গরমে জীবন অতিষ্ঠ

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।


আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার নতুন হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এই বছর মনে হচ্ছে গরমের প্রকোপটা খুবই বেশি। কিছুদিন আগে প্রচন্ড রকম গরম পরেছিল তখন শোনা যাচ্ছিল যে ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য এই গরম। কিছুদিন অল্প স্বল্প বৃষ্টি হওয়ার পর কয়েকদিন ধরে আবারো সেরকম গরম শুরু হয়েছে। যেমন পরিমাণে গরম ঠিক তেমন পরিমাণ কারেন্ট ও যাচ্ছে। গরম এবং তাল মিলিয়ে কারেন্ট যাওয়ার কারণে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। যাদের বাসায় আইপিএস বা জেনারেটর নেই তাদের অবস্থা আরো বেশি খারাপ। গত বছর গরমে এরকম কষ্ট আমরা করেছি। তাই বুঝতে পারছি যে গরমের কষ্টটা কি রকম। আমাদের বাসায় জেনারেটরের লাইন থাকা সত্ত্বেও এত পরিমাণের কারেন্ট যাচ্ছিল জন্য ঠিকমতো জেনারেটর সাপোর্ট দিচ্ছিল না। সেজন্য একবার বাসা চেঞ্জ করার কথা চিন্তা করেছিলাম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাসা পছন্দ না হওয়াতে সিদ্ধান্ত নিলাম যে আইপিএস লাগিয়ে ফেলবো। বাসা চেঞ্জ করার যে খরচ সেই টাকার সঙ্গে আর কিছু টাকা যোগ করলে আইপিএস হয়ে যাবে। গরম শুরু হলে আইপিএস, এসি এগুলোর দাম অনেক বেড়ে যায়। তাই এবার গরম শুরু হওয়ার আগেই আইপিএস টা লাগিয়ে নিয়েছিলাম।


IMG_20230601_112023.jpg


আইপিএস থাকার কারণে কারেন্ট যাওয়ার সাথে তেমন একটা বোঝা যায় না। গতকাল হঠাৎ এক বিপত্তিতে পড়ে গিয়েছিলাম। দিনে তো দুই তিনবার কারেন্ট যায়। তারপরে এক দেড় ঘন্টার মধ্যে চলে আসে। কিন্তু গতকাল দুপুরবেলায় হঠাৎ করে কারেন্ট গিয়েছে। তিন ঘন্টা হয়ে যাওয়ার পরও কারেন্ট আসছে না দেখে আমার ছেলে অস্থির হয়ে গিয়েছে। কারণ সে টিভি দেখতে পারছিল না। তাই নিচের দারোয়ানকে ফোন দিলাম। দারোয়ান ফোন ধরে জানালো যে কারেন্ট চলে এসেছে। তাহলে আমার বাসায় কারেন্ট নেই কেন? সে পরে খোঁজ নিয়ে জানালো যে আমার বাসার মিটারের কার্ড শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার বাসায় মিটার কার্ড সিস্টেম। সব সময় আগে থেকেই টাকা রিচার্জ করে রাখা হয়। তা না হলে শেষের দিকে এসে সিগনাল দেয় দারোয়ান তখন জানিয়ে দেয়। এবার দারোয়ান কেন যেনো খেয়াল করেনি। কখন যেন মিটারের কার্ড শেষ হয়ে লাইন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভাগ্যিস আমি দারোয়ানকে ফোন দিয়ে খবর নিয়েছিলাম। তা না হলে তো আইপিএস এর চার্জ শেষ হয়ে যেত বুঝতেই পারতাম না যে এই অবস্থা। পরে হাজবেন্ডকে বলার সঙ্গে সঙ্গে রিচার্জ করে দেয় এবং আমার বাসায় কারেন্ট চলে আসে। আইপিএস থাকার জন্য এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলাম।
যাইহোক এই গরমে সবাই সাবধানে থাকবেন। কারণ গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা বাইরে কাজ করে তাদের অবস্থা তো খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 last year 

আসলে আপু গরমের কারণে জীবনটা একেবারেই অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। কারেন্ট তো বলতে গেলে একেবারেই থাকে না, কিছুক্ষণ থাকার পরে চলে যায়। আইপিএস থাকার কারণে আপনি এবারের মতো বেঁচে গিয়েছিলেন। আর ঘরে আইপিএস নিয়ে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গরমের জন্য, এটা আমি মনে করি। আমি তো শুধু ভাবি, যারা বাহিরে বিভিন্ন রকমের কাজ করে, তাদের কি অবস্থা এই গরমের কারণে। তাদের কথা ভাবলেই কিরকম একটা লাগে। যাইহোক ভালো লাগলো সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়ে। খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণটা লিখেছেন আপনি।

 last year 

ঢাকাতেও কারেন্ট যাচ্ছে অনেক কিন্তু দিনে ২-৩ বার।একঘন্টা করে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া আইপিএস এর কারণে এই গরমে বেঁচে গিয়েছি না হলে গতবার খুব কষ্ট হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

