গল্প "সম্পর্ক" পর্ব-২

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকের আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে "সম্পর্ক" গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো। মানুষের জীবনের বাস্তব কাহিনী থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। তার জন্যই সত্যিকারের কাহিনীগুলো লেখতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। গত পর্বে তিতলির মা মারা যাওয়া পর্যন্ত শেষ করেছিলাম। আজ তারপর থেকে শুরু করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


rakshabandhan-2717519_1280.jpg
Link



সম্পর্ক


মা মারা যাওয়ার কিছুদিন পর তিতলির ভাই তার বোনদেরকে বলে যে তার মা নাকি এই বাড়িটা তাকে লিখে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু মা হঠাৎ করে মারা যাওয়ার জন্য আর দিতে পারেনি। কারণ সে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা দিয়ে এই বাড়িটির করেছে। সবার নামে থাকার কারণে সে লোন নিতে পারছে না। তার নিজের নামে হলে সে বড় এমাউন্টের লোন নিয়ে বাকি ফ্লোর গুলো কমপ্লিট করে ফেলতে পারবে।

কথাটি শুনে তার বোনেরা একটু অবাক হয়। তারা জানে যে তার বাবা জমি বিক্রি করে এই বাড়িটি করেছে। কিন্তু যেহেতু তার মা মারা যাওয়ার পূর্বে ছেলেকে দিতে চেয়েছেন তাই তারাও আর কিছু বলে না। তাছাড়া তিতলির বোনেরা সবাই বেশ স্বচ্ছল। তাই তারাও আর কোন কিছু ভাবে না।

তিতলির শ্বশুরের উত্তরা নিজের একটি জায়গা আছে। তিতলির হাজবেন্ডেরও বসুন্ধরায় জায়গা আছে। খুব দ্রুত দুই জায়গারই কাজ শুরু হবে। তখন তারাও এখানে আর থাকবে না। তাই ভাইকে তাদের ভাগের অংশ লিখে দেন।

নিজের নামে বাড়িটি পাওয়ার পর তার ভাই লোন নিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করে। যেহেতু তার ভাই বিদেশ থাকে আর তিতলি এই বিল্ডিং থাকে। এজন্য সে তার ভাইয়ের বাড়ি কমপ্লিট করার জন্য সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। সব দেখাশোনা সে আর তার হাসবেন্ড এবং শশুর করে। এভাবে তার ভাইয়ের বাড়িতে ছয় তলা কমপ্লিট করে।

তিতলির ভাই বোনেরা ঢাকা আসলে তার মায়ের ফ্ল্যাটে উঠে। সবার আপ্যায়ন তিতলিই করে। তাছাড়া এই বিল্ডিংয়ে যাবতীয় ভাড়াটিয়াদের দেখাশোনা তিতলি করে। তিতলির মা মারা যাওয়ার পর তিতলি বেশ কয়েকবার চেয়েছেন অন্য জায়গায় চলে যেতে। কিন্তু তিতলির ভাই তাকে যেতে দেয়নি। সে অনেক রিকোয়েস্ট করে বলেছে সে চলে গেলে এই বাড়ি দেখাশোনা কে করবে। বাড়ি রেখে লাভ কি। বাড়ি বিক্রি করে দিতে হবে। সেজন্য তিতলি আর এই বাড়ি ছেড়ে যায়নি। এভাবে বেশ ভালোই কাটছিলো তাদের।


এখন পর্যন্ত তাদের সম্পর্কতো ভালোই যাচ্ছে। পরবর্তীতে কি হয়েছিল যা জানতে হলে পরের পর্ব অবশ্যই পড়তে হবে। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

তিতলি এবং তার বোনেরা আসলেই খুব ভালো। তাইতো তাদের ভাইয়ের কথা অনুযায়ী ভাইয়ের নামে বাড়িটা লিখে দেয়। তিতলি এবং তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছয়তলা বিল্ডিং এর কাজ কমপ্লিট করে দিলো। তিতলি পুরো বাড়ি দেখাশোনা পর্যন্ত করে। তিতলি আসলেই খুব ভালো মনের একজন মানুষ। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তিতলির ভাই বোনদের সাথে পল্টি মারবে এবং সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবে তিতলি। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 11 months ago 

তিতলির বোনেরা কোন কিছু চিন্তা না করে ভাইয়ের কথামতো ভাইয়ের নামে বিল্ডিংটি লিখে দিয়েছিল। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 11 months ago 

তিতলি এবং তার বোনদের সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে এটা। সবদিক দিয়ে তিতলির ভাইয়ের লাভ হলো। যাইহোক ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 11 months ago 

তিতলি সব মিলিয়ে অনেকটাই সবকিছু গুছিয়ে নিতে পেরেছিল। ঠিকঠাক বাড়ির দেখাশোনা করা ভাড়াটিয়াদের সাথে মানিয়ে নেয়া সবমিলিয়ে ভালোই যাচ্ছিল যাই হোক পরবর্তী পর্বে পরবর্তী ঘটনা জানার ইচ্ছা বাকি রয়ে গেল।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

তিতলি নিজের ডাক্তারীর পাশাপাশি পুরো বাড়ির দেখাশোনা বেশ ভালোভাবে করছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।

 11 months ago 

সম্পর্ক গল্পটার প্রথম পর্ব যদিও আমার পড়া হয়নি, তবে দ্বিতীয় পর্ব পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তিতলি অনেক বেশি ভালো মনের মানুষ যা বুঝতে পারছি। বাড়ির দেখাশোনা বেশ ভালোভাবেই করছিল। এবং কি বোনেরা আসলে সে সবাইকে আপ্যায়ন করত এবং অন্যদেরও দেখাশোনা করত। সব মিলিয়ে পুরোটা পড়তে ভালো লেগেছে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।

 11 months ago 

জ্বী ভাইয়া তিতলি বেশ ভালো মনের একটি মানুষ। তার পুরো পরিবার ঢাকায় আসলে তাদের সব আপ্যায়ন তিতলি এবং তিতলি শ্বশুরবাড়ির লোকজনই করে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 11 months ago 

আপু আপনি প্রতিনিয়ত এখনো অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। যেগুলো আমি পড়ার চেষ্টা করি। তবে এই গল্পটার প্রথম পর্ব আমি পড়ি নাই। যার কারণে দ্বিতীয় পর্ব পড়তে অনেক বেশি অসুবিধা হয়েছে। তবে এখানে তো দেখছি, তিতলি নিজের ভাইয়ের বাড়িটা দেখাশোনা করার জন্য থেকে গিয়েছিল। আর সবকিছু নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছিল।

 11 months ago 

আপু আমি বেশিরভাগ গল্পই মানুষের জীবনে এর কাহিনী নিয়ে লিখি। এতে অনেক কিছু শেখার থাকে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 11 months ago 

তিতলির মা মারা গেছে আর মারা যাওয়ার আগে সে কি বলে গিয়েছিল সেটা তো আর ওদের জানা নেই এজন্য ভাইকে সম্পত্তি লিখে দিতেই হয়েছে ।আর ভাইয়ের বাড়িতে থেকে তিতলি খুব সুন্দর ভাবে বাড়িটি দেখাশোনা করছিল এটা তো ভাইয়েরই ভালো হচ্ছিল । আর বাড়ি দেখাশোনার পাশাপাশি নিজেও থাকতে পারছিল তার ওতো একটু সুবিধা হচ্ছিল । দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয় ।

 11 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু তিতলির মা আদৌ কি তিতলির ভাইকে এগুলো বলে গিয়েছে কিনা তা কারো জানা ছিল না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 59696.83
ETH 2363.30
USDT 1.00
SBD 2.55