আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব পোয়া মাছের ভুনা। এটি সামুদ্রিক পোয়া মাছ। সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য তো খুবই উপকারী। এজন্য বাজারে যখনই কোন সামুদ্রিক মাছ আমার হাসবেন্ড পায় সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসে। পোয়া মাছ আগে বেশ কয়েকবার খেয়েছি, কিন্তু সামুদ্রিক পোয়া মাছ এই প্রথম খেলাম। এই মাছগুলোর কাটা কম থাকে এবং খুবই নরম থাকে। খেতে খুব ভালো লাগে । এই মাছটিতে ডিম ছিল। ডিমের স্বাদ আমার কাছে অনেকটা ইলিশ মাছের ডিমের মতো লেগেছে। তাছাড়া এই মাছ কিভাবে রান্না করবো বুঝতে পারছিলাম না। অনেক নরম বেশিক্ষণ রান্না হলে মাছগুলো ভেঙে যায়। এজন্য মাছগুলো অল্প ভেঁজে নিয়ে রান্না করেছি যাতে ভেঙে না যায়। এর ফলে খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।
পোয়া মাছ-- ৭ পিস
পিঁয়াজ --৩ টি
কাঁচামরিচ-- ৫ টি
পিঁয়াজ বাটা-- ৩ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া -- ১.৫ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া--১চা চামচ
ধনে গুড়া --১ চা চামচ
জিরা গুড়া --১ চা চামচ
লবণ --পরিমাণমতো
সরিষার তেল--পরিমাণমতো
প্রথমে মাছগুলোকে ভালোমতো ধুয়ে পরিষ্কার করে হলুদ এবং লবন দিয়ে কিছুক্ষণ মাখিয়ে রেখে দিখেছি। তারপর চুলাই একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি।তেল গরম হলে মাছগুলো দিয়েছি।
এখন মাছগুলোকে হালকা ভেঁজে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি।
ওই তেলের মধ্যে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি। পিঁয়াজ মরিচ কুচিগুলো হালকা ভেঁজে নিয়েছি। তারপর বাটা মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে গুড়া মশলা গুলো সব দিয়ে দিয়েছি। সব মশলাগুলো এখন ভালোমতো কষিয়ে নিব।
একটু কষিয়ে নিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে আবারো মসলাগুলোকে কষিয়ে নিব। মসলাগুলো ভালো মতো কষানো হয়ে গেলে মাছগুলো দিয়ে দিব ।
এখন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিব মাছগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য । আমার রান্না প্রায় শেষের দিকে হয়ে আসলে জিরা গুড়া দিয়ে দিব ।
তারপর আর একটু ঝোল শুকিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি ।
এভাবেই আমার রেসিপি তৈরি হয়ে গেল। এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আমি পোয়া মাছের নাম শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। একদম ঠিক বলেছেন আপু সামুদ্রিক মাছ বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পুষ্টি পাওয়া যায়। এত কিছু জানার পরও আমার কাছে এই মাছ খেতে ভালো লাগেনা। যাই হোক আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। রেসিপির কালার দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সামুদ্রিক আরো অনেক মাছ পাওয়া যায় এই মাছটা খেতে না চাইলে অন্য যেকোনো মাছ বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন। সামুদ্রিক মাছ খুবই উপকারী বাচ্চাদের জন্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
পোয়া মাছগুলো নরম হওয়াতে খেতেও অনেক মজা হয়! কাটা তেমন নেই বললেই চলে। ভুনা করে খেলে আরও ভালো লাগে। আপনি মজাদার করে পোয়া মাছের ভুনা করেছেন। খেতে নিশ্চয় মজা হয়েছিল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই মাছ নরম হওয়ার সাথে সাথে কাটাও অনেক কম থাকে। এজন্যই খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে এই সামুদ্রিক পোয়া মাছ খেয়েছিলাম বেশ মজা খেতে। তাছাড়া আর কখনো সামুদ্রিক মাছ খাওয়া হয়নি। আপু আপনি সামুদ্রিক মাছের দারুন রেসিপি করেছেন। ভিন্ন ধরনের খাবারের প্রতি আগ্রহ টা একটু বেশিই থাকে।
এই মাছ তো বাজারে অনেক পাওয়া যায়। চাইলেই কিনে খেতে পারেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার রেসিপিটা সবার রেসিপি থেকে একটু আলাদা। সবাই মাছকে ভাল ভাবে ভাজি করলেও আপনি মাছকে না ভেজেই সুন্দর ভাবে রান্না করেন। যদিও আজকে দেখলাম হালকা ভাজি করেছেন। পোয়া মাছটা খুব সুস্বাদু। সামুদ্রিক মাছ হওয়াই অনেক ভিটামিনও রয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
মাছ ভাজতে আমার কাছে খুবই ভয় লাগে। এজন্যই আমি মাছ ভাজা ছাড়াই রান্না করি। আজকে হালকা ভেজে রান্না করেছি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে সামুদ্রিক মাছ আমাদের সকলের জন্যই অনেক বেশি ভালো বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য আরো বেশি ভালো। সামুদ্রিক মাছে অনেক পরিমাণে আয়রন থাকে আর এটা হার গঠনে অনেক বেশি উপযোগী। এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনার হাসবেন্ড বাজারে সামুদ্রিক মাছ পেলেই সেগুলো বাসায় নিয়ে আসে। আর সামুদ্রিক মাছে যদি ডিম থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল পরিবারের সকলকে নিয়ে দারুণভাবে উপভোগ করেছেন।
এই মাছগুলোর ভিতরে অনেক ডিম ছিল এজন্য খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।।
আপু বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আসলে পোয়া মাছ আমার খাওয়া হয়নি ৷ তবে এই মাছ যে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে তা আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷ তবে এটা ঠিক সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকে। যাই হোক চমৎকার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
পোয়া মাছ যেহেতু কখনো খাননি ভাইয়া এরপরে চেষ্টা করবেন খাবার। আশা করি খুবই ভালো লাগবে খেতে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে সামুদ্রিক মাছগুলো খেতে একটু বেশি সুস্বাদু হয়। আর যে মাছগুলোর পেটের ডিম হয়ে যায় সে মাছগুলো তো আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে যায়। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে সামুদ্রিক পোয়া মাছ রান্নার একটা রেসিপি শেয়ার করলেন আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সামুদ্রিক মাছ গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। তাছাড়া অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন থাকে এই মাছগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।