রংপুর ক্যান্টনমেন্টে ঘোরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

ঈদ মুবারক

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।



প্রথমে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে শুরু করছি। যেহেতু রাত বারোটা বেজে গিয়েছে এবং ঈদের শুরু হয়ে গিয়েছে। ঈদের দিন সকাল থেকে সময় পাওয়া যাবে না বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে। তাই ভাবলাম যে আজকের পোস্ট এই রাতেই করে রাখি।
আপনারা তো জানেন যে আমি রংপুর এসেছি আমার শ্বশুর বাড়িতে ঈদ করার জন্য। আমার শ্বশুর বাড়ি রংপুর শহর থেকে একটু সাইডে। তাই গতকাল রংপুর শহরে গিয়েছিলাম মামা শ্বশুরের বাসায় বেড়াতে। মামার শশুরের বাসা রংপুর ক্যান্টনমেন্টের ভিতর। মামা আর্মিতে চাকরি করে। ক্যান্টনমেন্ট এর ভেতরের পরিবেশটা এত সুন্দর যে দেখতে খুব ভালো লাগে। যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তেমন সবুজে ঘেরা। আমি যখন রংপুরে থাকতাম তখন প্রায় যেতাম মামার বাসায়। বেশ কয়েক বছর মামার বাসায় যাওয়া হয় না। কারণ বাড়িতে অল্প সময়ের জন্য আসি তাই। এবার মামী অসুস্থ হওয়ার কারণে মামীকে দেখার জন্য গিয়েছিলাম। আজকে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরের কিছু ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। ছবিগুলো বেশি ভালো হয়নি কারণ আমি গাড়িতে বসে ছবিগুলো তুলেছি। তাছাড়া ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ।



FrameArt_20227902740428.jpg


শুক্রবার হওয়ার কারণে আমরা চেয়েছিলাম যে নামাজের আগেই মামার বাসায় পৌঁছানোর জন্য। সেজন্য সাড়ে এগারোটার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে। অর্ধেকের বেশি রাস্তা পার হয়ে যাওয়ার পর আমার হাজবেন্ডের হঠাৎ করে মনে হল যে সে গাড়ির কাগজ বাড়িতে রেখে এসেছে। যেহেতু ঈদের আগে তাছাড়া গাড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভিতর ঢুকবে কাগজ ছাড়া যাওয়া ঠিক হবে না। তাই আমরা আবারো গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম। আর বাড়িতে একজনকে বলে দিলাম যে মোটরসাইকেল নিয়ে কাগজটি আরো এগিয়ে দেওয়ার জন্য । সব মিলিয়ে আমাদের দুইবার করে রংপুরে যাওয়া আসা হয়ে গেল এবং পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় দুটা বেজে গেল।


IMG_20220709_001135.jpg



IMG_20220709_001011.jpg


নিচের ছবি দুটি ক্যান্টনমেন্টের ভিতর ঢোকার প্রধান রাস্তা। আর উপরের ছবি দুটি রাস্তার সাইড দিয়ে বিভিন্ন গাছের ছবি।


IMG_20220708_235458.jpg



IMG_20220708_235512.jpg



IMG_20220708_235553.jpg



IMG_20220708_235611.jpg


রাস্তার সাইড দিয়ে খুব সুন্দর কিছু ফুলের গাছ লাগানো এবং গাছগুলো সাইজ করে কাটা এত ভালো লাগে দেখতে। সাইডে এমন একটি পুকুর রয়েছে সিঁড়ি বাঁধানো। দেখেই মনে হচ্ছিল যে গিয়ে একটু লাফিয়ে আসি যে গরম পরেছিল।


IMG_20220709_000941.jpg



IMG_20220708_235625.jpg



IMG_20220708_235657.jpg


এটি মামার বাসার সামনের বিশাল মাঠ। আজকালকার যুগে বাসার সামনে এত বড় মাঠ পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। তাছাড়া বাসার পিছনে ছোট্ট একটি পার্ক রয়েছে। পার্কের ছবিটির আমি বাসায় জানালায় দাঁড়িয়ে তুলেছি। বাচ্চারা খুবই মজা করেছে এই পার্কে। এগুলো দেখার পর মনে হল যে আমাদের বাচ্চারা আসলেই অনেক বঞ্চিত ঢাকায় থেকে। তাদেরকে একেবারে বন্ধি জীবন কাটাতে হয়।


