(লাইফস্টাইল) মাঝরাতে সিক্রেট রেসিপিতে ডেজার্ট খাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে বাবা দিবস ছিল। আসলে আমার মনে হয় যে বাবাদের জন্য আলাদা কোন দিবস হয় না। প্রতিটি দিনই বাবা দিবস। বাবারা প্রতিটি সন্তানের জন্য যে কষ্ট, পরিশ্রম করে বেশিরভাগ সন্তানই দেখা যায় সেই পরিশ্রমের দাম দেয় না বড় হওয়ার পর। আমাদের সকলের উচিত বাবার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা বজায় রাখা। বাবা দিবস উপলক্ষে আমার ছেলে তার বাবার জন্য একটি কার্ড তৈরি করেছিলো। সেখানে বাবার সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছে। বাবা অফিস থেকে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে দিয়েছে। রাত দশটার সময় অফিস থেকে এসে ছেলের এই কার্ড পেয়ে বাবা খুবই খুশি হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে বলল যে চলো বাইরে থেকে আইসক্রিম খাইয়ে নিয়ে আসি। প্রথমে আমি যেতে চেয়েছিলাম না বাচ্চাদের জোড়াজোড়িতে পরে যেতে হল।
রাস্তায় নামার পর আমার হাসবেন্ড বলল যে চলো তোমাদের নতুন একটা জিনিস খাইয়ে নিয়ে আসি সিক্রেট রেসিপি রেস্টুরেন্ট থেকে। আমি বেশ কিছুদিন ধরে ডায়েট করছি। রাতের খাবার সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ টার মধ্যে খেয়ে ফেলি। এত রাতে তো খাবার খাই না তার ওপরে মিষ্টি জাতীয় খাবার। তাই বললাম যে আমি খাব না তোমরা খাও। রেস্টুরেন্টে ঢোকার পরে বেশ গোছানো সুন্দর লাগলো। তারপরে তারা মেনু কার্ড দিল। আমাদের খাবার তো আগে থেকেই ঠিক করা। এজন্য আর অন্য কোন খাবার দেখিনি। খাবারটির ছবি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তাছাড়া নামটিও কেমন আনকমন। shinjuku with icecream. আমি খাব না জন্য ছোট একটা অর্ডার দিতে বললাম । কিন্তু আমার হাসবেন্ড বললো যে না বড় টাই নেই, খেলে ভালো লাগবে। খাবার সামনে দেখার পর মনে হল যে ডায়েট দূরে থাক। এত লোভনীয় খাবার না খেলে মিস হয়ে যাবে।
এই সেই ডেজার্ট এর মেন্যু। বড় এক প্লেটের দাম ৫২০ টাকা। আমরা বড়টাই অর্ডার দিয়েছিলাম। খেতে যে এত মজা আমি কল্পনাও করিনি। অবশ্য দেখে মনে হচ্ছিল যে খেতে ভালো হবে। ভিতরে কেক এবং উপরে আইসক্রিম দিয়ে ডেকোরেট করা। কেক এবং আইসক্রিম মিলিয়ে খেতে অন্যরকম ভালো লাগছিল।
রাতের বেলায় গিয়েছিলাম জন্য রেস্টুরেন্টটি বেশ ফাঁকাই ছিল। খাবার অর্ডার দিয়ে এই ফাঁকে আমি রেস্টুরেন্টের কয়েকটি ছবি তুললাম। রেস্টুরেন্টের ছাদে ইংলিশে কি কি যেন লেখা। ডেকোরেশন সিস্টেমটা খুব ভালো লাগছিল দেখতে।
অবশেষে খাবার খেয়ে ডায়েটের বারোটা বাজিয়ে বাসায় ফিরলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম যে হেঁটে বাসায় ফিরব। তাহলে কিছুটা হলেও কাজে দিবে। কিন্তু খাওয়ার পর কিছুদূর হেঁটে আর ভালো লাগছিল না। পরে আবার রিক্সায় উঠে বাসায় আসলাম।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
| Photographer | @tania |
|---|---|
| Phone | i phone11 |
| Location | Link |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness 
OR SET @rme as your proxy
বাবা দিবসে বাবাকে ছেলে কার্ড দিয়েছে, আর তাতে বাবাকে নিয়ে অনেক কিছু লেখা বাবা তো খুশী হবেই।আর সেই খুশীতে আপনাদের নিয়ে এতো রাত হলেও দারুন মজার ডেজার্ট খাওয়াতে নিয়ে গেলো।মাঝে মাঝে দারুন কিছু খাবার খেয়ে ডায়েটের ১২ টা বাজলেও মনে শান্তি পাওয়া যায়। অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বাবার খুশিতে গিয়ে এই ডেজার্ট খেয়ে আমার হাফ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল। পরে আবার কষ্ট করে কন্ট্রোলে এনেছি। যাইহোক আপু ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই বাবাদের জন্য কোন দিবস লাগে না, কারন বাবা এমন একজন মানুষ যিনি প্রতিদিন ভালোবাসায় আগলে রাখেন।
প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো আপনি সিক্রেট কোন রেসিপি দিয়ে খাবার প্রস্তুত করেছেন। পরে বুঝলাম এটা একটা রেস্টুরেন্টের নাম। যাই হোক আপনার ডায়েটের বারোটা বাজিয়ে খাবারটা ভালোই উপভোগ করেছেন বুঝতে পারলাম।
আমিও প্রথমে রেস্টুরেন্টের নাম শুনে একটু অবাক হয়েছিলাম। যাইহোক খাবারটা আসলেই বেশ মজাদার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।