আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।
বৃষ্টি কার না ভালো লাগে। সেই বৃষ্টি যদি টিনের চালের উপরে হয় তাহলে তো কথাই নেই। আমার কাছে তো খুবই ভালো লাগে টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ। শহরে থাকলে এই শব্দ খুব একটা শোনা যায় না। তাছাড়া বৃষ্টি তেমন একটা উপভোগও করা হয় না বিভিন্ন বিল্ডিং এর ফাঁকা দিয়ে।এ বছর প্রথম টিনের চালে এই বৃষ্টি শব্দ উপভোগ করলাম। শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে এবার একটা বৃষ্টি বৃষ্টি আবহাওয়া পেয়েছি। প্রথম একদিন বৃষ্টি হল সেদিন তো বৃষ্টিতে গোসল করলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বৃষ্টি খুবই অল্প পরেছে সেজন্য আর তেমনভাবে ভেজা হলো না। তারপরে অপেক্ষা করছিলাম যে আবার কখন বৃষ্টি হবে আর বৃষ্টিতে ভিজবো। তাছাড়া টিনের চালের উপরে ধুমধাম বৃষ্টির আওয়াজ তো আছেই ।
এই দিন সকাল থেকে কেমন যেন একটা গরম গরম ওয়েদার । ভ্যাপসা গরম যাকে বলে। সে জন্য তাড়াতাড়ি গোসল সেরে নিলাম। কিন্তু কি ভাগ্য আমার গোসল করার কিছুক্ষণ পরই আকাশ একেবারে মেঘলা হয়ে গেল এবং তুমুল বৃষ্টি শুরু হল। গোসল করার পর পরই বৃষ্টি হওয়ার কারণে আর বৃষ্টিতে ভেজা হলো না। আমি রুম থেকে বের হয়ে দেখলাম যে আমার ছোট ছেলে তার বাবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে হাত-পা ভেজাচ্ছে এবং খুবই মজা করছে। ওকে দেখে আমারও খুব ভালো লাগলো। আমিও বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ওর আনন্দ দেখলাম। পরে হঠাৎ করে মনে হল যে এই বৃষ্টির ছবি তুললে কেমন হয়। সাথে সাথে মোবাইল নিয়ে এসে বৃষ্টির কিছু ছবি তুললাম। মোবাইলে বৃষ্টির ছবি তেমন একটা বোঝা যায় না। কিন্তু এখানে দেখলাম যে খুব ভালোই বৃষ্টি বোঝা যাচ্ছে ।
আমার শ্বশুরবাড়ির বান্দার সামনে একটা ডিস আছে। এই ডিসটি অনেক আগে লাগানো। যখন গ্রামের দিকে ডিসের লাইন যায়নি ঠিক ওই সময়ে। এখন অবশ্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ডিসের লাইনও চলে গিয়েছে। এখনো ওভাবেই রয়ে গিয়েছে। আলসামি করে আর উঠিয়ে ফেলা হয়নি ।
ছোট্ট একটি কাঁঠাল গাছ। গত বছর লাগানো হয়েছে। লাগানোর সময় আমার বড় ছেলের কে দিয়ে লাগানো হয়েছিল । সে খুব মজা পেয়েছিল। সবার কাছে গল্প করে যে এই গাছটি সে লাগিয়েছে ।
ঐদিন অনেক বৃষ্টি হয়েছিল। নিচে পানি দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে কত বৃষ্টি হয়েছিল । পানি জমে গিয়েছিল ।
আমার ছেলের বৃষ্টিতে ভেজা । সে খুবই মজা পেয়েছিল বৃষ্টিতে হাত-পা ভিজিয়ে।হাত ভিজাতে ভিজাতে প্রায় গোসল হয়ে যাওয়ার অবস্থা। তারপরও তাকে বৃষ্টি থেকে উঠানো যাচ্ছিল না ।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন । আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে । সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ । সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ম।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনার মত আমার কাছে ও টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ অনেক ভালো লাগে। এছাড়া বৃষ্টিতে ভিজে গোসল করতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর বৃষ্টির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
বৃষ্টিটিতে ভিজে গোসল করার মজাই আলাদা। সেদিন অল্পের জন্য গোসল করতে পারিনি। গোসল করে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এজন্য আর ভেজা হয়নি। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
বৃষ্টির জল কণাকে ক্যামেরা বন্দীকরা কিন্তু বেশ শক্ত কাজ। কারণ বেশীরভাগ সময়েই ছবি হেজি আসে। আমি নিজেই কতবার ছবি তুলতে গিয়ে হার মেনেছি। তাও তো দেখছি আপনার ফটোগ্রাফি বেশ পরিস্কারই এসেছে। বিন্দুকণা গুলো ভালোই ফুটে উঠেছে। আর বাচ্চাদের কথা কি বলবেন, আমিই এখনও বৃষ্টি নামলে ছাদে দৌড় দি, ভিজব বলে। আর আপনার ছেলে তো শিশু, আনন্দ পাবেই।
