ফরিদপুর শিশু পার্কের ভিতরে চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আগে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম ফরিদপুর শিশু পার্ক এর কিছু ছবি। এই শিশু পার্কের ভিতর ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানা রয়েছে। আজকে সেই চিড়িয়াখানার ছবিগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
খুব ছোট্ট চিড়িয়াখানা হলেও বেশকিছু পশুপাখি এখানে রয়েছে। বাচ্চারা এখানে গিয়ে খুবই মজা পেয়েছিল। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিলো বানরের খাঁচার সামনে গিয়ে। বানর তার বাচ্চাদের সঙ্গে এত সুন্দর করে খেলছিল যে মুগ্ধ হয়ে দেখার মত ছিল। তাছাড়া এই চিড়িয়াখানার সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় ছিল ময়ূরটি। এত কাছ থেকে আগে কখনো ময়ূর দেখা হয়নি। ময়ূরের পেখমগুলো দেখতে এতো ভালো লাগছিল যে কি আর বলবো। তাহলে কথা না বাড়িয়ে ছবিগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
চিড়িয়াখানার সামনে এরকম মাটির কিছু ঘোড়া বানানো ছিল। ঘোড়াগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল।
চিড়িয়াখানার গেটের সামনে এরকম একটি মাটির বানর বানানো ছিল।
একটি চিড়িয়াখানায় ঢোকার পর এর রাস্তা। দেখতেই পাচ্ছেন কত ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানা।
ভেতরে ঢোকার পর প্রথমে আপনাদের চোখে পড়বে এরকম কিছু উটপাখি। উটপাখিগুলো দেখতে আমার কাছে ভালই লাগে।
পাখির খাঁচার পরে রয়েছে হরিণের খাঁচা। অনেকগুলো হরিণ এখানে ছিল। হরিণগুলো পাতা খাচ্ছিল। হরিণ যে পাতা খায় তা আমার জানা ছিল না। এখান থেকে জানতে পেরেছি।
এরপরে ছিল ছোট্ট কিউট খরগোশের খাঁচা ।খরগোশগুলো মনের আনন্দে খেলা করছিল।
এই পাখিটির নাম আমি জানিনা। এটি অনেকটা মুরগির মতো দেখতে। কেউ যদি এর নাম জানেন তাহলে অবশ্যই জানাবেন।
তারপর চলে এসেছে আমার পছন্দের ময়ূরের খাঁচা। ময়ূর দেখলে মনে হয় যে রং তুলি দিয়ে কেউ এঁকে রেখেছে। এত কালারফুল লাগে দেখতে।
এটির নাম হেলমেটেড গিনিফাউল। গুগোল থেকে নামটি বের করেছি। আসলেই এর নাম হেলমেটেড গিনিফাউল কিনা আমি জানিনা।
এটিতো সবাই চিনেন বক পাখি। বকগুলো অনেক বড় বড় ছিল।
সবশেষে ছিল বানরের খাঁচা। বানরের খাঁচার সামনে এসে একটি বিষয় দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। একটি বানর বানরের বাচ্চাকে মানুষের মতোই চুমু খাচ্ছে। এরা দুইজন খেলছিল। কিছুক্ষণ পরে মা বানরটি বাচ্চার মুখে হাত দিয়ে নিজের ঠোঁটের সঙ্গে হাত মেলালো। আমরা বড়রা যেভাবে বাচ্চাদেরকে চুমু দেই ঠিক সেইভাবে।। খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে বিষয়টি।
এই ছিল আমার আজকের ব্লগ। আশা করি আমার আজকের পোস্টটি আপনারদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
ফরিদপুর পার্কে দেখছি অনেক সুন্দর একটি চিড়িয়াখানা ও রয়েছে। চিড়িয়াখানায় ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। কারণ চিড়িয়াখানায় অনেক ধরনের পশু পাখি দেখা যায়। বিশেষ করে আপনি এই প্রথমবার কাছ থেকে ময়ূর দেখেছেন জেনেও ভালো লাগলো। ময়ূর আমার কাছেও ভীষন ভালো লাগে দেখতে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু খুব সুন্দর চিড়িয়াখানাটি ছিল। ছোট ছোট খাঁচার মধ্যে অনেকগুলো পশুপাখি ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জেলা শহরে এমন চিড়িয়াখানা আসলে তেমন দেখা যায়না।দেখা যায়না বলতে নাই তেমন।তবে ফরিদপুর জেলায় এত সুন্দর একটি চিড়িয়াখানা দেখে খুব ভালো লাগল।আপনি দারুন সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপু।চিড়িয়াখানার বিভিন্ন পশু পাখির নামসহ ধারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।