IMG_20220708_235713.jpg



IMG_20220708_235746.jpg


আমরা মামার বাসা থেকে ফেরার সময়ের ছবি এটি। ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল ।


এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।

ধন্যবাদ

@tania

Photography@tania
Phoneoppo reno5
LocationLink
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

Sort:  
 2 years ago 

রংপুর ক্যান্টনমেন্ট খুবই সুন্দর, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় ক্যান্টনমেন্টে আপনি ভ্রমণ করেছেন এবং সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। ক্যান্টনমেন্টে আমিও ভ্রমণ করেছিলাম।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন ভাইয়ার রংপুর ক্যান্টনমেন্ট আসলেই অপরূপ ভাবে সাজানো সবুজ গাছপালা দিয়ে। খুব ভালো লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

রংপুর ক্যান্টনমেন্ট চারিপাশে সবুজে মোড়ানো ফটোগ্রাফি গুলা দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে দৃশ্যগুলা আপনার ক্যামেরাবন্দি করার স্টাইলটা ছিল অন্যরকম এজন্যই ছবিগুলো দেখতে বেশি ভালো লাগছে সেই সাথে সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য

 2 years ago 

আমি তো গাড়িতে বসে অনেক কষ্টে ছবিগুলো তুলেছি। নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারলে আরো সুন্দর হতো। যাই হোক আপনার ভালো লেগেছে সে জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ক‍্যান্টেনমেন এলাকা টা সবচেয়ে সুন্দর এবং নিরাপওা বিশিষ্ট জায়গা। আমি একবার রাজশাহী ক‍্যান্টনমেন্টে গিয়েছিলাম ভেতর টা দারুণ সুন্দর ছিল। আপনি মামার বাসায় গিয়ে ক‍্যান্টনমেন্ট এর ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ করেছেন। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরের পরিবেশ দেখলে মনে হয় যে সারা বাংলাদেশ যদি এমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতো তাহলে দেখতে কি চমৎকার লাগতো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

রংপুর ক্যান্টনমেন্টে ঘোরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। আপনার শশুর বাড়ী রংপুরে বাহ দারুন। অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ঈদ মোবারক আপু।

রংপুর ক্যান্টনমেন্ট বাইরে থেকে দেখেছি ভেতরে যাওয়া হয়নি কখনো। আপনার ছবিগুলো থেকে ভেতরের পরিবেশটার কিছুটা হলেও আইডিয়া হলো। ক্যান্টনমেন্ট এরিয়া গুলো সব সময় অনেক নিরিবিলি এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়। যে যাবে সেই মুগ্ধ হয়ে যাবে। বড় খেলার মাঠ বাড়ির সামনে থাকা সত্যিই এখন একটা ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার মামি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এই দোয়া করি। সকলে মিলে হাসি আনন্দে কাটুক এবারের ঈদ। ❤️

 2 years ago 

বাহির থেকে দেখেছেন আজকে ভেতর থেকে দেখতে পেলেন আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে আমাকে রাজশাহী সেনা নিবাসের সেই স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিলেন। আমিও অনেক ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করতাম কিন্তু সেনানিবাসের ফটোগ্রাফি করা নিষিদ্ধ। তাই শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতাম ভেতরের দৃশ্যগুলো। খুবই খুশি হলাম অতীত স্মৃতি স্মরণ করে দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

আমি তো গাড়ির মধ্যে বসে বসে লুকিয়ে ছবি তুলেছি । দাঁড়ালে নিশ্চয়ই ছবি তুলতে দিত না। যাই হোক আমার পোস্টের মাধ্যমে আপনার পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60950.68
ETH 2607.83
USDT 1.00
SBD 2.65