স্পোর্টস ডে তে যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গতদিন আপনাদের সঙ্গে ছেলেদের স্কুলের স্পোর্টস ডের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। সেদিন যেমন খুশি তেমন সাজের অনুষ্ঠানের সাজগুলো শেয়ার করা হয়নি। বলেছিলাম পরে শেয়ার করবো। তাই আজকে সে অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের সাজ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। ছোট ছোট বাচ্চারা এরকম ভাবে সাজলে খুব সুন্দর লাগে দেখতে। আমিও ছোটবেলায় যেমন খুশি তেমন সাজো অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকবার সেজেছিলাম। একবার তো মুক্তিযোদ্ধা সেজে পুরস্কার পেয়েছিলাম।স্পোর্টস ডে তে ছোটবেলায় এই পার্টের জন্য সবাই অপেক্ষা করত। কারণ এখানে সবাই বিভিন্ন রকম ভাবে সেজে আসতো এবং দেখতে খুবই ভালো লাগতো। ওদের স্কুলেও বাচ্চাদের সাজের এই পর্বটি খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের এত সুন্দর লাগছিল দেখতে যে বলে বোঝানো যাবে না। আশা করি ছবি দেখলে আপনারাও বুঝতে পারবেন কত সুন্দর লাগছিল বাচ্চাদেরকে।
এখানে একটি বাচ্চা প্রজাপতি সেজেছে। এই প্রজাপতি সাজাতে বাচ্চার মায়ের খুবই পরিশ্রম করতে হয়েছে। কারণ প্রজাপতির পাখাটি সে নিজে তৈরি করেছে। খুব ভালো লাগছিল প্রজাপতির পাখাটি। এর জন্য খুব চমৎকার লাগছিল দেখতে। আর নিচের বাচ্চাটি সুপার হিরো হাল্ক সেজেছে। যদিও এখানে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় নি। শুধু ড্রেস পরিয়ে দিলেই হয়ে গিয়েছে।
উপরের ছবিটিতে দুজন মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন বঙ্গবন্ধু সেজেছিল। বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধু সেজেছিল। এর মধ্যে কয়েকজনকে তো খুবই ভালো লাগছিল দেখতে। নিচের মেয়েটি একটি গাছ সেজেছে। গাছের ডিজাইনটি খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
উপরের বাচ্চাটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার সেজেছে। এই আইডিয়াটি খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। কিছুদিন আগে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার খুব দরকার ছিল আমাদের। সেই আইডিয়া থেকেই হয়তো এরকম সাজিয়েছে। নিচের মেয়েটির সাজের আইডিয়াটি খুবই মজা লেগেছে আমার কাছে। কারণ মেয়েটিকে স্মার্ট বউ সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাচ্চাটিও খুব সুন্দর অভিনয় করছিল স্মার্ট বউয়ের। দেখতেও ভালো লাগছিল।
উপরের ছেলেটি মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিল। বেশ কয়েকজন এরকম মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিল। আর নিচের মেয়েটির ফুলওয়ালি সেজেছিল। নিচের মেয়েটি আমার ছোট ছেলের সঙ্গে পড়ে। যদিও বয়সে ওর থেকে দেড় বছরের বড়।
উপরের ছবিটিতে একজন বঙ্গবন্ধু এবং একজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেজেছিল। এই বঙ্গবন্ধুর সাজটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল আগেরজনের থেকে। আর নিচের মেয়েটিকে মা সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন মায়ের কত কাজ করতে হয় তাই নেম প্লেটের মাধ্যমে এখানে লিখে দেওয়া হয়েছে। আইডিয়াটি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
কেমন লাগলো বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের সাজ? আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
Location | BISC Jolshiri |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু স্পোর্টস ডে তে বাচ্চাদের যেমন খুশি তেমন সাজো আমি খুব উপভোগ করলাম।বাচ্চাদের এমন সাজ সত্যি ই খুব ভালো লাগে।অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় আসলে।আপনি ও আশাকরি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফির সাথে সাথে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
