ছোট ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করলাম।
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ ছোট ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করালাম। ওকে স্কুলে ভর্তি করালাম বললে ভুল হবে। আমার নতুন করে আবার স্কুলে যাওয়া শুরু হলো আর কি। বড় জনকে যখন স্কুলে দিয়েছিলাম তখন রাজশাহী ছিলাম। বাসার পাশে স্কুল ছিল জন্য ওকে নিয়ে যেয়ে স্কুলে বসে থাকতে হতো না। তাছাড়া ও ক্লাসে কখনো বিরক্ত করেনি। প্রথম দিন থেকেই একা ক্লাসে বসেছে। ছোট ছেলেও আশা করি ক্লাসে গিয়ে একাই বসবে। কিন্তু এই স্কুল অনেক দূর হওয়ার কারণে আমাকে প্রতিদিন ওর সাথে যেতে হবে। বড় ছেলের স্কুলেই ভর্তি করালাম। দুইজন একই স্কুলে থাকলে সুবিধা হয়। দুইজন দুই স্কুলে থাকলে সমস্যা হয়। এটি পূর্বাচলের জলসিড়ি আবাসনের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ। স্কুলটি আর্মিদের তত্ত্বাবধানে হওয়ার কারণে খুবই ডিসিপ্লিন মেইনন্টেন করে। তাছাড়া সামনে বিশাল বড় একটি খেলার মাঠ রয়েছে। ঢাকার স্কুলে সাধারণত এত বড় খেলার মাঠ দেখা যায় না। স্কুলের পরিবেশ দেখেই বড় ছেলেকে ভর্তি করেছিলাম। তাই আর চিন্তা না করে ছোট ছেলেকেউ এখানেই ভর্তি করিয়ে ফেললাম। জানি না জানুয়ারি মাস থেকে আমার কি হবে।সকাল বেলায় ঘুম থেকে কিভাবে উঠবো সেই চিন্তায় অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
গত শুক্রবারে ছেলের এডমিশন টেস্ট ছিল। ছোট বাচ্চাদের তেমন কিছুই জিজ্ঞাসা করে না। শুধু প্রিন্সিপাল বাচ্চার সঙ্গে কথা বলে দেখে। তারপরও যাওয়ার পর দেখলাম যে অনেক স্টুডেন্ট এসেছে ভর্তির জন্য। প্রিন্সিপাল নিজেই প্রতিটি স্টুডেন্ট এর ভাইভা নেন। এ বিষয়টি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। ছোট ছেলেকে কয়েকটি কালার জিজ্ঞাসা করেছে। সবগুলোই পেরেছে। তাছাড়া এক্সাম শেষে বাচ্চাদেরকে একটি করে বেলুন এবং চকলেট দিয়েছে। বাচ্চারা এগুলো পেয়ে খুবই খুশি। দুইদিন পর অনলাইনে রেজাল্ট দিয়ে দিয়েছে। ছেলে চান্স পেয়েছে। তাই গতকাল গিয়েছিলাম ভর্তি করার জন্য।
এক্সাম শেষে প্লে গ্রুপের ক্লাসটি একটু ঘুরে দেখে আসলাম। এই ক্লাসে এখন থেকে ক্লাস করতে হবে। ক্লাসটির ডেকোরেশন আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ছোট ছোট কালারফুল চেয়ার-টেবিল দিয়ে সাজানো। তাছাড়া দেয়ালে বিভিন্ন ফুল আঁকা।
এত ছোট বাচ্চার ভর্তি করাতে ৫১ হাজার টাকা লেগেছে। তাছাড়া স্কুলে দুই সেট ড্রেস বানাতে লেগেছে ৩৬০০ টাকা। স্কুলের বেতন ৩৫০০ টাকা এবং বাস ভাড়া ৩০০০ টাকা। তাছাড়া বই খাতা এখনো দেয়নি। সেগুলো পরে কিনতে হবে। কি আর করার একটু ভালো স্কুলে দিতে হলে খরচ তো করতেই হবে। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
হ্যাঁ আপু সেনাবাহিনীর আন্ডারে যেসব স্কুল-কলেজ গুলো আছে সেখানে নিয়মকানুন একটু কড়া ভাবে মানতে হয়। আর এডমিশনের যে বিষয়টি বেশি ভালো লাগলো সেটা হচ্ছে প্রিন্সিপাল নিজের ভাইবা নিয়েছে। যাইহোক ছোট বাবার জন্য শুভকামনা রইল।
