ছুটির দিন মানেই কোথাও ঘুরতে যাওয়া অথবা বাসায় ভালো কিছু রান্নার। ছুটির দিন হলেই তো আমার ছেলের বায়না শুরু হয়ে যায় পোলাও রোস্ট খাওয়ার। আজকে বাসায় রান্না করতে একদমই ভালো লাগছিল না। এদিকে ছুটির দিনে ভালো কিছু না খেলে তো আবার চলবে না। তাই ভাবলাম যে বাইরে গিয়ে কিছু খেয়ে আসি। আমি আবার সব সময় যে খাবারগুলো খেয়ে অভ্যস্ত বা যেগুলো ভালো লাগে সেগুলোই খাই। কিন্তু আমার হাজবেন্ডের আবার নতুন নতুন রেস্টুরেন্টে নতুন নতুন খাবার টেস্ট করার ইচ্ছা। যেহেতু আমাদের খাবার ইচ্ছা তাই আমাদের পছন্দের রেস্টুরেন্টেই গিয়েছিলাম। তাছাড়া এই রেস্টুরেন্টের এক সাইডে ছোট্ট একটি খেলার জায়গা আছে। সেজন্য আমার ছেলেরও এখানে যাওয়ারই ইচ্ছা ছিল বেশি। সেটি হল যমুনা ফিউচার পার্কের ফুড কোর্টে ফ্রাইডে রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টে আগেও বেশ কয়েকবার খেয়েছি। আপনাদের সঙ্গে রেস্টুরেন্টের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছিলাম। তাই আজকে আর রেস্টুরেন্টের বেশি ছবি শেয়ার করলাম না। আমরা কি খাওয়া দাওয়া করেছি তাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
রেস্টুরেন্টটিতে খোলা বসার জায়গা আছে। আবার ভিতরে ছোট ছোট আলাদা জায়গা আছে। আমরা অবশ্য ভিতরের দিকে বসেছিলাম। বাচ্চাদেরকে নিয়ে খোলা জায়গায় বসা একটু ঝামেলার।
এর আগের দিন এই রেস্টুরেন্টের সামনের দিকের ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমরা সামনের দিকে জায়গা পাইনি। একদম ভিতরের শেষের দিকে বসেছিলাম। শেষের দিকে দুই একটি ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। তাহলে বুঝতে পারবেন যে রেস্টুরেন্টটি কত বড়।
ওই যে বললাম আমার হাজবেন্ডের নতুন খাবার টেস্ট করার ইচ্ছা। সেজন্য এই ফিশ সুসি অর্ডার দিয়েছিল। এটি অবশ্য জাপানিদের খাবার। আমার খুব একটা আগ্রহ ছিল না। কারণ এই ছোট ছোট দুই পিস সুসির দাম প্রায় ৩৫০ টাকার মত ছিল। টাকা থেকে বড় কথা যে খেতে কেমন হবে সেই চিন্তা। তারপরও হাজবেন্ডের জোরাজুরিতে অর্ডার দিয়ে ফেললাম। কিন্তু খাবারটি দেখতে যত সুন্দর খেতে ততই পঁচা। উপরে ফিশ এবং ভিতরের দিকে মোটা চালের ভাত। আর কিছু সস। আমার একদমই ভালো লাগেনি খেতে। আমার হাজবেন্ডের ও যে খুব একটা ভালো লেগেছে তা না । কিন্তু সে বলেছে যে মোটামুটি।
তারপর সচরাচর যে খাবারটি খাই সেই খাবারগুলো অর্ডার দিয়েছিলাম। এই প্লেটটি আমার জন্য অর্ডার দিয়েছিলাম। এটিতে ছিল ফ্রাইড রাইস, বারবিকিউ চিকেন, সবজি এবং সালাদ। এই প্লেটটির দাম ছিল ৪৫০ টাকা।
এটি বাচ্চাদের জন্য অর্ডার দিয়েছিলাম। বাচ্চাদের জন্য একটি প্লেট অর্ডার করেছিলাম। কারণ আমার ছোট বাচ্চা তেমন একটা খেতে পারে না। এই প্লেটে ছিল চিকেন ফ্রাই, সালাদ, বান, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং একটি কোল্ড ড্রিংকস। এই প্লেটটির দাম ছিল ৩৫০ টাকা।
এটি আমার হাজবেন্ডের জন্য অর্ডার দিয়েছিলাম। এই প্লেটটিতে ছিল গ্রিল চিকেন, নান সালাদ এবং সস। দাম ছিল সাড়ে ৩৫০ টাকা।
এই রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম গুলো একটু বেশি, কিন্তু খাবার গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। এর জন্য বারবার আমরা এই রেস্টুরেন্টে যাই। পরিবেশটাও খুব সুন্দর। আপনারা কখনো যমুনা ফিউচার পার্কে গেলে এই রেস্টুরেন্টটিতে ঘুরে আসতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photography | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
রেস্টুরেন্টে বেশ সুন্দর দেখতে পাচ্ছি। এত সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টের খেতে নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে। ছুটির দিনে ঘোরাঘুরি করার প্রয়োজন অনেক বেশি। বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলে এটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। বাচ্চাদের জন্য আলাদা খাবার অর্ডার করেছেন এমনকি আপনাদের জন্য আলাদা খাবার এটা দেখে ভালো লাগলো।