সবাই এরকম সুন্দরভাবে সেজে জন্য দেখতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমার কিন্তু বেশ দারুন লেগেছে বাচ্চাদের এমন সুন্দর করে সাজ দেখে। বাচ্চাদের সাজ দেখে তো আমার সেই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছেলেবেলায় আমরা কতই না সুন্দর করে সাজ সাজতাম। যাই হোক আমার কাছে কিন্তু প্রতিটি বাচ্চাকে বেশ দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ আপু কিছুক্ষনের জন্য ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের এরকম সাজ দেখে আমারও ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ছিল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার ছেলের স্কুলের স্পোর্টস ডে তে বাচ্চাদেরকে তো অনেক রঙিনভাবে সেজেছে দেখে খুবই ভালো লাগলো।কয়েকদিন পরে আমার মেয়ের স্কুলেও এই প্রতিযোগিতাটি হবে ভাবছি।এখান থেকে যেকোনো একটি সাজ আমি আমার মৃত সাজিয়ে দেবো। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভালো আইডিয়া পেয়েছেন আপু। এখান থেকে যেটি বেশি ভালো লাগে সে রকম করে আপনার মেয়েকেও সাজিয়ে দিতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বার্ষিক স্পোর্টস এ এই ইভেন্ট এর জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। কে কি সাজছে তা দেখার জন্য। আমাদের সময় নার্স,ডাক্তার আর মুক্তিযোদ্ধা বেশি সাজতো । আবার অভিনয় করে দেখাতো। বেশ ভালো লাগতো। আপনার বাচ্চার স্কুলের সকল বাচ্চাদের বেশ সুন্দর লাগছে যেমন খুশি তেমন সাজো ইভেন্ট। দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চারাও বেশ মজা পাচ্ছে। আমারও বেশ ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ মজার ইভেন্ট শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় শুধুমাত্র এই ইভেন্টের জন্য একেবারে বিকাল পর্যন্ত বসে থাকতাম। খুব ভালো লাগতো দেখতে।
তাই তো দেখছি আপু স্পোর্টস দিনে আপনি ছোট্ট বাচ্চাদের সাজুগুজো দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। নিজের বাচ্চাদের খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন। আসলে ছোট্ট বাচ্চাদের এভাবে সাজালে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার বাচ্চাদেরকে তো কোন কিছু সাজাইনি ভাইয়া। এগুলো অন্যের বাচ্চাদের সাজ। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
যেমন খুশি তেমন সাজো এই অনুষ্ঠানটি আমারও খুবই ভালো লাগে। আমাদের স্কুলের আগে আমি কখনো সাজিনি। আমি একবার আমার বন্ধুকে সাজিয়ে দিয়েছিলাম সেই বন্ধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেজে ছিল ও পুরস্কার জিতেছিল। আপনিও স্কুল জীবনে সেজেছিলেন এবং পুরস্কার জিতেছে। এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে প্রজাপতির সাজে মেয়েটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
সাজটি আপনি নিজে সাজলে আপনি তো বিজয়ী হতে পারতেন। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য করে।
স্পোর্টস ডেতে বেশ ভালো লেগেছে বাচ্চাদের সাজগোজ। আসলে স্পোর্টস এ আমার কাছে বাচ্চাদের এই সাজটাই বেশি ভালো লাগে। আগের বাচ্চাদের থেকে এখনকার বাচ্চারা আরো অনেক ভালো সাজে।আপনি স্পোর্টস ডেতে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই স্পোর্টসডের প্রধান আকর্ষণ থাকে এই সাজের বিষয়টি। এজন্য এত ভালো লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন স্পোর্টসের প্রধান আকর্ষণই হলো যেমন খুশি তেমন সাজো । আপনার এই প্রোগ্রামগুলো দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল । আপনি একবার মুক্তিযোদ্ধা সেজে পুরস্কার জিতেছিলেন সেটা আমারও মনে আছে । এখনো তো বাচ্চাটা সে আগের মত সাজগোজ করছে দেখে ভালই লাগে ।
আপনারও দেখি মনে আছে সেই মুক্তিযোদ্ধা সাজার কথা। যাই হোক আপু ভালো লাগলো শুনে।
বাচ্চাদের এরকম চমৎকার চমৎকার সাজ দেখে খুবই ভালো লাগলো, ছোট ছোট বাচ্চাদের প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ দেখে সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আপনার আজকের এই পোস্ট ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিল।
আমার পোস্টটি দেখে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছোটবেলায় স্কুলের স্পোর্টস ডে তে এই মুহূর্তটার জন্য সবাই অপেক্ষা করতাম ।যেমন খুশি তেমন সাজো দেখার জন্য ভিড় ঠেলে কাছে গিয়ে দেখতাম। বেশ ভালো লাগতো। আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে পুরনো সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লো ।আর বাচ্চারা খুব সুন্দর করে সেজেছে দেখতে ভালো লেগেছে ।আপনার বাচ্চাদেরকে সাজালেও দেখতে পারতাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু এই সময়টা এত ভিড় হতো যে কাছে যাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে যেত। আবার দূরে দাঁড়ালেও কিছু দেখা যেত না।