কি আমার টাইটেল দেখে সবাই ভাবছেন যে কোথায় পৌঁছালাম এত দীর্ঘ জার্নি করে? দীর্ঘ জার্নি করে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসেছি। গত রোজার ঈদে হাসবেন্ড এর ফ্লাইট ঈদের পরের দিন ছিল জন্য ঈদ এ বাড়িতে আসা হয়নি। তাই এইবার কোরবানি ঈদে আগে আগে চলে আসলাম। কারণ গতবার ঈদে না আসার কারণে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি খুব মন খারাপ করেছিল। এইবারও আসার ঠিক আগ মুহূর্তে বাসার সবাই অসুস্থ হওয়ার কারণে আসবো কি আসবো না সেই চিন্তায় আমার শশুর শাশুড়ি মন খারাপ করে বসে ছিল। সেই সাথে আমার বড় ছেলেও। আমার ছেলে তো সাত দিন আগে থেকে ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখা শুরু করেছে যে আর কয়দিন আছে। শেষ দিন যখন আমার ছোট ছেলের জ্বর আসলো আমার বড় ছেলের তখন খুবই মন খারাপ। এবারও দাদু বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না । সবার মন রক্ষার্থে ছোট ছেলের জ্বর নিয়েই রওনা দিয়ে দিলাম সকালবেলায়। সকালে যখন ফোন করে আমার শ্বশুরকে জানালাম যে আমরা রওনা দিয়েছি তখন ফোনের মধ্যেই তার আনন্দ বুঝতে পারছিলাম। মনে হচ্ছিল যে সে খুশিতে লাফাচ্ছে ছোট বাচ্চাদের মতো। আমরা কষ্ট করে হলেও এটুকু আনন্দ তাদের দিতে পেরেছি জন্য আসলেই খুব ভালো লাগছে।
আমরা সকাল সকাল বাসা থেকে রওনা দিয়েছি কারণ সকাল বেলায় ঢাকার ভিতরে জ্যাম শুরু হওয়ার আগেই আমরা চেয়েছিলাম যে ঢাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। সেজন্য আমরা ঠিক ছয়টার সময় রওনা দিয়েছি। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। মোটামুটি জ্যাম শুরু হয়ে গিয়েছিল ততক্ষণে। অনেক দূরের রাস্তা সেজন্য আমার হাসবেন্ড গাড়ি চালানোর রিস্ক না নিয়ে একজন ড্রাইভার ঠিক করে নিয়েছি। গাবতলী পর্যন্ত আমার হাসবেন্ড গাড়ি চালিয়ে এসে গাবতলী থেকে ড্রাইভারকে নিয়ে আমরা রওনা দিলাম।যাওয়ার পথে বেশ কিছু ছবি তুলেছি তাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপরের ছবিটি নভোথিয়েটার এর সামনে থেকে তুলেছি। আর নিচের ছবি দুটি সংসদ ভবনের কাছ থেকে গাড়িতে বসে তুলেছি।
অনেক সকালে উঠার কারণে কিছুদূর আসার পর আমি ও আমার দুই ছেলে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। যমুনা ব্রিজের কাছে টোল দেয়ার সময় ঘুম ভেঙে যায়। তখন নিচের ছবিগুলো তুলেছি ।
অনেক সকালে বাসা থেকে নাস্তা করে এসেছি তাই আবার নাস্তা করার জন্য এরিস্টকটে থেমেছি। নিচের ছবিটি রেস্টুরেন্টের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুলেছি।
বগুড়ায় আসার পর এখানে বৃষ্টি হচ্ছিলো। তাই ভাবলাম যে গরম মনে হয় একটু কমে যাবে। কিন্তু রংপুর আসতে আসতে বৃষ্টি গায়েব। প্রচন্ড গরম শুরু হয়ে গেল।
আমরা ভালোই ভালোই বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু কিছুদূর আসার পর দেখি রাস্তা বন্ধ। পরে দেখলাম যে একটা একসিডেন্ট হয়েছে। সাত জন মানুষ সাথে সাথেই মারা গিয়েছে। শুনে মনটা এত খারাপ হয়ে গেল। ঈদের আগে কার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসলো। আমরা গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়িতে আসলাম বিকাল পাঁচটায়।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্ট টি দেখার জন্য সকল কে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photography | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
আপু নিশ্চয়ই আপনার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা অনেক ভালো যার কারণে তারা আপনাদের যাওয়ার কথা শুনে খুবই আনন্দ পাচ্ছিল। আশা করি আপনারা সবাই মিলে খুব আনন্দে এবার ঈদ কাটাবেন। আপনার পরিবারের সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু ভালোবাসা অবির।
জ্বী আপু আসলেই এরা অনেক ভালো। এখানে আসলে খুব ভালো সময় কেটে যায়। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।
আসলে পরিবার নিয়ে ঈদ করা মজাই আলাদা। বাচ্চারা বেশ মজা পায়।আপু ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে।ভালো ভালোই পৌঁছেতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। সাত জন মানুষ একসাথে মারা গিয়েছে জেনে আসলেই খারাপ লাগলো।
