ঈদের শপিং
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন আছে। সবাই নিশ্চয়ই কেনাকাটা নিয়ে খুব ব্যস্ত। আমিও বাচ্চাদের বেশিরভাগ কেনাকাটা ঈদের আগে করে রেখেছিলাম। আমারগুলো অনলাইন থেকে সেরে নিয়েছি। তাছাড়া বাকিদের সবাইকে টাকা দিয়ে দিয়েছি যাতে কষ্ট করে কিনতে না হয়। টাকা দেয়ার জন্য তারাও নিজেদের পছন্দ মত কিনে নিতে পারবে। কিনে দিলে আবার অনেকের পছন্দ হয় না। আর ছেলেদের আর ছেলের বাবার শুধু পাঞ্জাবি আর স্যান্ডেল কেনার বাকি ছিল। এর মধ্যে কেনা হয়ে যেত। কিন্তু অসুস্থতার কারণে বেশ কিছুদিন বাসায় থাকতে হয়েছে। এজন্য আর মার্কেটে যাওয়া হয়নি। রংপুরে চলে যেতে হবে ঈদের আগেই। হাতে খুব একটা সময় নেই। তাই শরীর একটু সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে গিয়েছিলাম যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমলে। এখান থেকেই সব সময় কেনাকাটা করি। আমার বাসার পাশেই এই শপিংমল। এ জন্য দূরে খুব একটা যাওয়া হয় না।
বাসা থেকে বেরোনোর আগে ভাবছিলাম যে গাড়িতে করে যাব না রিক্সায়। কারণ গাড়ি নিয়ে গেলে গ্যারেজে ঈদের সময় গাড়ি রাখার জায়গা পাওয়া যায় না। তার উপরে আবার গ্যারেজে ঢুকতে বের হতে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। যেহেতু সন্ধ্যার পরে গিয়েছিলাম ওই সময় ভিড় আরো বেশি হওয়ার কথা। আবার রিকশা নিয়ে গেলেও অনেকদূর হেঁটে যেতে হয়। কারণ রিকশা বসুন্ধরা আবাসিক দিয়ে বের হলে যমুনা গেট পর্যন্ত যায় না। অনেকদূর আগে নামিয়ে দেয়। আগে ভেতরের দিকে একটি গেইট ছিল। কিন্তু যমুনা গ্রুপের এবং বসুন্ধরা গ্রুপের লোকজন মারামারি করে তার কারণে বন্ধ করে দিয়েছে সেই গেইট। এখন কষ্ট হয়েছে আমাদের মত মানুষের। তাই গাড়ি নিয়েই বের হলাম। মার্কেটের কাছাকাছি আসতেই কেমন একটা ঈদের আমেজ শুরু হয়ে গেল। এত বড় একটি মার্কেট পুরোটা জুড়ে এরকম লাইটিং করেছে। এত চমৎকার লাগছিল দেখতে কি আর বলবো।
গ্যারেজের ঢোকার সময়ও লাইটিং করা। গ্যারেজে ঢোকার পরে বেশ কিছু জায়গা ফাঁকাই পেলাম। আমরা শুরুতেই চলে গেলাম টপ টেন এর একটি শোরুমে। এখানে দেখলাম বাচ্চাদের খুব সুন্দর সুন্দর স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে। যদিও স্যান্ডেল গুলোর দাম অনেক বেশি মনে হলো। কিন্তু কি আর করার। একে তো ঈদের সময় তার উপরে আবার স্যান্ডেল সহজে পছন্দ হতে চায় না। তাই এখান থেকে দুই ছেলের জন্য দুই জোড়া স্যান্ডেল নিয়ে নিলাম। দুই জোড়া স্যান্ডেলের দাম পরেছে ৪৫০০ টাকার মতো।
বেশ কয়েক দোকানে পাঞ্জাবির জন্য ঘুরলাম। ইচ্ছা ছিল দুই বাচ্চাদের এবং বাচ্চার বাবার একই রকম পাঞ্জাবি কিনবো। কিন্তু তেমন একটা পছন্দ হলো না। তারপরে ভাবলাম দুই বাচ্চাকে একই রকম কিনে দেই। তাও সাইজ পেলাম না। পরে অবশেষে বাচ্চার বাবার জন্য টুয়েলভ থেকে একটি পাঞ্জাবী কিনলাম। আর বড় ছেলের জন্য একটি পাঞ্জাবি কিনলাম সেইলর থেকে। সেইলরের কাউন্টারে মোটামুটি খুব ভিড় ছিল। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ক্যাশ কাউন্টারে। এবারে ঈদে এদের পাঞ্জাবি আমি গিফট করেছি আমার abb এর ইনকাম থেকে। এর আগেও বেশ কয়েকবার এদেরকে গিফট করেছি। কিন্তু সেই টাকা হাজবেন্ডেরই ছিল। এবার নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে গিফট করতে পেরেছি জন্য খুব ভালো লেগেছে। যদিও ছোট ছেলের পাঞ্জাবি কেনা হয়নি রাত হয়ে গিয়েছিলো। আবার যেতে হবে।