আলাদা খাবার অর্ডার না করে উপায় নেই একেক জন একেক রকমের খাবার খাবে। সেজন্যই এই ব্যবস্থা। যাই হোক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ভালোই লাগে। রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম গুলো একটু বেশি। তবে পছন্দের খাবার গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে। আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খাবার গুলো বেশ মজার ছিল। শুভকামনা রইল আপু।
ঠিক বলেছেন আপু রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম গুলো একটু বেশি। কিন্তু খাবার গুলো খুবই মজার। এই কারণেই হয়তো দাম বেশি।
আপু বেশ কিছু খাবারের আইটেম দেখলাম ,দেখে ভালই লাগলো । যে রেস্টুরেন্ট খেতে গিয়েছিলেন সেটাও দেখতে বেশ চমৎকার ।ছুটির দিন ঘোরাঘুরি মজা মাস্তি।
ছুটির দিনের ঘোরাঘুরি চমৎকার কিছু মুহূর্তের ছবি ও অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
রেস্টুরেন্টটি একদম পরিপাটি করে গোছানো। অনেক বড়। রেস্টুরেন্টর খাবারগুলো বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও আপু আপনি কি পোষ্ট করলেন ৷প্রতিটি খাবার অনেক লোভনীয় আমার তো জিভে জল এসেছে ৷যাই হোক ছুটির দিনে ঘুরাঘুরি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া ৷আর রেস্টুরেন্টের পরিবেশ টা চমৎকার ৷
খাবারগুলো দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও তেমন সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
ছুটির দিনে খাওয়া দাওয়া ঘোরাঘুরি করতে সবাই পছন্দ করে ।যেটা খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত হয়ে থাকে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু ।আপনার কাটানো মুহূর্ত ও খাওয়া দাওয়ার দৃশ্যপট । দেখে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম তখন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছুটির দিনের ঘোরাঘুরি সাথে ভালই খাবার-দাবার খেয়েছেন আপু। ভাল লাগছে দেখে তবে নুতন যে খাবারটা সেটা আসলে দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে মজার ছিল না। তবে আপনি যে অন্য খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়েছেন দেখি তো লোভ লেগে যাচ্ছে খুবই সুন্দর ছিল খাবারের পরিবেশন ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
সুসি একদমই মজার না খেতে। জাপানিরা যে কেমনে খায় বুঝিনা। আমি তো একটু মুখে দিয়ে আর খাইনি। আমার হাসবেন্ড অবশ্য খেয়েছে।
ওরে বাবা কি খানাপিনা হয়েছে দেখি 🙄। নতুন খাবারের স্বাদ নিতে আমারও খুব ইচ্ছে করে কিন্তু স্পাইসি কিছু খেতে পারি না একদম। গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যার জন্য। খাবার গুলো জিভে জল আনার মত একদম আপু। যমুনা ফিউচার পার্কে খুব একটা ঘোরাফেরা করা হয় নি। দেখি আমার আপু কবে নিয়ে যায় 😊।
এগুলো খুব একটা স্পাইসি ছিল না। খেতে খুবই মজার ছিল। সময় পেলে যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরে আসতে পারেন। আসলে আমাকে ডাক দিয়েন।
পোস্ট দেখেই বোঝা গেছে ছুটির দিনে খাওয়া-দাওয়া ও ঘুরাঘুরির অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক ধরেছেন ভাইয়া অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলাম । বিশেষ করে খাবার গুলো অনেক মজা ছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছুটির দিনে রেস্টুরেন্টে খেতে ভালোই লাগে। আমি বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গেলেই এমন খাওয়া দাওয়া করা হয়। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। আমাদের সাথে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এখন তো আর বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেওয়া হয় না। তাই ফ্যামিলির সঙ্গেই সময় কাটানো হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।