গ্যাংটক এর কনজারভেটরী সেন্টারের কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম গ্যাংটকের ঘোরাঘুরি নতুন একটি পর্ব নিয়ে। একদিনে আমরা গ্যাংটকের সাতটি স্পটে ঘুরেছিলাম। আরো কয়েকটি জায়গা ছিলো আমরা সেখানে অবশ্য যায়নি। যাইহোক সেদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম গ্যাংটকের প্ল্যান্ট কনজারভেটরী সেন্টারের ঘুরাঘুরি এবং কিছু ফটোগ্রাফি। সেদিন আপনাদেরকে বলেছিলাম যে ভিতরে একটি ফুলের এক্সিবিশন ছিলো। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল থাকে। বিশেষ করে এই ফুলগুলো শীতকালে গেলে বেশি দেখা যায়। পাহাড়ি ফুলগুলোর কালার এত চমৎকার হয় যে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। এই ফুলগুলো আবার সমতল জায়গায় এনে লাগালে একদমই হতে চায় না। এগুলো হয়তো পাহাড়েই ভালো হয়। এখানে কিছু কিছু ফুল পরিচিত ছিলো, আর কিছু কিছু ফুল একেবারে অপরিচিত। কেউ যদি এই ফুলের নাম জেনে থাকেন অবশ্যই জানাবেন। আশা করি ফুলের ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লাগবে আপনাদের।
শুরুতে এরকম একটি সাইনবোর্ড এ বিভিন্ন ধরনের ফুলের নাম সহ বিস্তারিত দেওয়া ছিলো। ভেবেছিলাম যে এই সবগুলো ফুল ভেতরে গিয়ে দেখতে পারব। কিন্তু ভিতরে যাওয়ার পর খুবই হতাশ হয়েছিলাম। অল্প কিছু ফুল ছিল। তাছাড়া ভিতরের পরিবেশটা খুব সুন্দর। একপাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হতে হয়। এর ফলে পুরো সেন্টারটি আপনার ঘুরা হয়ে যায়।
এই সেন্টারটির উপরে ছাউনি দেওয়া। হয়তো ফুলগুলো ইনডোর এর জন্য এভাবে ছাউনি দিয়ে তৈরি করা। তাছাড়া এরকম ছোট ছোট পানির ফোয়ারা রয়েছে। দেখতে বেশ ভালই লাগছিলো।
উপর দিয়ে এরকম লতার মত কিছু গাছ ছিল। সেই গাছগুলোতে খুব সুন্দর ফুল ফুটেছিল। যদি এগুলোর নাম সব বাইরে লেখা ছিল।পড়েছিলাম, আমার মনে নেই নামগুলো। তাছাড়া এরকম বিভিন্ন ধরনের গাদা ফুল ছিল।
এই ফুল গুলোকে আমরা মোরগ ফুল নামে চিনি। এরকম বেশ কিছু ফুলগাছ ছিল। কিছু কিছু গাছে অল্প ফুল ফুটেছিলো। লাল টুকটুকে ফুলগুলো দেখতে খুব ভালো লাগছিল।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আপনাদের সামনে গ্যাংটকের নতুন কোন জায়গা নিয়ে হাজির হবো। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করে বর্তমানে ব্লগিং করছি। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, আর্ট করা, বিভিন্ন ডাই তৈরি করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
বাহ ফুল গুলো দেখতে বেশ দারুন লাগছে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে একসাথে অনেকগুলো ফুলের দেখা পেলাম আসলে ফুল আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আসলেই ফুলগুলো খুব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলেই ঠিক বলেছেন আপু এমন কিছু ফুল আছে যেগুলো পাহাড়েই ভালো জন্মায় । কিন্তু এগুলো যখন সমতলে তুলে নিয়ে আসা হয় তখন সেগুলা তেমনভাবে বেড়ে উঠে না বলতে গেলে মারা যায় । বাগানের ভিতর পানির ফোয়ারা গুলো আসলে ভালো ছিল আপু । দেখতেও ভালো লাগছে আমার কাছে । বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।
পাহাড়ের ফুল গাছগুলো সমতলের ভালো থাকলেও ফুল তেমন সুন্দর হয় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
তাও কিন্তু বেশ কয়েক ধরণের বৈচিত্র্যময় ফুলের দেখা পেয়েছিলেন আপু এই গ্যাংটক এর কনজারভেটরি সেন্টারে। গাদা ফুল ছাড়া তেমন কোন পরিচিত ফুল চোখে পড়লো না। আপনার এই পোস্ট এর মাধ্যমে নতুন নতুন ফুলের ছবি দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু।
বেশিরভাগই অচেনা ফুল দেখেছি। যা আগে কখনো দেখিনি। এজন্যই বেশি ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপু ভালোই লাগলো কিন্তু। আপনার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টের মাধ্যমে কিছু পাহাড়ি ফুল দেখতে পেলাম। আসলে যেহেতু ঢাকায় থাকি তাই অনেক ধরনের ফুলের সাথে তেমন করে পরিচিত নয়। তবে আপনার আজকের পাহাড়ি ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু আমার কাছে বেশী ভালো লেগেছে।
পাহাড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের নাম জানা-অজানা ফুল দেখা যায়। আর কালারও অনেক বেশি গাঢ় থাকে। এজন্য খুব ভালো লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এর আগে একটি পোস্টে আপনি বলেছিলেন, গ্যাংটক এর কনজারভেটরী সেন্টারের ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। যাইহোক এতো রকমের ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ফুল বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ এবং ফুলের ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। সবমিলিয়ে পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন তো ফুলের সংখ্যা খুবই কম ছিল। শীতকালে গেলে অসংখ্য ফুল দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।