখে ছেলে পক্ষের লোকজন চলে গেলো। রাতের বেলায় আমরাও চলে এসেছিলাম। যদিও মামা মামি থাকার জন্য খুব জোর করছিল। কিন্তু বাড়িতেও চাচা শশুররা এসেছিলো ঢাকা থেকে। তাই আর থাকা হয়নি। তাছাড়া একদিন পর আমাদের ঢাকায় ফেরার কথা ছিল।
সবকিছু ভালো মতো সম্পূর্ণ করে আমরা বাসায় চলে আসলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
বিয়ে কিংবা বাসার অন্য যে কোন অনুষ্ঠান এর মাধ্যমেই কেবলমাত্র দীর্ঘদিন ধরে যাদের সাথে বা যে সকল আত্মীয় স্বজনদের সাথে আমাদের দেখা হয় না কথা হয়না তাদের সাথে মিলিত করিয়ে দেয়। আপনার মামাতো ননদের কাবিন এ আপনারা দেখছি মজা করেছেন। আসলেই আপু বর্তমান সময়ে একটু গরমের পরিমাণ বেশি চলছে। প্রার্থনা করি মূল অনুষ্ঠানের সময় যেন এরকম গরম না থাকে। বর কনে কে কিন্তু দারুণ মানিয়েছে আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেকে লোকের সঙ্গে দেখা হয় এরকম অনুষ্ঠানে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু অনেক দিন যে সকল আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হয় না তাদের সাথে ফ্যামিলির কোন প্রোগামে বা কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাদের সাথে দেখা হয়ে যায়। তবে বোঝা যাচ্ছে আপনার এবারের ঈদ সবমিলিয়ে অনেক আনন্দেই কাটিয়েছেন। আপনার ননদের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখে মনে হচ্ছিল যে পুরোটাই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। যাই হোক সবমিলিয়ে আপনার আজকের পোস্টি পড়ে ভালোই লেগেছে ।
এবারের ঈদ সব মিলিয়ে বেশ ভালো কেটেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু মামাতো ননদের কাবিনের অনুষ্ঠানের বর্ণনা পড়লাম। এটা তো বিয়ের মতই হয়ে গেছে। জামাই সেজেগুজে এসেছে,খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এখন কন্যাকে পাত্রের হাতে তুলে দিলেই তো হয়ে যেতো। আবার বিয়ের অনুষ্ঠান কবে হবে। যায়হোক কোন দেশে কোন নিয়ম সেটা আর আমার জানা নেই। ধন্যবাদ।
ছোটখাটো বিয়ের মতোই করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ঈদ গ্রামে করার মজাই আলাদা।আর যদি হয় বিয়ে তাহলে তো কথাই নেই, সবার সাথে দেখা হয়।মোটামুটি অনেক খাবারের আয়োজন ছিলো।বুঝায় যাচ্ছে বেশ মজা করেছেন।ধন্যবাদ
আমার কিন্তু গ্রামে ঈদ করতে তেমন একটা মজা লাগে না। বিয়ের পরই গ্রামে ঈদ করেছি। এর আগে কখনো করা হয়নি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এইটা ঠিক বলেছেন আপু বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে অনেক পরিচিত আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা হয় যাদের সাথে অনেকদিন দেখা হয় না। বেশ ভালই মুহূর্ত কাটিয়েছেন বিয়ে বাড়িতে। নতুন দম্পতির জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপু মামাতো ননদের কাবিনের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আসলেই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম আপু। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।