বড় ছেলেকে ভর্তি করার সময়ও দেখেছি প্রিন্সিপাল নিজেই সব বাচ্চাদের ভাইবা নিচ্ছে। বিষয়টি ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিতো রীতিমতো অনেক হতাশ ও অবাক ছোট বাচ্চাকে ভর্তি করতে এখনো হাজার টাকা লেগেছে 😥😥।তাহলে একটা মধ্যবিত্ত মানুষের মাসে ইনকাম ২০ টা হাজার টাকা। তারা কিভাবে কি করবে? প্রথমে অভিনন্দন জানাই ছোট ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য। আর্মিদের তত্ত্বাবধানে হয় খুব ডিসিপ্লিন মেইনন্টেন করে এবং এই ধরনের স্কুল গুলি আমার ভীষণ পছন্দ। খুব ভালো করেছেন স্কুলের পরিবেশগত দিকগুলো ভালো থাকলেই কিন্তু ছেলে মেয়েরা অনেক সুন্দর ভাবে বেড়ে ওঠে। দুই ছেলেকে একই স্কুলে ভর্তি করেছেন সুবিধা হল আপনার। একসাথে ওরা দুজন যাওয়া আসা করতে পারবে আর একটু বড় হলেই। আপনার ছেলেটি তো দারুন। অনেক ভালো লাগলো আমার। খুবই ভালো লাগলো এই নিয়মটা দেখে। প্রিন্সিপাল প্রতিটা ছেলের ভাইভা নেন। কিন্তু তারা তো ছোট মানুষ একটু ভয় ভয় লাগবে। বাচ্চাদের খুশি করতে কিন্তু এগুলোই প্রয়োজন। অনেক সুন্দর বেলুন ও চকলেট দিয়েছে সবাইকে। আমার কাছেও ক্লাসটির ডেকোরেশন ভীষণ ভালো লেগেছে। ছেলে মেয়েরা কিন্তু এগুলো বেশি পছন্দ করে। একটু সৌন্দর্য ডেকোরেশন। জি আপু ভালো স্কুলে দিলে খরচ হবে। যাইহোক সে যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারে। খুব সুন্দর শিক্ষা নিয়ে অনেক বড় হতে পারে। এই কামনাই করি।
বর্তমান সময়ে সব কিছুরই দাম বেশি। বিশেষ করে ভালো স্কুলে পড়াতে গেলে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
ছোট ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করালেন।স্কুলের মাঠ তো বেশ বড়।দুই ছেলে এক স্কুলে হওয়াতে তবে ভালো ই হলো।ক্লাসটিও খুব সুন্দর সাজানো।বাচ্চাদের ভালো কোন স্কুলে ভর্তি হতে হলে একটু খরচ আসলে করতেই হয়।কি আর করার। আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা রইলো। আশাকরি বড় ছেলের মতো সেও কোন বিরক্ত করবে না।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ভালো কোন স্কুলে দিতে গেলে খরচটা একটু বেশি হয়। কিছু কিছু স্কুলের খরচ এর থেকেও বেশি। তাওতো এই স্কুলে খরচ মোটামুটি একটু কমই আছে।
স্কুলের পরিবেশটা আসলেই খুব সুন্দর। ক্লাস টাও খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা। ভাইভা এক্সাম দেওয়ার পর গিফটও দিলো স্কুল থেকে। নিয়মটা বেশ ভালো লেগেছে। স্কুলটি আর্মিদের তত্ত্বাবধানে হওয়াতে খুব ভালো হয়েছে। বাচ্চারা একদম শুরু থেকেই ডিসিপ্লিন শিখবে। আপনার ছোট ছেলের জন্য শুভ কামনা রইল।
এক্সাম দেয়ার পর গিফট দেওয়ার আইডিয়াটি আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। বাচ্চারা খুব খুশি হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
দুই ছেলেকে একই স্কুলে দিয়ে খুব ভালো করেছেন আপু। স্কুলের পরিবেশটা আসলেই ভালো। স্কুলে আবার অনেক বড় মাঠও আছে দেখছি। বাচ্চাদের ভালো স্কুলে পড়াতে গেলে তো খরচটাও বেশি করতেই হবে। কি আর করার। যাইহোক,আপনার বড় ছেলে এবং ছোট ছেলে দুজনের জন্যই অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা ❤️❤️
