আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকে যে রেসিপিটি শেয়ার করব তা কমবেশি সবারই খুব পছন্দ। বিশেষ করে বাচ্চাদের খুবই পছন্দের। বাচ্চাদের বললে ভুল হবে। বড়দেরও খুবই পছন্দের। আমার তো খুব ভালো লাগে ফ্রাইড রাইস খেতে। সব সময় বাইরে গিয়ে খাওয়া হয়, অথবা বাইরে থেকে অর্ডার করে খাওয়া হয়। তাই ভাবলাম যে বাসায় বানানোর চেষ্টা করি। ফ্রাইড রাইস বানাতে টুকটাক ছোটখাটো অনেক জিনিস লাগে। সব জিনিস বাসায় থাকাতে বানাতে সুবিধা হয়েছে। বানানোর পর খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল। আমার বড় ছেলে তো খুবই পছন্দ করেছে। তার স্কুলের টিফিন দিয়ে দিয়েছিলাম। সে তার ফ্রেন্ডের সঙ্গে শেয়ার করে খেয়েছে এবং ফ্রেন্ডরাও খুবই পছন্দ করেছে এই ফ্রাইড রাইস। তাই ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
পোলাউয়ের চাল
মুরগির মাংস
চিংড়ি
ডিম
কাঁচা মরিচ
গাজর
ক্যাপসিকাম
বরবটি
আদা বাটা
রসুন বাটা
লবণ
ঘি
তেল
সয়াসস
টমেটো সস
চিলি সস
রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তা পর্যায়ক্রমে দেখাচ্ছি।
প্রথমে চালগুলো ভালোমতো ধুয়ে একটি পাতিলে পরিমাণমতো পানি এবং তেল দিয়ে চালগুলো ৮০ ভাগ সিদ্ধ করে একটি পাত্রে পানি ঝরিয়ে রেখে দিয়েছি।
মুরগির মাংস এবং চিংড়ি আলাদা দুটি পাত্রে আদা বাটা রসুন বাটা লবণ দিয়ে মেরিনেট করে রেখে দিয়েছি ৩০ মিনিট।
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে ডিম দিয়ে সামান্য একটু লবণ দিয়েছি। এখন ডিম গুলোকে একটি চামচের সাহায্যে ভেঙে গুড়া করে নিয়েছি ।
ডিম গুলো ভালোমতো ভাঁজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি ।
এখন ওই তেলের মধ্যে মেরিনেট করা মাংসগুলো দিয়ে ভেজে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি ।
একই তেলের মধ্যে চিংড়িগুলো ভেঁজে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি। তারপরে গাজর কুচি গুলো দিয়ে দিয়েছি ।
গাজর কুচি গুলো হালকা ভেজে নিয়ে প্রথমে বরবটি তারপর ক্যাপসিকাম গুলো দিয়ে দিয়েছি ।
সবকিছু ভালোমতো কিছুক্ষণ ভেজে নিব। তারপর এর ভিতর এক টেবিল চামচ করে টমেটো ও চিলি সস দিয়ে দিব ।
টমেটো এবং চিলি সসগুলো দিয়ে ভালোমতো সবজির সঙ্গে মাখিয়ে নিব। তারপর ভেঁজে রাখা মাংসগুলো দিয়ে আবারো ভালোমতো মিশিয়ে নিব ।
এখন এর ভিতরে সিদ্ধ করে রাখা চাল দিয়ে মশলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিব ।
মসলার সঙ্গে মিশানো হয়ে গেলে ডিম এবং চিংড়ি গুলো দিয়ে আবারো ভালোমতো মিশিয়ে নিব ।
এখন সবকিছু ভালোমতো ভেঁজে নিব। এক টেবিল চামচ ঘি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেঁজে চুলা বন্ধ করে দিব ।
এখন একটা প্লেটে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে আমার আজকে রেসিপিটি। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
কয়েক মাস আগে লাস্ট ফ্রাইড রাইচ এবং চিকেন খেয়েছিলাম এটার স্বাদের তুলনা হয়না রেসিপির অভাবে বাসায় বানাতেও পারি না।আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো দারুন হয়েছে আপু।
খুব বেশি উপকরণের প্রয়োজন হয়না। টুকটাক যেগুলো লাগে সেগুলো তো বাসাতেই থাকে। আপনিও বাসায় বানিয়ে খেতে পারেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
