আজকে আবারো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি রুই মাছ রান্না করেছি। এই রুই মাছটি অনেক বড় সাইজে ছিল। তাই মাছটি বাজার থেকে কেটে এনেছিল। আমি এমনিতেই মাছ কাটতে পারি না। তার উপরে এত বড় মাছ বাসায় নিয়ে আসলে কাজের খালাও একটু বিরক্ত হয়। সেজন্য বড় মাছ হলে কেটেই আনা হয়। রুই মাছ এমন একটি মাছ যে মাছ কম বেশি সবাই খায় ছোট অথবা বড় সাইজের । আমার কাছে ছোট রুই মাছের থেকে বড় সাইজের রুই মাছ গুলো খেতে বেশি মজা লাগে । তাছাড়া রুই মাছ বিভিন্নভাবে রান্না করে খেলেও মজা লাগে। ভুনা করলে বা বিভিন্ন সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু হয় । আজকে আমি দুই মাছের ঝোল রান্না করেছি। সেই রেসিপিটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে শুরু করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
রুই মাছ-- ৬ পিস
পিঁয়াজ-- ৩ টি
কাঁচামরিচ-- ৪ টি
পেঁয়াজ বাটা-- ৪ টেবিল চামচ
আদা বাটা-- ১.৫ চা চামচ
রসুন বাটা--১.৫চা চামচ
হলুদের গুঁড়া-- ১.৫চা চামচ
মরিচের গুঁড়া-- ১চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া-- ১চা চামচ
জিরা গুঁড়া--১চা চামচ
লবণ --পরিমাণমতো
তেল --পরিমাণমতো
ধনিয়া --পাতা পরিমাণমতো
রুই মাছটি অনেক বড় সাইজ ছিল। সেজন্য বাজার থেকে মাছটি কেটে এনেছিল। এখানে ছয় পিস মাছ নিয়ে আমি ভালোমতো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়েছি। তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি গুলো একটু ভেঁজে নিয়ে এখন আমি বাটা মসলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। বাটা মসলাগুলো একটু কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলা গুলো সব দিয়ে দিয়েছি।
এখন সামান্য একটু পানি দিয়ে মসলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিব যতক্ষণ পর্যন্ত না তেল উপরে ভেসে ওঠে।
মশলাগুলো ভালো মতো কষানো হয়ে গিয়েছে তেল উপরে ভেসে উঠেছে। এ পর্যায়ে আমি ধুয়ে রাখা মাছগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব।
মাছগুলো মসলার সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে একটু কষিয়ে নিব। তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিব মাছগুলো রান্না হওয়ার জন্য।
মাছগুলো রান্না প্রায় শেষের দিকে। এ পর্যায়ে আমি ধনিয়া পাতা এবং জিরা গুঁড়া দিয়ে দিব। তারপর আর কিছুক্ষণ রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিব।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ।পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photography | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
আপনি আপু ঠিক বলেছেন আসলে একটু বড় রুই মাছ হলে খেতেও খুব মজা হয় । আর বিশেষ করে রুই মাছ ভুনা করে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে । আপনি খুব সুন্দর করে রুই মাছের রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আসলেই ভাইয়া রুই মাছ এভাবে ভুনা করে খেলে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
মাছের মধ্যে আমি বেশি রুই মাছটি পছন্দ করি।আপনার রুই মাছের রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপু এরকম সুন্দর একটি মাছের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রুই মাছটি সব সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় এজন্য মনে হয় সবারই এই মাছটি পছন্দের। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
মজাদার রুই মাছের রেসিপি তৈরি করেছে আপু।যা দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর এবং লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জি ভাইয়া খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল রুই মাছের রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওরে বাবা দারুন মাছ এনেছে তো ভাই বাজার থেকে। দেখেই তো ইচ্ছে করছে এক পিস ভাজি খেয়ে আসি। এখন তো বড় মাছ গুলো এভাবে কেটেই নিয়ে আসে আপু। বাজারে ছোট মাছ গুলো কেটে দেওয়ারও ভালো ব্যবস্থা আছে দেখেছি। আজ আমার এখানেও রুই মাছ রান্না করেছিল আপু। বিশ্বাস করেন একদম ভালো হয় নি। আপনার রান্নার শেষে ধনে পাতা দেওয়া দেখে খুব লোভ লেগে গেল সত্যি। কি আর,, পেট ভরিয়ে নিলাম কোন রকমে।
কাজের খালাদের রান্না কেন যেন একদমই ভালো হয় না । আপনারা যে কিভাবে খান বুঝতে পারি না। যাইহোক বিপদে পড়লে সবই খাওয়া যায়।
কি বলেন আপু আপনি মাছ কাটতে পারেন না?
🤭🤭🤭
যাইহোক আসলেই বড় মাছের মজাই আলাদা। আপনার রেসিপিটি খুবই লোভনীয় হয়েছে আপু। ধন্যবাদ টি শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি জীবনে কোনদিন মাছ কাটিনি কিভাবে পারব কাটতে । সব সময় বাজার থেকে কেটে নিয়ে আসে অথবা কাজের খালা কাটে। তাই আর দরকার পরেনি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি রুই মাছের চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দরভাবে রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার রুই মাছের রেসিপিটি দেখে আপনার খেতে ইচ্ছা করছে যেন ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
যেকোনো বড় মাছ বাজার থেকে কেটে নিয়ে আসলে অনেক বেশি সুবিধা হয়। নাহলে বাসায় এনে কাটতে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। আপু আপনার শেয়ার করা রুই মাছের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। আর রিসিপির কালার দারুন এসেছে।
ঠিক বলেছেন আপু বড় মাছগুলোর দোকান থেকে কেটে আনলে অনেক সুবিধা। নাহলে এত বড় মাছ বাসায় কাটা খুবই ঝামেলার বিষয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বড় সাইজের রুই মাছের রেসিপি দেখেই যেন লোভ লেগে যায়। আলাদা পাত্রে পরিবেশন করার পরে ঝোলের কালার আর বড় সাইজের মাছ সবচেয়ে বেশি লোভ লাগিয়েছে। এমন লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি যেভাবে বর্ণনা করলেন তাতে তো আমারই আবার খেতে ইচ্ছা করছে। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
মাছের টুকরা গুলো দেখে তো মনে হচ্ছে সাইজ অনেক বড় ছিল। আসলে এ সমস্ত মাছের ক্ষেত্রে সাইজ যত বড় সাদ ততো বেশি। অবশ্য দাওয়াত দিলে বুঝতে পারতাম আপনি রান্না কেমন করতে পারেন হা হা হা হা।
জি ভাইয়া মাছটি অনেক বড় ছিল। খেতেও তেমনি সুস্বাদু ছিল। টেকনিক্যাল সমস্যা সমাধান হলে একদিন খাওয়াবো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।