ঘুরতে ঘুরতে প্রায় ১১:৩০ বেজে গিয়েছিল। মার্কেটে ১২ টায় বন্ধ হয়ে যায়। ছোট ছেলেও খুব বিরক্ত করছিল এত সময় ঘুরাঘুরি করে। তাই আর সময় নষ্ট না করে চলে এসেছি। নিচে নেমে বাচ্চাদেরকে আইসক্রিম খাইয়ে কিছুটা ঠান্ডা করলাম।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে কাউকে কোন কিছু গিফট করাটাই বেশ আনন্দের। যদিও বাচ্চাদের পাঞ্জাবী কিনতে পারেননি। তবুও এ বিবি এর টাকা দিয়ে বাচ্চাদের বাবার জন্য তো কিছু কিনতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে তাহলে এবারের ঈদ আনন্দটা আপনার জন্য অন্য রকমের । ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে আপনার আনন্দঘন মূহূর্ত টুকু শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে কাউকে গিফট করতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঈদের সময় হলে মার্কেটে অনেক ধরনের লাইটিং করে দেখেছি। কিন্তু মার্কেটের বাইরেও যেভাবে লাইটিং করে এটা প্রথম দেখলাম। নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে এবার বাচ্চার ও ভাইয়ার শপিং করে দিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। নিজে থেকে কোন কাজ করে টাকা ইনকাম করে সেটা দিয়ে যদি কোন কাজ করা যায় সত্যিই অনেক আনন্দ হয়। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সম্পূর্ণ মার্কেটটি চারপাশে ঘুরিয়ে এত সুন্দর করে লাইটিং করেছিলো যে দেখতে খুব চমৎকার লাগছিলো। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
ঈদের সময় মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে কখন যে সময় পার হয়ে যায় সেটা বোঝা যায় না। ভাইয়ার জন্য টুয়েলভ থেকে পাঞ্জাবি নিয়েছেন, টুয়েলভের পাঞ্জাবি গুলোর কোয়ালিটি ভালো বিশেষ করে কালার নষ্ট হয় না। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় কমিউনিটি থেকে আর্ন করা টাকা দিয়ে পাঞ্জাবি গিফট করেছেন।
আসলেই ভাইয়া মার্কেটগুলোতে এত ভিড় থাকে এজন্য সময় আরো বেশি লাগে। টুয়েলভ থেকে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জিনিস কেনা হয়। এদের জিনিসের কোয়ালিটি খুব ভালো। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
ঈদের শপিং করার চমৎকার অনুভূতির কথাগুলো আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে দিতে। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে কাউকে কোন কিছু কিনে দেওয়ার মধ্যে যে পরিমাণ আনন্দ রয়েছে সেটা হয়তো অন্য কোন কিছুতে নেই।
আসলেই নিজের ইনকামের টাকার আনন্দ ও অন্যরকম। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
আপনাদের যে শপিং গুলো করতে বাকি ছিল সেগুলো করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। যদিও বা অসুস্থতার কারণে একটু দেরি হয়ে গেল জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। যাইহোক আশাকরি আপনারা যে জিনিসগুলো কিনেছেন সেগুলো আপনাদের খুবই পছন্দ হয়েছে। তবে একটা জিনিস জেনে ভালো লাগলো যে আপনি এবার নিজের ইনকাম করা টাকায় আপনার হাজবেন্ডকে এবং আপনার বড় ছেলেকে পাঞ্জাবি গিফট করেছেন । যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে ঈদের শপিং নিয়ে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসুস্থতার কারণে এবার শপিং করে খুব একটা আরাম পায়নি। তাড়াহুড়া করে শপিং করতে হয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।