আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গতকাল আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম যে স্লিপিং কোচে রংপুর যাওয়ার অভিজ্ঞতা। বলেছিলাম যে পৌঁছানোর পর কেমন লাগলো সেটা জানাবো। সেজন্যই আজকে আবার এই পোস্ট লেখা। সবকিছু গুছিয়ে মোটামুটি ঢাকা থেকে ১১ঃ০০ টার দিকে গাড়ি ছেড়েছে। রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সবাই। মোটামুটি ভালই ঘুম হয়েছে। বাচ্চারা তো বাসার মতই আরামে ঘুমিয়েছে। যদিও আমি দুটি কাজ করেছিলাম এর জন্য আরো ভালোভাবে ঘুমাতে পেরেছিলাম। আমি ছোট বাচ্চার জন্য একটা ছোট বালিশ এবং দুটি কাঁথা নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ ওদের যে কম্বল দেয় সেগুলো গায়ে দিতে খুবই খারাপ লাগে । কারণ কে না কে গায়ে দিয়ে রেখে দিয়ে গেছে। প্রত্যেক দিন তো আর ধোয়া হয় না। এসি গাড়িতে রাতের বেলায় খুবই ঠান্ডা হয়। সেজন্য এই কাথা নিয়ে যাওয়া। রাত চারটার দিকে বগুড়ার ফুট ভিলেজে বিরতি দিয়েছিল। আমরা অবশ্য রাতে আর কিছু খাইনি। একটু ফ্রেশ হয়ে আবার গাড়িতে উঠে পড়েছি। বগুড়ার পর থেকে রাস্তা খুবই খারাপ ছিল। সেই জন্য অনেক বেশি ঝাকুনি হয়েছিল । রাস্তা যদি মাওয়া রোডের মতো হতো তাহলে আরো বেশি আরামে যাওয়া যেত। ঝাকুনির জন্য শেষের দিকে একটু কষ্ট হয়েছে । ঝাঁকুনির মধ্যেই আবারও সবাই মিলে একটা ঘুম দিয়ে সকাল সাড়ে সাতটার সময় রংপুরে পৌঁছে গিয়েছি।
নরমাল স্ক্যানিয়াতে গাড়ির একটি সিটের দাম ১৪০০/১৫০০ টাকা করে। সেখানে স্লিপিং কোচের একটি সিটের দাম ১৭০০ টাকা। সে হিসাবে দাম খুব একটা বেশি নয়। আপনি আরামে শুয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারবেন । কিন্তু অন্য গাড়িতে যতই বড় সিট এবং আরামের হোক না কেন বসে আপনাকে যেতে হয়। সেজন্য আমার কাছে মনে হয়েছে যে রাতে জার্নি করার জন্য এই গাড়িটা বেস্ট। আমি তো ঠিক করেছি ফেরার সময় এই গাড়িতেই ফিরব। অন্তত বাচ্চারা তো গাড়িতে গিয়ে কোন বিরক্ত করেনা । স্ক্যানিয়াতে গেলে শত হলেও ছোট বাচ্চাকে কোলে নিয়ে সারারাত টেনশনে থাকতে হয়। কখন ঝাঁকি লেগে পড়ে যায় বা ঘুমের ঘোরে যদি পরে যায়। আবার আলাদা সিটেও বসতে পারে না একা। এখানে সেই টেনশন নেই। আরামসে বাচ্চাদেরকে শুইয়ে দিয়ে আপনি আরামে ঘুমাতে পারবেন।
যেহেতু আমার শ্বশুরবাড়ি রংপুর শহরে নামার পর একটু সাইডে গ্রামে যেতে হয়, সেজন্য আমরা গ্রাম থেকে একটি অটো আনিয়ে রেখেছিলাম । যাতে বাস থেকে নেমে অটো খোঁজার ঝামেলা করতে না হয়। সেজন্য বাস থেকে নেমে আমরা অটোতে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। যাওয়ার পথে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি সেগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। যতই গ্রামের দিকে যাচ্ছিলাম তত সবুজ আর সবুজ। চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত। গতবার যখন এসেছিলাম তখন ধানের সিজন ছিল না। এখন মাত্র জমিতে ধান লাগিয়েছে। এজন্য অনেক বেশি সবুজ চারপাশে। ছবিতে নিশ্চয়ই দেখতে পারছেন।
গতবার যখন গ্রামে এসেছিলাম তখন প্রচন্ড রকম গরম ছিল। কোথাও যেতে পারিনি। ভালো মতো ঘুরতেও পারিনি। এবার টুকটাক বৃষ্টি হচ্ছে। ওয়েদার খুব ঠান্ডা মনে হচ্ছে। এই কয়েকদিন খুব আরামে কাটিয়ে দেয়া যাবে। আর আপনাদের সঙ্গেও সুন্দর সুন্দর সবুজ প্রকৃতির ছবিও শেয়ার করতে পারব।
আমরা বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছি। বাড়ির কাছাকাছি একটা পুকুরে এরকম কচুরিপানায় ভর্তি ছিল। প্রতিটি কচুরিপানায় ফুল ফুটে আছে। দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। চলন্ত অটোতে বসে ছবি তোলার কারণে ভালো মতো ছবিটি তুলতে পারিনি। তারপরও দেখতে খুবই ভালো লাগছে।
বাড়িতে পৌঁছানোর আগে ননদের বাসায় আবার সকালে নাস্তা খেয়ে যাওয়ার দাওয়াত ছিল। আসার সময় নাস্তা খেয়ে আমরা দশটার দিকে বাড়িতে পৌঁছেছি। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