এইজন্য তো কষ্ট করে হলেও বাড়িতে আসা হয়। আর সাত জন মানুষ মরার কথা শুনে আমার নিজেরই খুব কষ্ট লেগেছিল। ঈদের আগে এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেল কার পরিবারের সঙ্গে কেই বা জানে।
পরিবারের সবার সাথে ঈদ করলে যেমন নিজের খুব ভালো লাগে তেমনি বাচ্চাদেরও অনেক ভালো লাগে। আশা করছি পরিবারের সবাই একসাথে অনেক সুন্দর ভাবে ঈদ কাটাবেন। আপনাদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
বাচ্চাদের আনন্দ দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ওদের ছোটাছুটি দেখলে নিজেদের মনে ভালো হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।
আসলে সবারই ইচ্ছা করে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ উৎসবগুলো কাটাতে। তাই হয়তো আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি তার ছেলের ঈদে ফেরার কথা শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছে। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ জার্নি শেষে গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছাতে পেরেছেন এটাই বড় কথা। আশা করি ঈদ শেষে আবার ভালোভাবে ঢাকা পৌঁছবেন। আর অবশ্যই ভাইয়াকে সাবধানে গাড়ি চালাতে মনে করিয়ে দেবেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এত লম্বা জার্নি করে সুস্থ মতো সবাই বাসায় পৌঁছেছি তাতেই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। ভাইয়া গাড়ি চালিয়ে আসে নি। ড্রাইভার নিয়ে এসেছিলাম। ভাইয়া এত দূরের রাস্তায় গাড়ি চালালে আর সুস্থ থাকত না। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
একসাথে সবাই মিলে ঈদ করার মজাটাই আলাদা। আপনি অনেক দূর জার্নি করে আপনার শ্বশুর বাড়িতে এসেছেন সবার সাথে একসাথে ঈদ করার জন্য তাদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য এটা শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি আপনার আজকের এই গল্পটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবাই মিলে ঈদ করার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যাক শেষ পর্যন্ত যেতে পেরেছেন এটাই বড় কথা ।আর ছোটটার জ্বর এখনো সারেনি জ্বরের ভেতরে গ্রামের বাড়িতে একটু সাবধানে রাখবেন ।আপু আপনি গাড়ির ভিতরে ঘুমিয়ে ভালই করেছেন একটু রেস্ট এর দরকার ছিল অত সকালে ঘুম থেকে উঠলে সারাদিন জেগে থাকলে শরীরটা খারাপ করে। ঈদের আগে একটা পরিবারের কতজন মানুষ নিহত হলো সত্যি ব্যাপারটা খুবই কষ্টের। ভালোই ভালোই ঈদ করে ফিরে আসেন সেই কামনাই করি।
সবাই একই পরিবারের ছিল কিনা জানিনা। আমরা কাছে যায়নি । অবশ্য না গিয়ে ভালোই হয়েছে দেখলে আরো বেশি খারাপ লাগতো। ছোটটার জ্বর আজকে আল্লাহর রহমতে আর আসেনি। দোয়া রাখবেন আপু।
সবশেষে ভালোভাবে যে বাড়িতে পৌঁছেছেন এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো। সবাই অনেক আনন্দে ঈদ উদযাপন করবেন এমনটাই আশা করি। জার্নিটা সত্যিই অনেক লম্বা ছিল। অ্যাকসিডেন্ট এর খবরটা আসলেই ভেতরে নাড়িয়ে দিল। ঈদের সময় টাতে রাস্তাতে গাড়ি ঘোরার চাপ আরো বেশি থাকে। খুশির আগ মুহূর্তে কত পরিবারের যে শোকের ছায়া নেমে আসে। যার হারায় সেই বোঝে শুধু।
যাই হোক গরমটা একটু কমতে শুরু করেছে মনে হয় আজ থেকে। ভালো একটা সময় কাটুক প্রিয়জনদের সাথে। এই কামনাই করছি। আর হ্যাঁ আমরা কিন্তু একসাথে ঢাকা ফিরছি 😊।
আসলেই কালকে যখন এসে নামলাম তখন গরম দেখে তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এত গরমে কিভাবে থাকবো। আল্লাহর রহমতে আজকের ওয়েদার টা খুব ভালো। অনেক বেশি গরম নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপনি আপনার শ্বশুর বাড়িতে ঈদ করার জন্য ওখানে পৌঁছেছেন ওটাই আল্লাহর রহমতে বড় কথা। ছোট বাচ্চাগুলো খুবই খুশি হয় একসাথে ঈদ এবং খেলাধুলা করার জন্য। এবং বড়দের অনেক ভালো লেগে থাকে। একসাথে ঈদ করার মজাই আলাদা আপনার ঈদটি অনেক সুন্দর হোক শুভ কামনা করি।
আমার বড় ছেলে তো পাগলের মত সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার সময়ই নাই এত ব্যস্ত সে। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।