চাইনিজ খাবার খেতে গেলে ফ্রাইড রাইস না হলেই নয়। ফ্রাইড রাইস খুব মজার একটি খাবার। আপনার ফ্রাইড রাইসের পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে আপনি খুব মজাদার ফ্রাইড রাইস রান্না করেছেন। আপনার ছবি এবং বর্ণনা দিয়ে বোঝানো ফ্রাইড রাইস রান্নার প্রতিটি ধাপ আমি বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা ফ্রাইড রাইস রান্নার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার ফ্রাইড রাইস রান্নার প্রতিটি ধাপ আপনি বুঝতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। বাসায় রান্না করে দেখতে পারেন। ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফ্রাইড রাইস এর রেসিপি তৈরি করেছেন। সুন্দরভাবে তৈরি করে পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি যাতে সকলেই বুঝতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
ফ্রাইড রাইস এর রেসিপি দেখে তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। খুবই লোভ লাগিয়ে দিলেন এই রেসিপিটি দেখিয়ে। এরকম রেসিপি যেটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ ভালো লেগেছে। খুবই ইউনিট ছিল আপনার রেসিপিটি আপনি খুবই লোভনীয় নিয়ে একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।
জি ভাইয়া খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনিও বাসায় এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ফ্রাই রাইস এগুলো সাধারণত বাহিরে গেলে খাওয়া হয়। বাসায় তেমন একটা তৈরি করা হয় না। কিছু কিছু উপকরণ হাতের নাগালে না থাকায় করে ওঠা হয় না। আপনি খুব সহজ পদ্ধতিতে ফ্রাই রাইস তৈরি করেছেন দেখতে বেশি লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই মজা হয়েছে ।আপনি ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এরকমএকটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বেশিরভাগ উপকরণইতো বাসায় থাকে। দুই একটা স্কিপ করতে পারেন সমস্যা নেই ।স্বাদ একই রকম হবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার ফ্রাইড রাইস রান্নার রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । গাজর ও ক্যাপসিকাম দেওয়াতে এটি দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে । চমৎকার রান্না করেছেন আপনি । এটি বাচ্চারা খুবই পছন্দ করে । আমিও বাড়িতে মাঝে মাঝে এভাবে রান্না করি । খেতে বেশ ভালো লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ।
ঠিক বলেছেন আপু গাজর ও ক্যাপসিকাম দেয়াতে স্বাদ ও অনেক ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ফ্রাইড রাইস আমার অনেক পছন্দ। ঠিকই বলেছেন ফ্রাইড রাইস তো সবসময় আমরা বাইরে থেকে কিনে খাই তাই যদি বাসায় থাকা টুকিটাকি জিনিস দিয়ে নিজেরাই বানিয়ে ফেলা যায় তাহলে তো আর মন্দ হয় না। আপনার ফ্রাইড রাইসের চেহারাটা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনারটি দেখে আজ আমিও ট্রাই করেছিলাম আমি অবশ্য বাসায় থাকা পুরানো পোলাও দিয়ে রান্না করেছিলাম ভালোই হয়েছিল খেতে ।আপনি এত সুন্দর করে পরিবেশন করে রেখেছেন আমারই তো খেতে ইচ্ছা করছে দেখে।
বাসায় থাকা পুরনো পোলাও দিয়ে রান্নার আইডিয়াটা তো বেশ। নতুন করে আবার স্বাদ পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি আইডিয়া দেয়ার জন্য।