অনেকটা লং জার্নি করেছেন দেখছি।যদিও স্লিপিং কোচে আরামে এসেছেন। বাড়ি আসতে আসতে অনেক ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে ভালো লাগলো।সকাল সকাল দাওয়াত খেয়েছেন শুনে আরও ভালো লাগলো৷ গ্রামে ভালো সময় কাটান এই কামনা করছি।
ঠিক বলেছেন আপু অনেক বড় জার্নি করতে হয় রংপুরে আসলে। তারপরও ভালোই লাগে গ্রামীন পরিবেশে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এভাবে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে রাতে জার্নি করার মজাই আলাদা। ভালো হয়েছে আপু আপনি বুদ্ধি করে কাঁথা বালিশ নিয়ে নিয়েছেন।রাস্তা একটু খারাপ হলে ও জার্নি টা বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিটি ছবিই বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ
কাথা বালিশ নিয়ে যাওয়ার কারণে আরামে ঘুমানো গিয়েছে । ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনি গাড়ি থেকে জানালা দিয়ে প্রকৃতির চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ মাট ঘাট প্রকৃতি চারদিকটা শুধু সবুজ আর সবুজ ৷ আর বেশ আরামের সহিত জার্নি করেছেন ৷
ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ৷
এই ফটোগ্রাফিগুলো গাড়ি থেকে করিনি ভাইয়া। গাড়ি থেকে নেমে অটোতে যাওয়ার সময় করেছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
সুস্থ ভাবে বাড়িতে এসেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে রাতের জার্নি খুবই ভালো হয় তার সাথে বালিশ এবং কাঁথা থাকলে তো কথা নেই। বাসে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন এবং আমাদের জন্য কিছু দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। গ্রামীন পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আসলেই কাথা বলিস নেয়ার কারণে আরেকটু আরামে জার্নি করা গিয়েছে।
বেশ আরামেই একটি জার্নি করেছেন বোঝা যাচ্ছে, একটু রাস্তা খারাপ ছিল তবে ভালোর পরিমাণ টাই বেশি। বাসের কোয়ালিটিও বোঝা যাচ্ছে বেশ ভালো বাবু কে সাথে নিয়ে বেশ আরামেই জানি কমপ্লিট করতে পেরেছে। চারপাশের পরিবেশ খুব ভালো, আমরা আপনার পরবর্তী পোষ্টের জন্য অপেক্ষা করবো।
মোটামুটি জার্নিটা বেশ আরামেরই ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর করে সময় কাটিয়েছেন এবং নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছেছেন। আসলে এসির গাড়ির মাঝে রাতে অনেক ঠান্ডা হয়। আর সব জায়গাতেই কমবেশি রাস্তা খারাপ থাকে। আপনি সুন্দর করে ঢাকা থেকে রংপুরে গিয়ে পৌঁছেছেন এটাই বড় কথা। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বাসের ভিতরের দুইটা ছবি দিতেন একটু দেখতাম 🤔। যাক ঘুমাই ঘুমাই জার্নি করতে সেই লাগে কিন্তু। আর স্লিপার কোচ এ কখনো উঠিনি তবে ভিডিওতে দেখেছি অনেক। খুবই আরাম দায়ক জার্নি করেছেন। আশা করি সহি সালামতে ফিরে আসবেন।
ভাইয়া গতদিন বাসের ছবি শেয়ার করেছিলাম ।হয়তো আপনি মিস করে গিয়েছেন । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দীর্ঘ সময় ধরে যাননি করলে এমনিতেই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। আর আপনারা দীর্ঘ সময় যাননি করে সুস্থ সবল ভাবে বাড়ি পৌঁছে গেছেন এটাই অনেক। তবে বাড়ি পৌঁছানোর আগে অনেক সুন্দর ভাবে কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
গ্রামের মজাই তো এখানে । চারিপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
কোন ঝামেলা ছাড়া ভালোভাবে যে পৌছে গেছেন এটাই বড় কথা। বগুড়ার এইদিকে রাস্তার কাজ টা শেষ হলে দেখবেন কত আরামে জার্নি গুলো করা যাবে আরো। বাসের রিভিউ তো ভালই শুনছি,, আশা করি যাওযার সময় টাতেও ভাগ্নেদের বেশ মজাই লাগবে। গ্রামের নির্মল বাতাসে কয়েক দিন নিজেদের চাঙ্গা করে নিন। এখন গরম টাও বেশ কম আছে।
বগুড়ার ওইদিকের রাস্তাটা ভালো হলে আসলে এই বাসে অনেক আরামে জার্নি করা যাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।