ঠিকই বলেছেন আপু বৃষ্টির ফটোগ্রাফি করা আসলেই কষ্টকর। বৃষ্টির কনাগুলো একদমই বোঝা যায় না । আইফোন দিয়ে করার কারণে হয়তো এত পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বৃষ্টি আমার ভীষণ ভালো লাগে। তবে বেশি বৃষ্টি ভালো লাগে না। আপু আপনি তো বৃষ্টির কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বৃষ্টি আমারও খুবই পছন্দ। কিন্তু যদি বাইরে কোন কাজ থাকে তখন বৃষ্টি হলে একটু বিরক্ত লাগে। কারণ বৃষ্টির মধ্যে বাইরে যাওয়া খুবই কষ্টকর । যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া টিনের চালের ঝমঝম বৃষ্টির আওয়াজ অন্যরকম একটা অনুভূতির সৃষ্টি করে। খুব ভালো লাগে এরকম বৃষ্টির শব্দ শুনতে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার মত আমারও টিনের চালে ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ার শব্দটা খুব ভালো লাগে। আপনার ছেলের মত আমার ছেলে মেয়েও বৃষ্টি আসছে বাহিরে হাত বের করে বৃষ্টির পানিতে ভিজায়। তবে যাই হোক আপু আপনি কিন্তু খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন বৃষ্টির পানির ফোঁটা গুলো প্রত্যেকটা ছবিতে খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আসলে বৃষ্টি পরা দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আপনার বড় ছেলের হাতে লাগানো কাঁঠাল গাছটি অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৃষ্টির দিনের সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু গতবার গিয়ে গাছটি লাগিয়ে এসেছে এই বার বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। আর বৃষ্টির পানি পড়াতে আরো সুন্দর লাগছিল দেখতে। বাচ্চাকে তো আটকানোই যাচ্ছিল না বৃষ্টির পানি ধরা থেকে।
বৃষ্টি আমার অনেক ভালো লাগে। বৃষ্টি সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায় টিনের চালের রুমে। বৃষ্টির ঝুম ঝুম শব্দ আমার খুব প্রিয়। বৃষ্টিতে রুক্ষ প্রকৃতি যেন সজীবতা ফিরে পায়। আপনার তোলা বৃষ্টির ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বৃষ্টিতে রুক্ষ প্রকৃতি সজীবতায় ফিরে পায়। গাছপালার উপর ধুলা পড়ে একদম নোংরা হয়ে থাকে । বৃষ্টি হলে গাছপালা গুলো দেখতে আরো বেশি চমৎকার লাগে।
ছোট কালে এরকম বৃষ্টিতে কত ভিজেছি।আহা! এখন অনেক মিস করি আপু।আপনি ঠিক বলেছেন টিনের চালের উপর যখন বৃষ্টি পড়ে তখন বৃষ্টির আওয়াজের জন্য চারদিকের কোন শব্দ শুনা যায় না।আপনি খুব মজার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু ছোটবেলায় বৃষ্টি হলেই তো আর রক্ষে নেই। একদম চলে যেতাম গোসল করার জন্য। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ কোথায়। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বৃষ্টি দেখে একেবারে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছিল। কারন আপনার মত আমার ও টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও একেবারে এখন তো শোনা হয় না। কেননা বেশিরভাগ ঘর গুলো ছাদ হয়ে গিয়েছে। ভালোই হলো আপনি আপনার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে কিছুটা উপভোগ করতে পেরেছেন। কিন্তু মন মত ভিজতে তো পারলেন না। গোসলের পরেই বৃষ্টিটা আসলো। এরকম ডিশ আমি দেখেছি বলে মনে হয় না। কেননা, গ্রামেও এখন এগুলো দেখা যায় না সবার করে ডিস পৌঁছে গিয়েছে। আপনার ছোট ছেলেকে দেখে তো মনে হচ্ছে ভীষণ উপভোগ করছে।
এখনতো টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শোনাই হয় না। শুধুমাত্র আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে গেলেই এই শব্দটা শুনতে পাই। ঠিক বলেছেন আপু বৃষ্টিটা আরেকটু আগে আসলেই খুব সুন্দর ভিজতে পারতাম অনেক বৃষ্টি হয়েছিল সেই দিন। আর এই ডিস অনেক বছর আগে লাগানো। খুলে ফেলার আলসেমিতে ওভাবেই রেখে দেওয়া হয়েছে।
আপনার বৃষ্টির ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার।জি আপনি ঠিকই বলেছেন আপু টিনের চলে বৃষ্টির শব্দ ভালো লাগে অনেক।প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব দারুণ হয়েছে।আপনি ফটোগ্রাফির ক্যাপচার গুলো খুব ভালো ভাবে করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপু।
বৃষ্টির পানি যে এত সুন্দর ক্যামেরা বন্দি করা যায় আমি নিজেও জানতাম না। যখন ছবি তুলতে গেলাম দেখলাম যে খুব সুন্দর বোঝা যাচ্ছে ছবিতে। তাই ভাবলাম যে ছবি তুলি এবং আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।