এখানে আরো কিছু পশু পাখি ছিল । কয়েকটি খাঁচা ফাঁকা দেখলাম। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ফরিদপুর শিশু পার্কের ভিতরে ঘুরাঘুরি করে অনেক ভাল সময় কাটিয়েছেন। আমরাও আপনার মাধ্যমে ঘরে বসে চিড়িয়াখানা ঘুরতে পারলাম। অনেক ধরনের পাখি দেখলাম। বক গুলো অনেক বড় ছিল। এত বড় বক সচারাচর দেখা যায় না। শুভ কামনা আপনার জন্য
আমার মাধ্যমে আপনারাও চিড়িয়াখানায় ঘুরে এলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
চিড়িয়াখানার মধ্যে অনেক সুন্দর পশু এবং পাখি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অত্যান্ত সাধারণ হয়েছে। এত অসাধারন পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। পশুপাখির গুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল।
শিশু পার্কের মধ্যে চিড়িয়াখানা বিষয়টি দারুণ লাগল। একটি ঘুরতে গেলে অন্য টাও ঘোরা হয়ে যায়। যাইহোক অনেক সুন্দর করেছেন পোস্ট টা। প্রতিটা প্রাণির ছবির সাথে সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। এবং প্রাণিগুলো চমৎকার। বিশেষ করে উঠপাখি এবং ময়ূরটা বেশি সুন্দর লেগেছে আমার কাছে।।
এই শিশুপার্কটি তে গেলে একসঙ্গে ২ টি কাজ হয়ে যায় । শিশুপার্কে ঘোরা হয়ে যায়। আবার ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানায দেখা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর কোয়ালিটিফুল কিছু সময় ব্যয় করেছেন শিশুপার্কে এবং অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেকদিন পর বাচ্চাদের নিয়ে একটি ভালো সময় পার করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জি আপু এরকম মাঝে মধ্যে ঘুরে আসবেন তাহলে বাচ্চাদের মেধা বিকাশে সহায়তা হবে। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
ফরিদপুর শিশু পার্কের ভিতরে চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু সুন্দর একটি জায়গা পরিদর্শন করেছেন। ফরিদপুর শিশু পার্কের ভিতর চিড়িয়াখানা। চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন চিড়িয়াখানার ভিতরে। সুন্দর সুন্দর কিছু প্রাণী নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। হরিণ ময়ূরী বক বানর আর অনেক রকম পাখি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া চিড়িয়াখানাটি ছোট হলেও বেশ কিছু প্রাণী এখানে ছিল । ভালোই লেগেছিল দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি একজন দায়িত্ববান মা এবং কি আপনি বাচ্চাদেরকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছেন। তবে যেখানেই ঘুরতে যান না কেন বাচ্চাদের জ্ঞান বিকাশের জন্য বড় ভূমিকা রাখে। তারা দেশ ও দশকে জানতে পারে। আর আপনি খুব সুন্দর চিরাখানার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং আপনি বানর এবং বানরের বাচ্চার খেলাধুলা দেখে খুবই মুগ্ধ হয়ে গেছেন জেনে খুশি হলাম। কথায় আছে না মা তো মা, মায়ের তুলনা কোন কিছুর সাথে হয় না। যাই হোক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মা তো মা ই।। মানুষই হোক আর পশুপাখিই হোক। সব মা রাই বাচ্চাদেরকে অনেক ভালোবাসে। তা বানরদেরকে দেখে আবারো বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।