মাস খানেক হলো আমিও আইপিএস টা লাগিয়ে নিয়েছি। কিন্তু আপু তাতেও শান্তি নেই। যা গরম , ফ্যানের বাতাস পর্যন্ত গরম হয়ে যাচ্ছে। বিছানায় শুয়ে থাকা টাই কষ্টকর হয়ে যায়। আমি মেঝেতে ঘুমোই মাঝে মধ্যে। তবে সারা দেশে যে ভাবে লোড শেডিং শুরু হয়েছে তাতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। ভালো যে দারোয়ান কে ফোন করেছিলেন , না হলে তো চার্জ ফুরিয়ে যেত, পরে বাচ্চাদের মারাত্মক কষ্ট হতো। বলা যায় এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন।

 last year 

ভালো করেছেন ভাইয়া আইপিএস লাগিয়ে। তা নাহলে কারেন্টের যে অবস্থা থাকেই তো না। গরমে খুব কষ্ট হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপনাদের ভাগ্য ভালো আপনাদের বাসায় আইপিএস আছে। তবে যাদের বাসা আইপিএস নাই তাদের মরণ দশা হয়ে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামে অনেক গরম পড়তেছে। তবে ঠিক বলেছেন বাসা চেঞ্জ করতে অনেক কষ্ট। জাক মিটারের কার্ড শেষ হওয়ার কারণে হয়তো আপনি বুঝতে পারেন নাই। আপনার হাসবেন্ড জলদি কার্ড রিচার্জ করার কারণে গরম থেকে বাঁচতে পারলেন। আর ঠিক বলেছেন সবাই গরম থেকে একটু সাবধানে থাকা দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু এই গরমে কারেন্টের যে অবস্থা আইপিএস জেনারেটর কিছু না থাকলে জীবন একেবারে শেষ। ফ্যানের নিচেই গরমে বসা যায় না আর ফ্যান ছাড়াতো কল্পনাই করা যায় না।

 last year 

এখন চারদিকে অনেক গরম পড়তেছে। এই কারণে মানুষের জীবন অনেক অতিষ্ঠ হয়ে পড়তেছে। তবে আগে আপনি আইপিএস নিয়ে নিয়েছেন এই কারণে অনেক সুবিধা হয়েছে। এবং আইপিএস গুলো গরমের সিজনে দাম অনেক বেশি। কিছুদিন আগে আমার ছোট বোনের বাসায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা চেঞ্জ করেছে। আমি নিজে ছিলাম অনেক কষ্ট হয় বাসা চেঞ্জ করতে। যাক বাসা চেঞ্জ না করে আইপিএস নিয়ে এসে ভালো করলেন। তবে আমাদের এদিকে ও কারেন্টের মিটার গুলোর মধ্যে কার্ডের ব্যবস্থা। এগুলো খেয়াল রাখা ভালো অনেক সময় টাকা শেষ হয়ে গেলে কারণ থাকে না যেমন আপনাদের বেলায় হলো। যাক আপনার হাজব্যান্ড তাড়াতাড়ি কারেন্টের কার্ডের ব্যবস্থা করল।

 last year 

গরমের সিজনে আইপিএস গুলোর দাম বেড়ে যায় জন্য গরম আসার আগেই নিয়ে নিয়েছিলাম এর জন্য কিছুটা কমে পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্য জন্য।

 last year 

আসলে এই গরমে আইপিএস খুবই কাজের একটা জিনিস। আগামী দিনগুলোতে আরো বেশি কাজে দেবে। ভাগ্যিস আপনি দারোয়ানকে ফোন করেছিলেন না হলে হয়তো আরো অনেকক্ষণ কারেন্ট ছাড়া থাকতে হতো যা গরম পড়েছে। বাচ্চাদের জন্য খুবই কষ্টকর। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আমার বড় ছেলে বলার কারণে দারোয়ানকে ফোন দিয়েছি তা না হলে তো বুঝতেই পারতাম না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 89142.81
ETH 3374.76
USDT 1.00
SBD 3.04