ছুটির দিনে পূর্বাচলে ঘুরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছুটির দিনে বাইরে কোথাও ঘুরতে না গেলে ভালো লাগেনা। কিন্তু বাইরে যে গরম চাইলেও কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না। ইচ্ছা ছিল বিকালের দিকে পূর্বাচলের দিকের নার্সারিতে যাব। ওদিকে বেশ কিছু নার্সারি রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের গাছ পাওয়া যায়। দাম ও তুলনামূলকভাবে এদিকের থেকে কম। যতই সুন্দর সুন্দর গাছ লাগানো হোক না কেন কিছুদিন পরে গাছগুলো কেন যেন মরে যায়। তখন আবার নতুন করে লাগাতে হয়। বেশিরভাগ গাছগুলোই প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই কিছু ইনডোর এবং আউটডোরের গাছ কেনার জন্য যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিকালের দিকে এত পরিমানে গরম পড়েছিল যে যাওয়ার আগ্রহই নষ্ট হয়ে গেলো। মাগরিবের পর গরমে রান্না ঘরে ঢুকতে ইচ্ছা করছিল না। বাচ্চারাও বাইরে যেতে চাচ্ছিলো। তাই ভাবলাম যে বিকালে নাস্তাটা বাইরে কোথাও থেকে করে আসি। যেহেতু পূর্বাচলের ওদিকে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তাই ওদিকেই গিয়েছিলাম। জয় বাংলা রেস্টুরেন্টে এর আগে সকালবেলায় নাস্তা করেছিলাম। খুব মজা ছিল খাবার গুলো। ওই দিকটা খুব বেশি ভিড়ও থাকে না। তাই ভাবলাম যে ওই দিকেই যাওয়া যাক।
পূর্বাচলে ঘুরতে যাওয়ার প্রধান আকর্ষণই হলো এই ৩০০ ফিট রাস্তাটা। এই রাস্তাটা দিনের বেলায় যত সুন্দর লাগে রাতের বেলায় তার থেকে আরও কয়েক গুণ বেশি সুন্দর লাগে দেখতে। চারপাশে এত সুন্দর লাইটিং থাকে যে এই রাস্তা দিয়ে যেতেই মন চায়। তাছাড়া ঢাকার অন্যান্য রাস্তার মতো খুব বেশি ভিড়ও থাকে না। অনেক গাড়ি থাকলেও রাস্তায় জ্যাম হয় না।
অবশেষে আমরা জয় বাংলা রেস্টুরেন্টে চলে এসেছি। এটি কোন আধুনিক রেস্টুরেন্ট এর মত না। নরমাল হোটেলের মতো। তারপরেও বেশ ভালোই লোকজনের আনাগোনা থাকে। বিশেষ করে সকালবেলায় ভিড় বেশি থাকে।
শুরুতেই মেন্যু শুনে নান রুটি, রুমালি রুটি, চিকেন চাপ, কাবাব নেহারি অর্ডার দিলাম। কিন্তু সবগুলোর ছবি তোলার কথা মনে ছিল না। চাপ এবং নান রুটি শুরুতে এসেছিল জন্য খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম। তাই পরের খাবারগুলো আসার পর আর ছবি তোলার কথা মনে ছিল না।
এই রেস্টুরেন্টের বাংলা খাবার গুলো বেশি মজা ছিল। এরকম চাইনিজ আইটেম গুলো খুব একটা ভালো ছিল না। মোটামুটি মানের ছিল। তাই মনে হল যে ভাত, ভর্তা, খিচুড়ি এগুলো খেতে আসা যাবে এখানে। এরকম চাইনিজ খাবার গুলো খাওয়ার জন্য আর আসা যাবেনা। এই টাইপের খাবার খাওয়ার জন্য অন্য রেস্টুরেন্টে যেতে হবে।
যাই হোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
প্রায় মাসখানেক আগে সেই পূর্বাচলের জায়গা গুলো ঘুরতে গিয়েছিলাম, বেশ চমৎকার করেছে। তবে গাছ লাগানোর জন্য নার্সারিতে গিয়েছেন জেনে অনেক ভালোই লাগলো আপু। এছাড়াও গাছের পরিপূর্ণ যত্ন করলে গাছ মরার কথা নয় যদিও আমি ও এরকম পরিস্তিতির স্বিকার হয়েছি। তবে আপনারা অনেক ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছেন।
আপু নার্সারিতে যায়নি, যেতে চেয়েছিলাম। গরমের জন্য আর যাওয়া হয়নি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার লেখনীর মাধ্যমে আপনি যেভাবে প্রতিটি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তা সত্যিই অনন্য। আপনার পোস্টের মাধ্যমে ঢাকার একটি সুন্দর দিক তুলে ধরা হয়েছে যা অনেকের কাছে অজানা। আপনার ছবি এবং বর্ণনা দুটোই অসাধারণ। আপনার আগামী পোস্টগুলোর জন্য শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
পূর্বাচল গিয়েছিলাম বেশ কয়েকমাস আগে। সত্যিই দারুন জায়গাটা , এটা যেন সত্যিই অনন্য সুন্দর একটি জায়গা । যদিও হাতে গুনা মাত্র ২ বারই গিয়েছিলাম কিন্তু জায়গাটা সত্যিই দারুন।
আমার বাসা এদিকে জন্য মাঝেমধ্যে যাওয়া হয়। আসলেই বেশ সুন্দর জায়গা। ভালোই লাগে যেতে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
পূর্বাচলের ঐদিকে আমিও একবার গিয়েছিলাম ।রাস্তাটা আসলেই ভীষণ সুন্দর দেখতে। বেশ ভালো লাগে রাতের বেলায় ঘুরে বেড়াতে।আপনারা ছুটির দিনে বেশ ভালোই সময় উপভোগ করেছেন আর খাবার গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। বেশ মজা করে খেয়েছেন মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।