শেকড়ে ফেরার অনুভূতি।(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
মেয়েদের বারবার শেকড় পাল্টাতে হয়। বিয়ের আগে থাকে এক জায়গায়। বিয়ের পর শশুর বাড়ি। তারপর যদি হাসবেন্ড অন্য জায়গায় চাকরি করে তাহলে আবার নতুন এক জায়গা।যত জায়গায় শেকড় গজাক না কেন নিজের বাবার বাড়ির মত শেকড় সে কি আদৌ কোথাও গড়তে পারে । বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা হলে মেয়েদের চোখে মুখে অন্য রকম একটা আনন্দ কাজ করে।সে রকমই আমার অবস্থা। অনেকদিন পর বাবার বাড়ি যাব। ভাবতেই কি যে খুশি লাগে।


বেশিরভাগ সময় ঈদ শশুর বাড়িতে করা হয়।কিন্তু এইবার ঢাকাতেই ঈদ করেছি। হাসবেন্ড ঈদের পরদিন ওমরা হজ্জ এ গিয়েছে। এই সুযোগ আমিও কাজে লাগিয়ে নিলাম। বাবার বাসায় চলে আসলাম। আসার পথে কিছু ছবি তুলেছি। তাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।



PhotoCollageMaker_202256212537109.jpg

এখন গাছে গাছে নতুন নতুন পাতা গজিয়েছে। এজন্য গাছগুলো দেখতে আরো ভালো লাগে। এই ছবিগুলো আমি চলন্ত গাড়িতে বসে তুলেছি।

IMG_20220506_193805.jpg

IMG_20220506_193748.jpg

Link

বিভিন্ন গাছে বিভিন্ন ধরণের ফুল ফুটেছে। ফুলে ভরা গাছ দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে।

IMG_20220506_193732.jpg

IMG_20220506_193655.jpg
Link

IMG_20220506_193627.jpg

কৃষণচুড়া গাছ গুলো এই সময় দেখলে মনে হয় যে লাল চাদরে মোড়ানো।

IMG_20220506_192604.jpg

Link

IMG_20220506_192634.jpg

এই কৃষ্ণচুড়া গাছের ছবি ফেরি ঘাটে তোলা।

IMG_20220506_193026.jpg
Link

এই ছবিগুলো আমি ফেরীতে বসে তুলেছি।

IMG_20220506_192728.jpg

IMG_20220506_192718.jpg

Link

IMG_20220506_192706.jpg

Link

আমার এলাকায় চলে এসেছি।

IMG_20220506_192650.jpg

এইভাবেই আমার শেকড়ে পৌঁছে গেলাম। এই ছিল আমার আজকের ব্লগ। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার ব্লগটি দেখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।

ধন্যবাদ

@tania

Photography@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

Sort:  
 2 years ago (edited)

আসলে নিয়মটাই এরকম যে বিয়ের পর মেয়েদের কে স্বামীর বাড়ি যেতে হয়। কি আর করার আপু। খুব ভালো লাগলো আপনার শেকড়ের টানে বাড়িতে যাওয়ার মুহূর্তটি। আপনি খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।আপনার সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

এই নিয়মটি কে বানিয়েছে তাই দেখার দরকার ছিল। যাইহোক আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন আপু বাবার বাড়ির থেকে বড় শেকড় মনে হয় মেয়েদের আর কোথাও পাওয়া যায় না মেয়েদের জীবন আসলেই অন্যরকম। আপনি বাবার বাড়ি আসার পথে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছেন যে দেখতে অপূর্ব লাগছে। বিশেষ করে কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলো ফুলে ভরে আছে দেখতে অসাধারণ হয়েছে। ভাল লাগল আপনার পোষ্টটি পড়ে।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আসলেই কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো খুবই চমৎকার ছিল।

 2 years ago 

এইটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপু।মেয়েদের বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা উঠলেই তাদের মধ্যে একটা আলাদা অনুভুতি কাজ করে আর সেটা আমি আমার মায়ের মাঝে দেখি।আম্মু যখন নানুর বাসায় যাওয়ার প্ল্যান করে প্রায় তিন চারদিন থেকে বাসার সবাইকে জানিয়ে রাখে😆।যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল।🖤

 2 years ago 

এই বিষয়টি আপনারা ছেলেরা বুঝতে পারবেন না। যাই হোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দুলাভাই ওমরা হজ পালন করতে যাওয়ায় সেই সুযোগে বাবার বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলে শেয়ার করেছেন বিশেষ করে কৃষ্ণচূড়া ফুল আর নীল আকাশের ছবি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সময় নিয়ে আমার পোস্ট টি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

আপনি একদম ঠিক বলেছেন বাবার বাড়ি মতো মেয়েরা কোথাও শেখর গড়তে পারেনা। মেয়েদের স্থায়ী কোনো শেখর নেই। বিয়ের আগে বাবার বাড়ি বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি আবার স্বামী যদি কোথাও কর্মক্ষেত্রে থাকে আবার সেখানে থাকতে হবে সত্যি বিষয়গুলো কতটা জটিল। আপনি সুন্দরভাবে তা আমাদের মাঝে বুঝিয়ে দিলেন। যাইহোক আপনার স্বামী ওমরা হজে যাওয়ার ফলে আপনি বাবার বাসায় যেতে পারলেন এবং যাওয়ার সেই অনুভূতি গুলো ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

যত জায়গায় শেকড় গজাক না কেন নিজের বাবার বাড়ির মত শেকড় সে কি আদৌ কোথাও গড়তে পারে । বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা হলে মেয়েদের চোখে মুখে অন্য রকম একটা আনন্দ কাজ করে

একদম ঠিক বলেছেন আপু। মেয়েদের বিয়ের আগে থাকা লাগে নিজ বাড়িতে আর বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি বা হাসবেন্ড যেখানে জব করে সেখানে। তবে মেইন শিকড় কিন্তু নিজ বাড়িতেই। যাওয়ার পথে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখতে সুন্দর লাগছে। তবে আপু আপনার নিজ বাবার বাড়ি কোথায় অবস্থিত?

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমার বাবার বাড়ি কোথায় জানার জন্য আমার পরবর্তী পোস্টগুলো দেখতে হবে আপনাকে।

 2 years ago 

ঢাকা থেকে ফেরার পথে আমার কাছে সব সময়ই খুবই বিরক্তিকর লাগে। তবে মানিকগঞ্জ পার হলেই ভালো লাগা শুরু। আশেপাশের পরিবেশ তখন বেশ খানিকটা খোলামেলা হাওয়ায় অনেক ভালো লাগে। ছবিগুলো চমৎকার ছিল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাড়ি ফেরার মজাই আলাদা।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ফেরি পার হওয়ার পর থেকে আনন্দ আরও বেশি শুরু হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

নিজের বাড়িতে ঈদ করার আনন্দটাই আলাদা। ভাইয়া হজ পালন করতে যাওয়ায় আপনি আপনার নিজের বাড়িতে আসার সুযোগ পেয়েছেন এটা অনেক চমৎকার একটি বিষয় ।বাড়িতে আসার পথে আপনি দারুন সব ফটোগ্রাফি তুলে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যেগুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে আপু এই নিয়মটা আসলে আমাদের সমাজে রয়েই গেছে যে বিয়ের পরে মেয়েদেরকে স্বামীর বাড়ি যেতে হয়। কিছুই করার নেই। এখানে তবে আপনার এই শেকড়ের টানে বাড়ি ফেরার মুহূর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66937.04
ETH 3270.78
USDT 1.00
SBD 2.74