আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে অন্যরকম একটি বিষয় শেয়ার করব। সেটি হল স্লিপিং কোচ বাস এর অভিজ্ঞতা। পূজার ছুটিতে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ। রবিবার সরকারি ছুটি সেজন্য ভাবলাম যে এই ছুটিতে রংপুর থেকে ঘুরে আসি। সব সময় গাড়ি নিয়ে যাই। গাড়ি নিয়ে গেলে অনেক কষ্ট হয়। এজন্য প্রথমে ভেবেছিলাম যে আমরা ট্রেনে করে যাব। কিন্তু এখনকার যুগে ট্রেনের টিকিট পাওয়া আর সোনার হরিণ হাতে পাওয়া একই কথা। কারণ অনলাইনে তো টিকিট পাওয়াই যায় না। তারপর বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে খোঁজ করানোর পর একটি ডাবল কেবিন পেয়েছিলাম। অন্যের সঙ্গে কেবিন শেয়ার করতে ভালো লাগে না। এজন্য ট্রেনে গেলাম না। অনেক বছর হল এই রুটে বাসে যাতায়াত করি না। নতুন একটি বাস হয়েছে স্লিপিং কোচের। আমার খুব ইচ্ছা এই বাসে যাওয়ার। তাছাড়া বাচ্চারা আরামে ঘুমিয়ে যেতে পারবে।
আমাদের বাসের টাইম ছিল দশটায়। তাই আমরা আটটা পনেরোতে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। কল্যাণপুর আসতে আসতে ৯ঃ২০ বেজে গিয়েছে।বাসের জন্য কাউন্টারে অপেক্ষা করলাম। কাউন্টারের অবস্থা খুব একটা ভালো না। দেখেই হতাশ হলাম যে না জানি বাস কেমন হবে।
বাসে ওঠার পর কিছুটা ভালো লাগলো বাসের সিটগুলো দেখে। আমার বাচ্চারা তো খুবই খুশি। এক সাইডে দুটি সিট আর অন্য সাইডে একটি। আমরা মোট তিনটি সিট নিয়েছি। আমি আমার দুই বাচ্চা সহ ডাবল সিটে এবং আমার হাজবেন্ড সিঙ্গেল সিটে। বাসে ওঠার পরপরই আপনাকে একটি পলিথিন দিবে সেই পলিথিনের মধ্যে জুতা খুলে ঢুকতে হবে । তারপর ভেতরে এরকম আর্টিফিশিয়াল সবুজ ঘাসের মতো দেয়া।
প্রতিটি সিটের সামনে একটি টিভি আছে। আপনারা চাইলে পেন ড্রাইভের করে কিছু নিয়ে টিভিতে দেখতে পারেন। তাছাড়া প্রাইভেসির জন্য প্রতিটি সিটের পাশে থাই গ্লাস রয়েছে। মাথার কাছে ছোট একটা বালিশ, ভিতরে লাইট রয়েছে। হাজবেন্ডকে গুডনাইট বলে থাই গ্লাস লাগিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়েছি। গ্লাস বন্ধ করে দিয়ে মনে হচ্ছে যে নিজের রুমের মধ্যে শুয়ে আছি। শুয়ে শুয়ে এই পোস্টটি রেডি করলাম। আপনাদের সঙ্গে বাসে অভিজ্ঞতা শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না।
বাইরে ঝিরঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। ওয়েদারটা বেশ চমৎকার। দোয়া করবেন যেন সুস্থ মত পৌঁছাতে পারি। পুরো রাস্তার অভিজ্ঞতা কেমন হবে তা কালকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারব। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আহ কি শান্তি। এমন ওয়েদারে জার্নি করতে ভালোই লাগে।
হুম হুম।
আসলেই খুব মজা । আলহামদুলিল্লাহ বাস থেকে ভালোভাবে নেমেছি। এখন অটোতে করে বাড়ি যাচ্ছি।
প্রমান চাই। 😅
কিসের প্রমান? অটোতে ?
