অবশেষে রিপোর্ট হাতে পেলাম
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বর্তমান সময়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া খুবই ব্যয়বহুল। কারণ ডাক্তারের কাছে গেলেই ডাক্তার এতগুলো টেস্ট দেয় যে মাথা ঘুরে যায়। তাছাড়া বড় হসপিটালে গেলে তো আরো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। নরমাল হসপিটালে টেস্ট করাতে যা খরচ হয় বড় হসপিটালে গেলে সেগুলোরই ডাবল খরচ হয়। তাছাড়া বাঙ্গালীদের একটি সমস্যা আছে টেস্ট করার পর টেস্টের রিপোর্ট ভালো আসলেও মন খারাপ হয়। আবার খারাপ আসলে তো কথাই নেই। টেস্টের রিপোর্ট ভালো আসলে মনের মধ্যে একবার হলেও এই কথাটি আসে শুধু শুধু এতগুলো টেস্ট করালাম, কতগুলো টাকা নষ্ট হলো। আমার হাসবেন্ড অবশ্য এরকম কথা বললে খুবই রাগ হয়। সে তখন বলে যে রিপোর্ট খারাপ আসলে কি খুশি হতে? বুঝিনা ডাক্তাররা কেন এত টেস্ট দেয়। টেস্ট ছাড়া কি তারা কোন ট্রিটমেন্টই করতে পারে না। অল্প টেস্ট দিলেও এক কথা। টেস্ট লিখতে থাকলে মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখতেই থাকে।
যাইহোক এর আগে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম ডাক্তার ১৭টা টেস্ট দিয়েছে। সেদিন টেস্টের রিপোর্টগুলো হাতে পেলাম। বড় বড় টেস্টের রিপোর্ট গুলো ভালো এসেছে। ছোটখাটো কিছু প্রবলেম ধরা পরেছে। যার কারণে শরীর এত দুর্বল হয়। বিশেষ করে ভিটামিন ডি এবং আয়রন এর অভাব হয়েছে শরীরে। তাছাড়া বেশ কিছুদিন ডায়েট করার কারণেও এমনটা হতে পারে। ডাক্তার বারবার জিজ্ঞাসা করছিল যে ডায়েট করি কিনা। ভিটামিন ডি এর অভাব হতে পারে এটা আমরা সন্দেহ করেছিলাম। কারণ রোদ তেমন গায়ে লাগানোই হয় না। ডাক্তার ওষুধের পাশাপাশি প্রচুর খাওয়া দাওয়া করতে বলেছে আর এক্সারসাইজ। ডায়েট করে যে ওজন কমিয়েছিলাম মনে হচ্ছে খাওয়া দাওয়া করে তার দুই তিন ডাবল বেড়ে যেতে হবে এখন শরীর ঠিক করার জন্য। যাই হোক কি আর করার আগে তো সুস্থ থাকতে হবে।
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছেলের খুব ক্ষুধা পেয়ে গিয়েছে। অনেকক্ষণ ওয়েট করতে হয়েছে ডাক্তার দেখানোর জন্য। ডাক্তার দেখানো শেষ হলে তাদেরকে নিয়ে হসপিটালের পিছনে চলে গেলাম খাওয়া-দাওয়ার জন্য। এখানে ওপেন একটি জায়গা বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। ঠিক বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের মত ফুড কোর্টের মতো। সেখানে গিয়ে ছেলেরা পিজ্জা খাবে। তাদের পিজ্জা খেতে মন চেয়েছে। তাই পিজ্জা অর্ডার দিলাম। পিজ্জা তেমন একটা ভালো ছিল না। বাচ্চারা অবশ্য মজা করে খেয়েছে।
অনেকগুলো টাকার টেস্ট করালে কি হবে রিপোর্ট ভালো এসেছে তাই অনেক। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
যাক রিপোর্ট ভালো এসেছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করেন।এটা ঠিক আগের ডাক্তাররা রোগীর জিভ আর চোখ দেখেই বলে দিত পারতো রোগীর কি সমস্যা। কিন্তু আজকাল এতো নতুন নতুন রোগ বের হয়েছে, তাইতো টেস্ট ছাড়া বোঝার উপায় নেই।আর তাই ডাক্তাররা কিছুই বলতে পারে না। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
সেদিন কি আর আছে আপু জিভ আর চোখ দেখে চিকিৎসা করবে। জিভ আর চোখ দেখে চিকিৎসা করলে তো এদের ব্যবসার বারোটা বেজে যাবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ডাক্তারদের টেস্টের নাম লিখতে মনের মাধুরী ভরপুর প্রয়োজন কারন এটাই তো প্রধান ব্যাবসা। যাইহোক আপনার টুকটাক সমস্যা ছাড়া রিপোর্ট ভালো এসেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম। আপাতত ডায়েট নামক জিনিসটা ভুলে গিয়ে বেশি বেশি খাবার খেয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন, সুস্থ থাকাটা বেশি জরুরি।
একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে ফুল বডি চেকআপ হয়ে গিয়েছে। আগামী ছয় মাস এক বছর নিশ্চিন্তে থাকা যাবে। ডায়েট করতে গেলে আমার হাজবেন্ডের মার একটাও জায়গা হবে না পিঠে।
হা হা 😄
মার কিছু বাইপাস করে দিয়েন, তবে ডায়েট করার দরকার নেই।
আসলে এখন এই একটা সমস্যা কোন সমস্যার জন্য ডাক্তারের কাছে গেলে কতগুলো টেস্ট দিয়ে দেয় এখন টেস্ট করানো ছাড়া তারা কোন ওষুধে দেয় না। যাইহোক রিপোর্টে কোন খারাপ সমস্যা আসে নি জেনে ভালো লাগলো। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কি আর করার আপু টেস্ট দিলে তো করতেই হয়। রিপোর্ট ভালো হয়ে এসেছে তাই অনেক। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
বড় টেস্ট গুলোর রিপোর্ট যে ভালো এসেছে এটাই অনেক।আপনি বেশি অসুস্থ থাকলে আমাদের ফ্যান দের কি হবে। যাক খাওয়া দাওয়া বেশি করে করেন। আগে সুস্থতা পরে ডায়েট। আমার মতন ডায়েট করতে পারেন চাইলে। বাসায় ভালো তরকারি হলে সেদিন এর জন্য ডায়েট অফ থাকে আমার।