হসপিটালের সিট না যেনো সোনার হরিণ।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।


আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গতদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম যে ডাক্তার অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছে। সে টেস্ট গুলো করার জন্য হসপিটালে ভর্তি হবো। বুধবার ভর্তির ডেট ছিল। যথারীতি এভার কেয়ার হসপিটালে চলে গেলাম। ওখানে যাওয়ার পর তারা করোনা টেস্ট করতে বললো। এন্টিজেন টেস্ট করে দেড় ঘণ্টার মধ্যে রেজাল্ট দিবে। রেজাল্ট দেওয়ার পর তারা ভর্তি নিবে যদি নেগেটিভ আসে। তারপর শুরু হল অপেক্ষার পালা। বিভিন্ন ধরনের রোগীরা আসছিলো। কিন্তু হসপিটালে কোন সিট ফাকা নেই। কত মানুষ যে বর্তমান সময়ে অসুস্থ হসপিটালে না গেলে বোঝা যায় না। এত বড় একটা হসপিটাল কিন্তু একটা সিটও ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই ঘন্টার পর ঘন্টা রোগী নিয়ে অপেক্ষা করছে। তারপর আমাদের সময় আসলো। করোনা টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। এখন সিট পেলেই ভর্তি হবো। কিন্তু সেই সিটতো নেই।


IMG20230719153700.jpg


আমরা যে ডাক্তারের আন্ডারে ছিলাম সেই ডাক্তারের নাম শোনার পর তারা চেষ্টা করেছিল একটা সিট দেয়ার। কিন্তু ফাঁকা না থাকলে কই থেকে দিবে। তারপর তারা আমাদেরকে অফার দিলো যে সিসিইউতে সিট ফাঁকা আছে সেখানে থাকার জন্য। কিন্তু তারা কেবিনারই বিল নিবে। কিন্তু আমার হাজবেন্ড কিছুতেই সিসিইউতে রাখতে রাজি নয়। কারন সেখানে অনেক ক্রিটিকাল রোগী থাকে। কখন কোন রোগীর কি অবস্থা হয় দেখে আমি যদি ভয় পাই। তারা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করল কিন্তু আমার হাসবেন্ডকে রাজি করাতে পারল না। তারপর তারা বলল যে পরের দিন আসলে সিট দিবে। বৃহস্পতিবার সকালবেলা গিয়ে একই অবস্থা কোন সিট ফাঁকা নেই। তারা জানাল যদি সিট ফাঁকা হয় তাহলে তারা সার্জারির রোগীকে আগে সিট দিবে। কারণ তাদেরটা বেশি জরুরী। আমারটা অত বেশি জরুরী মনে হয়নি তাদের কাছে। আমাদেরও তাই মনে হল শুধু শুধু একটা সিট আটকে রেখে কি লাভ। কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য আর একজনকে বিপদে ফেলা। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে ভর্তি না হয়েই টেস্টগুলো করাবো। টাকা লাগলে তো আর কিছু করার নেই। এত অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। ডাক্তার মোট ১৭টা টেস্ট দিয়েছে। জানিনা কেন এতগুলো টেস্ট দিলো। সবগুলো টেস্টের জন্য প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। টাকা যতই লাগুক এখন টেস্টের রিপোর্টগুলো ভালো আসলেই হয়। আগামীকাল রিপোর্ট দিলে ডাক্তার দেখাবো। না জানি কোন রিপোর্টে কোন ঝামেলা দেখা দেয়। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন রিপোর্ট গুলো ভালো আসে।

এতকিছুর পরেও এদের একটা জিনিস আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে তা হল যদি সিট দিতে না পারবে তাহলে জোর করে করোনা টেস্ট কেন করালো। আগে সিট ম্যানেজ করে তারপর রোগীকে দিয়ে টেস্ট করালেই তো পারে। শুধু শুধু সবাইকে এরকম করে করোনা টেস্ট করে নিজেদের পকেট ভারি করছে, আর কিছুই না। অনেকেই আমার মত করোনা টেস্ট করে সিট না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কথা কেউ চিন্তা করে না। সবারই ধান্দা শুধু কিভাবে টাকা ইনকাম করবে।