স্কুলের পরিবেশ টা ভালো জন্যই বড় ছেলেকে দিয়েছিলাম। তাই কোন কিছু চিন্তা না করে ছোট ছেলেকেও ভর্তি করিয়ে দিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাবুটা দেখছি নতুন স্কুলে গিয়ে খুব আনন্দে আছে।আর্মিদের তত্ত্বাবধানে স্কুল তাই ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করে এটা আসলে একটি বাচ্চা কে গড়ে তোলার জন্য জরুরি। স্কুলের পরিবেশ ও খেলার মাঠ তো দেখছি বিশাল। ঠিক বলেছেন আপু ভালো স্কুলে ভর্তি এবং ভালো পরিবেশ বাচ্চাদের দিতে হলে তো টাকা খরচ হবেই।শুভ কামনা রইলো বাবুর জন্য। সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বড় ভাইকে স্কুলে যেতে দেখেই স্কুলে যেতে চাইতো। এখন নিজে ভর্তি হতে পেরে আরো বেশি খুশি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ভালো স্কুলে বাচ্চাদের পড়াতে গেলে অনেক খরচ হওয়াটাই স্বাভাবিক আপু। আগে বাচ্চারা যখন বড় হয়ে উপরের ক্লাসে যেত তখন তাদের পড়াশোনার খরচ বেশি হত কিন্তু এখন ব্যাপারটা উল্টে গেছে। ছোট বাচ্চাদেরই পড়াশোনার খরচ অনেক বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। আপনি আপনার ছোট ছেলেকে যে স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে গেছিলেন সেই স্কুলের প্রিন্সিপাল নিচেই স্টুডেন্ট এর ভাইবা নিয়েছে বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো । আপু প্লে গ্রুপের ক্লাসটির ডেকোরেশন আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে। এছাড়া এই স্কুলটির বাইরের ক্যাম্পাসও খুব ভালো মনে হচ্ছে ফটোগ্রাফি দেখে। যাই হোক , আপনার ছোট ছেলের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন ছোট ক্লাসেই পড়ালেখার খরচ বেশি। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আসলে শহর অঞ্চলে এটাই এক সমস্যা যে বাচ্চারা যদি দুজন দুই স্কুলে পড়ে তাহলে মা-বাবার অনেক বেশি সমস্যা হয় বিশেষ করে মায়ের। জানুয়ারি থেকে তো দেখছি আপনার অবস্থা খুব একটা ভালো থাকবে না কারণ বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হবে আবার নিয়ে আসতে হবে। সকল বাবা-মাই চায় জেতার সন্তান ভালো একটা স্কুলে পড়ুক আপনিও সেটাই চেয়েছেন যার কারণে ভালো একটা স্কুলে তাকে ভর্তি করিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আর্মিদের ডিসিপ্লিনটা অনেক বেশি যার কারণে অনেক রুলস রেগুলেশন মেনে চলতে হবে। যাইহোক অবশেষে তাকে ভর্তি করিয়েছেন এবং ভর্তির আগে ভাইবা নিয়েছিল, ভাইবা তো সে ভালো করেছে জেনে খুশি হলাম। শুভকামনা রইল আপনার বাচ্চার জন্য।
দুই বাচ্চাকে দুই স্কুলে দিলে আমার জন্য খুবই কষ্ট হয়ে যেত। এজন্য একই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাহ! ছাত্র বাছাই করার সিস্টেম টা দারুণ লাগলো আমার কাছে। বাংলাদেশ আর্মি যেহেতু মেইনটেইন করে স্কুলটাকে তাহলে একটু শৃঙ্খলা থাকবেই। আর যেটা ছোট থেকেই শেখা দরকার। টাকা বেশি খরচ হলেও সমস্যা নেই ছেলে মানুষের মতো মানুষ হতে পারলে মা বাবার শান্তি 🍀
আর্মিদের স্কুল জন্যই ছেলেদেরকে এখানে ভর্তি করিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।