স্বপ্ন সুপার শপ এর নতুন আউটলেটে ঘুরাঘুরি ও কেনাকাটা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বসুন্ধরা আবাসিকে থাকার যেমন বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। সুবিধা গুলোর মধ্যে আবাসিক এলাকা হওয়ার কারণে অনেক বেশি গ্যাঞ্জাম থাকে না। তাছাড়া রাস্তাঘাট গুলো খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং বড়। এখানে থাকলে ঢাকা শহরের লোকসমাগম ততটা বোঝা যায় না। অন্যান্য এলাকাগুলোতে গেলে এত বেশি ঘিঞ্জি থাকে যে ভালো লাগে না। যারা এই বসুন্ধরা থেকে একবার অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে তারা ঢাকা শহরে অন্য কোথাও থেকে তেমনটা আরাম পায় না। আমাদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। এখন আসি এখানে থাকার অসুবিধা গুলো নিয়ে। এখানের সবথেকে বড় অসুবিধা হলো অন্যান্য এলাকার মত মুদি দোকানগুলো এখানে নেই। দুই-চারটা সুপার সপ রয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে হয়। এখানকার সব থেকে বড় যে সুপার শপ মেহেদী মার্ট ছিল সেটি কিছুদিন আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বসুন্ধরার মালিকের সঙ্গে কি যেন ঝামেলা হয়েছে তারা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন সমস্যা হয়েছে আমাদের মত সাধারণ লোকজনের। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর এখানে স্বপ্নের একটি শাখা চালু হয়েছে। এই স্বপ্ন সুপার শপটি তাদের সবগুলো আউটলেটের মধ্যে সবথেকে বড়। সাইজের ছোট স্বপ্ন সুপার শপগুলোতেই সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। আর এটি যেহেতু সব থেকে বড় এখানে তো আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস রয়েছে। তাছাড়া আগের মেহেদী মার্ট সুপার শপ থেকে এখানকার জিনিসপত্রের দামও কিছুটা কমে পাওয়া যাবে। কিছুদিন কষ্ট করার পর এখন অনেকটা সুবিধা হয়েছে। সেদিন গিয়েছিলাম এখানে শপিং করার জন্য। সেখানে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। যা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলে আপনারাই বুঝতে পারবেন যে এখানে কত ধরনের জিনিস রয়েছে।
শুরুতেই আমরা গিয়েছিলাম মাছ মাংসের সেকশনে। এখানে সব ধরনের মাংস তো পাওয়া যায়ই সে সঙ্গে জীবিত মুরগির পাওয়া যায়। চাইলে আপনি পছন্দ করে সেখান থেকে কিনে কেটে নিতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাছতো রয়েছে। সেই সাথে জীবিত মাছও রয়েছে বেশ বড় সাইজের।
তারপরে চলে গিয়েছিলাম চালের এবং আটার সেকশনে। সেখানে চাল আটার পাশাপাশি বিভিন্ন মসলা, মধু এবং আরো অনেক জিনিস ছিল।
বাসার জিনিসপত্র কেনার পর চলে গিয়েছিলাম কোকারিজ আইটেমে। এখানে ছোট বড় সাইজের বিভিন্ন ফ্রাইপ্যান এর পাশাপাশি টিফিন বক্স থেকে শুরু করে সব ধরনের কোকারিজ আইটেমও রয়েছে।
নতুন আউটলেট হওয়ার কারণে বেশিরভাগ জিনিসেই ওরা ডিসকাউন্টে দিয়েছে। তারপরে ওখান থেকে লাইফস্টাইল সেকশনে চলে গেলাম। এখানে বাচ্চাদের থেকে শুরু করে ছোট বড় সবারই বিভিন্ন ধরনের জামাকাপড় রয়েছে।
প্রথম দিন গিয়েছি জন্য ঘুরে দেখলাম। কখনো কোন জিনিস দরকার হলে এখান থেকে নেয়া যাবে। আমরা বাসার জন্য মাংস, সবজি, খাবার কিনলাম। বাসায় অনেক গেস্ট ছিল জন্য একটি কমফোর্টার কিনলাম।কমফোর্টারটি বেশ ডিসকাউন্টেই পেয়েছিলাম।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আসলে আপু উন্নত জায়গাগুলোতে থাকলে সুবিধা অসুবিধা দুটোই আছে। তবে বসুন্ধরা জায়গাতে কিছু শপিং আছে এই কারণে আপনাদের কেনাকাটা করতে কষ্ট হয়। তবে এসব জায়গার পরিবেশ একদম ভিন্ন রকম। আপনি মার্কেটে গিয়েছেন সেখানে পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এসব মার্কেটগুলো মনে হয় সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। মার্কেটের তাজা মাছ পাওয়া মানে অনেক সুবিধা। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
সুপার সবগুলোতে গেলে মনে হয় যে উন্নত কোন শপিংমলে এসেছি। এগুলো থেকে কেনাকাটা করতেও আরাম। কিন্তু এখানকার জিনিসপত্রের দাম বাইরে থেকে অনেক বেশি থাকে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আবাসিক এলাকাগুলো খুব পরিশূন্য থাকে। তবে এটি ঠিক এইসব জায়গাগুলো খুব পরিষ্কার থাকে এবং রাস্তাঘাট গুলো খুব উন্নত। তবে আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে কোন বিদেশি মার্কেটে গেলেন। কারণ বাইরের কান্টি মার্কেট গুলো এভাবে অনেক বড় বড় জায়গা রেখে মালামাল রেখে সাজিয়ে রাখে । তবে এখানে দেখেছি বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া যাচ্ছে। আর আবাসিক এলাকার সবকিছু একটু ভিন্ন রকমের থাকে। আপনার পোস্টটি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
সুপার শপগুলোতে গেলে একসঙ্গে সব জিনিস পাওয়া যায়। এজন্য কেনাকাটা করতেও সুবিধা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
আমার কাছে স্বপ্ন নিঃসন্দেহে সব মানুষের জন্যই দারুন একটা প্যাকেজ। প্রায় সব সময়ই কিছু না কিছু অফার চলেই। আর মানেও বেশ ভালো। একবার যখন উদ্বোধন হয়েই গেল তাহলে আর চিন্তা নেই আপু। যখন মন চায় যাবেন, আর ইচ্ছে মত কেনাকাটা করে বাসায় ফিরবেন। ও হ্যাঁ,ওই দিন অবশ্যই আগে থেকে দাওয়াত দেবেন 😊।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া স্বপ্ন সুপার শপ এর জিনিসপত্র গুলো অন্যান্য সুপারশপের থেকে অনেক কম দামে থাকে। যেদিন বাজার আসে সেদিন বাসায় তো ঠিকমতো রান্নাই হয় না। এগুলো গোছাতেই দিন চলে যায়।
এটা ঠিকই বলেছে মানুষ ভালো কোন জায়গা থেকে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে তখন অন্য কোথাও আর যেয়ে আরাম পায় না । বসুন্ধরায় স্বপ্নের আউটলেট চালু হচ্ছে তাহলে তো আপনার জন্য ভালই হলো আপনি এক জায়গা থেকে সবকিছু কিনে নিতে পারবেন । আর যেহেতু বড়সড়ো আছে তাহলে তো অন্য কোথাও না গেলেও চলবে । ভালোই হলো আপনার জন্য একসাথেই সব পেয়ে যাবেন ।
জি আপু মাঝখানে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য খুব কষ্ট হয়েছিল। এখন স্বপ্ন চালু হওয়াতে বেশ সুবিধা হয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।