যাই হোক আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 last year 

এতগুলো টেস্ট দিয়েছে 17 টা টেস্ট তাহলে তো ৪০ হাজার টাকা লাগবেই । একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে আপনার করোনা টেস্টটা হয়ে গেল । সিট পেলে অবশ্য ভালো হতো যাক টেস্ট করতে দিয়েছেন এখন আল্লাহর রহমতে রিপোর্ট ভালো আসলেই হল ।

 last year 

শুধু শুধু করোনা টেস্ট করেছে। সিট তো দিলোই না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আমার কাছে হাসপাতাল মানেই কসাইখানা মনে হয় কারন এরা চিকিৎসা নিয়ে মারাত্মক ব্যাবসা করে। আমার ছেলের চিকিৎসা করানোর সময় আমি অনেক বাস্তবতা নিজের চোখে দেখেছি। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে টেস্ট করানো। যাইহোক হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। এখন টেস্টগুলো করান এবং জানাবেন কি রেজাল্ট আসে।
দোয়া রইল।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এদের যে টেস্ট গুলো লাগে সেগুলোও দেয় যেগুলো লাগে না সেগুলোও করতে দেয়। টেস্ট ছাড়া এরা কোন ট্রিটমেন্টই করতে পারে না।

 last year 

কি হয়েছে আপু আপনার? ১৭ টা টেস্ট কেন দিয়েছে আপনি?
ঠিক বলেছেন আপু শুধু শুধু কেন করনা টেস্ট করাতে বলল যদি তারা সিট দিতে না পারে। এটা আসলে ওদের ইনকামের একটা নতুন ওয়ে। কার গেল কার এলো তাদের জানার বিষয় না তাদের টাকা নিতে পারলেই হলো। আশা করি আপনার রিপোর্টগুলো ভালো আসবে। এবং দোয়া করি আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি একটি সিট পেয়ে যান।

 last year 

তেমন কিছুই না আপু শরীর মাঝে মাঝে খুব দুর্বল হয়ে যায় আর মাথা ঘুরে। সেজন্যই গিয়েছিলাম। আর এতগুলো টেস্ট ধরিয়ে দিয়েছে।

 last year 

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে হাসপাতাল আর সবচেয়ে বেশি টাকা পয়সার মালিক ডাক্তাররা। সামান্য একটু অসুস্থ হলেই তারা অনেক গুলো টেস্ট হাতে ধরিয়ে দেয়। ভাইয়া আপনাকে সিসিইউতে ভর্তি না করিয়ে খুব ভালো কাজ করেছে। আপু যেহেতু এতগুলো টেস্ট দিয়েছে আমার মনে হয় সবগুলো করলে বুঝতে পারবেন আপনার কি সমস্যা হয়েছে। আপনার জন্য দোয়া রইল আর আপনার টেস্টের রেজাল্ট কি এসেছে জানার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

হসপিটালে ভর্তি হলে এতগুলো টাকা নিজের পকেট থেকে দেয়া লাগতো না এজন্যই ভর্তি হতে গিয়েছিলাম। যাইহোক আপু ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপু ব্যস্ততার কারনে আপনার গতদিনের পোস্ট পড়া হয়ে উঠেনি। তবে আজকের পোস্ট পড়ে বুঝলাম যে আপনি হয়তো বিষণ অসুস্থ্য। যার কারনে ডাক্তার আপনাকে ১৭টি টেস্ট করতে দিয়েছে। কিন্তু আপু চারদিকে তো ডেঙ্গু মহামারী। আর এই ডেঙ্গু মহামারীতে দেশের সরকারি আর বেসরকারি হাসপাতালের কোথাও এখান সিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দুলাভাই ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিসি ইউতে সিট নেওয়া ঠিক হতো না। আমার মনে হয় টেস্ট গুলো বাসায় থেকে করিয়েই ভালো করেছেন। দোয়া রইল আপনার জন্য। মহান আল্লাহ যেন তার দয়ায় আপনার সকল রিপোর্টগুলো ভালো রেজাল্ট করে দেয়।

 last year 

আপু অনেক বেশি অসুস্থ না। কিন্তু শরীর খুব দুর্বল হয়ে যায় মাঝেমধ্যে। ঠিকই বলেছেন ডেঙ্গুর জন্যই হাসপাতালগুলোতে একদমই জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

একদম ঠিক বলেছেন আপু হসপিটালে গেলে সিট পাওয়া বড়ই কঠিন দিন দিন রোগীর সংখ্যা যেন এতটাই চলেছে তা বলার কথা নয় আর এদিকে হসপিটালে ডক্টরদের যেন এই বিষয়ে আরো বেশি ডাট বেড়ে চলেছে। তবে কি সমস্যার জন্য গিয়েছেন সেটা কিন্তু বুঝতে পারলাম না।

 last year 

বর্তমানে ডেঙ্গুর জন্য হসপিটালগুলো প্রায় ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্যই হসপিটাল গুলোর এই অবস্থা।

 last year 

আচ্ছা আপু আপনার কি সমস্যা হয়েছে আসলে যার জন্য এতগুলো টেস্ট দিয়েছে? বাপরে বাপ। আর বর্তমানে ছোট বড় সব হসপিটালেই সিট পাওয়া মারাত্মক কষ্টকর হয়ে গেছে আপু। তবে সিসিউ তে ভর্তি না হওয়ার পক্ষে আমিও। ভাইয়া একদম ঠিক কাজ করেছেন। তবে যাই হোক নাহ্ আপু, খুব দ্রুত আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56688.84
ETH 2388.88
USDT 1.00
SBD 2.28