স্লিপিং কোচ এর আগে নামও শুনিনি দেখিও নাই। তবে এত সুন্দর সুব্যবস্থা রয়েছে এটা আসলে খুবই আশ্চর্যজন। বিস্তারিত জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুব্যবস্থা রয়েছে বাসের ভিতরে যা আপনার এবং বাচ্চাদের জন্য খুবই আরামদায়ক হবে। ঘুমোতে ঘুমোতে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল আমাদের মাঝে অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
হম্ম ভাইয়া বাচ্চারা আরাম করে ঘুমিয়েছিল। সাথে আমরাও। ধন্যবাদ ।
আপু দোয়া করি যেন সুস্থ ভাবে আপনি রংপুর পৌছাতে পারেন। আমার তো ইচ্ছে করছে এ স্লিপিং বাসে উঠে যেতে। টিকেট কত আপু এই বাসের?? বেশ ভালো সুন্দর এবং আরামদায়ক মনে হচ্ছে বাসটি। এসব ভ্রমণ করলে ভালই হবে। যাকে বলা হয় রাজকীয় জার্নি🤪
আপু একটা সিটের দাম ১৭০০ টাকা। আমরা তিনটা কেটেছি ৫১০০দিয়ে। আসলেই ভালো ছিল।
বাসের ভিতরটাতো বেশ চমৎকার। আপনার বাসে চড়া দেখে তো আমারই বাসে চড়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যেতে মন চাইছে। খুবই সুন্দর লেগেছে আমার কাছে সার্ভিসটা। যার যার মত করে শুয়ে থাকা যাবে একেবারে বাসার মতই তো মনে হচ্ছে আর বাসটাও খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে। বাচ্চারাও একটু শান্তি মতো ঘুমাতে পারবে। আপনি ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাসে করে যাওয়ার। ট্রেনে করে তো সব সময় যান ট্রেনের থেকে আমার মনে হচ্ছে এটাই ভালো হয়েছে। আর গাড়ি নিয়ে যাওয়াটা আমার কাছে অত দূরে ভালো লাগেনা একটু রিস্ক মনে হয়।
একটু অন্যরকম জার্নি হলো। বেশ ভালোই লেগেছে। বাচ্চারা আরামে ঘুমিয়েছে। গতবার একসিডেন্ট করার জন্য এইবার আর হারি নিয়ে আসিনি। ধন্যবাদ আপু।
আমি ট্রেন জার্নি করতে খুবই পছন্দ করি। একটি কথা ঠিকই বলেছেন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পাওয়া মানে সোনার হরিণ খুঁজে পাওয়া। বাচ্চাদের পুজোর ছুটিতে স্লিপিং কোর্স বাসে যাওয়ার অভিজ্ঞতার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
ট্রেন জার্নিই ভালো। কিন্তু কি আর করার টিকিট পাওয়া যায় না। তাই বাসে আসছি।
ভাতিজার সঙ্গে দেখা করে যেতে পারতেন। যাইহোক সুস্থভাবে গন্তব্যে পৌঁছান এই প্রত্যাশাই করি ।
বগুড়া যখন পার হয়েছি তখন মাঝ রাত। ভাতিজা ঘুমিয়েছিল। তাই আর ঘুম ভাঙ্গালাম না😛। বাস থেকে নেমেছি। এখন অটোতে বাড়িতে যাচ্ছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুণ বুদ্ধিমতী আপনি । যাইহোক ভালোমতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগল আপু । সময় সুযোগ হইলে বেড়াতে আসিয়েন ।
ইনশাআল্লাহ ভাইয়া কোন একদিন এসে হাজির হবো ভাতিজাকে দেখতে।
আপু আশা করছি এতোক্ষণে ভালো ভাবে পৌঁছাতে পারছেন। অনেক দিন এর ইচ্ছা এই স্লিপিং বাসে ভ্রমণ করবো। কিন্তু সময়ের অভাবে যাওয়া হচ্ছে না। আমাদের রুটে থাকলে হয়তবা ওঠা হয়তো। এই স্লিপিং বাস গুলো সার্ভিস অনেক ভালো এটা শুনেছি।লং ড্রাইভে এই ধরনের বাসে ভ্রমণ করলে নিজেকে ক্লান্ত অনুভব হবে না।
জি ভাইয়া বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছি আপনাদের দোয়ায়। ধন্যবাদ।
আমাদের দেশের ট্রেনের অবস্থাও খুব একটা ভাল না। তার উপর টিকেট কাটা নিয়ে ত বিড়ম্বনার শেষ নেই। আমি বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম ঢাকা থেকে কক্সবাজার স্লিপার কোচে করে। গ্রিন লাইনেও প্রায় এরকমই ছিল ভিতরের পরিবেশ। অনেক কম্ফরটেবল এবং কোন ঝাকুনি ই বোঝা যায় না। আপনার বাচ্চারা অনেক আনন্দ করেছে আপনার তোলা ছবিতে বুঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।
রাস্তা ভালো হলে খুবই আরাম। কিন্তু বগুড়ার এইদিকে রাস্তা খারাপ ছিলো। যাই হোক সব মিলিয়ে ভালোই ছিল।
আপু আপনি ছুটির দিনে রংপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কিন্তু এত চমৎকার বাসে করে গেলেন অনুভূতিটা না জানি কত চমৎকার ছিল। এই কাজগুলোর নাম শুনেছি কবে তবে এখনো ওঠা হয়নি। বাসে শুয়ে জানালা বন্ধ করে দেওয়ার পর আপনার মনে হচ্ছিল আপনি আপনার রুমে শুয়ে আছেন বুঝাই যাচ্ছে কতটা চমৎকার। ইস আমার ইচ্ছে করছে এক্ষুনি এরকম একটি বাসে চড়ে কোথাও চলে যাই।
আমিও এইবারই প্রথম উঠেছি এই বাসে। খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।