আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি গ্লিটার আর্ট পেপার দিয়ে খুবই কিউট একটি মিনি হাই হিল তৈরি করেছি। এই হাই হিলটি তৈরি করতে আমার কাছে খুবই কষ্ট লেগেছে। কারণ অনেক ছোট ছিল যে জন্য হাতে ধরতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। গ্লিটার আর্ট পেপারের বিভিন্ন জিনিস বানাতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এজন্যই সব সময় চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু তৈরি করার। কিন্তু এই নতুন নতুন কিছু তৈরি করতে গিয়ে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যায় কি বানাবো চিন্তা করতে করতে। আর যখন খুঁজে পাই তখন সেটি বানাতে একটু কষ্ট হয়। কারণ ইউনিক কিছু বানাতে চেষ্টা করি। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আমার আজকের হাই হিল তৈরি।
গ্লিটার আর্ট পেপার
পেন্সিল
কম্পাস
কাঁচি
গ্লু গান
কাববোর্ড
প্রথমে একটি কাববোর্ডের উপরে এরকম ছোট ছোট তিনটি বৃত্ত এঁকে নিয়েছি। তারপর কলম দিয়ে দুই সাইডে এভাবে এঁকে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি।
এখন কাববোর্ডটিকে এভাবে ভাঁজ করে নিয়েছি।
এখন সাদা একটি কাগজের উপরে কাববোর্ডটি রেখে ওই মাপে কেটে নিয়ে কাববোর্ডটি উপরে লাগিয়ে দিয়েছে। আর এক পাশে গ্লিটার আর্ট পেপার লাগিয়ে দিয়েছি।
এখন আরো একটি গ্লিটার আর্ট পেপার এভাবে গোল করে কেটে কাববোর্ডটি এক সাইডে লাগিয়ে দিয়েছি।
আরেকটি গ্লিটার আর্ট পেপার নিচের ছবির মত কেটে উপরে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছে।
গ্লিটার আর্ট পেপার এরকম কেটে দুই পাশ আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি হাই হিলের হিল বানানোর জন্য।
হিলটি স্যান্ডেলের নীচে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি।
আকাশী কালারের আরেকটি গ্লিটার আর্ট পেপার চিকন করে কেটে নিয়ে স্যান্ডেলের চারপাশে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি।
আকাশী কালারের গ্লিটার আর্ট পেপার ছবির মত করে কেটে ছোট একটি ফুলের মত বানিয়ে নিয়েছি।
চিকন গোলাপি কালারের আরেকটি গ্লিটার আর্ট পেপার কেটে নিয়েছি।
এখন ফুল এবং ওই গ্লিটার আর্ট পেপারটি সেন্ডেলের উপর লাগিয়ে দিয়ে আমার হাই হিলটি বানানো শেষ করেছি।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের গ্লিটার আর্ট পেপারের হিল। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
| Photography | @tania |
|---|
| Phone | oppo reno5 |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
গ্লিটার আর্ট পেপার দিয়ে খুব চমৎকার ভাবে আপনি হাই হিল জুতা বানিয়েছেন। আসলে এটি অনেক ইউনিক এবং খুব চমৎকার ভাবে কার্য সম্পাদন টি ধাপে ধাপে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
এই হাই হিল বানাতে যতটা কষ্ট হয়েছে পোস্ট তৈরি করতে তার থেকে বেশি কষ্ট হয়েছে। কারণ এত ধাপ হয়েছিল যে কিভাবে করব বুঝতে পারছিলাম না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু আমি প্রথমে দেখে মনে করেছি পুরোনো জুতা নতুন করে তুলেছেন। এরপর টাইটেল ভালো করে পড়ে বোঝতে পারলাম এটি আপনি নিজে বানিয়েছেন। আপনার আইডিয়ার প্রশংসা করতে হয়। আপু গ্লিটার আর্ট পেপার দিয়ে এখনো কিছু বানানো হয়নি। আপনাদের এই ডাই প্রজেক্ট দেখলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার এই হাই হিল দেখে একদম বাস্তবের মনে হচ্ছে। আপনি খুব ইউনিক একটি ডাই প্রজেক্ট তৈরি করেছেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত ইউনিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত সময় এবং কষ্ট করে বানিয়েছি পছন্দ না হয়ে উপায় আছে। এত সময় নিয়ে কখনোই ডাইপ্রজেক্ট বানাইনি। আজকেই প্রথম বানালাম। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার পোস্ট গুলো সব সময়ই ইউনিক হয়।আপনি গ্লিটার পেপার দিয়ে খুব সুন্দর একটি মিনি হাই হিল তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে বুঝতে পেরেছি এই মিনি হাই-হিল তৈরি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে।আপনার এই ইউনিক পোস্ট দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি ইউনিক পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু সব সময় চেষ্টা করি ইউনিক কিছু তৈরি করার। যা দেখলে সবারই ভালো লাগে। সেই ইউনিক বানাতে গিয়ে মাঝে মধ্যে খুব বিপদে পড়ে যেতে হয় । সময় লেগে যায় এগুলো বানাতে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
এই সব ডাই প্রজেক্ট করতে কিন্তু প্রচুর সময়ের প্রয়োজন এবং প্রচুর পরিশ্রম লাগে। আমি আগে প্রচুর পরিমাণে ডাই প্রজেক্ট করেছিলাম। গ্লিটার আর্ট পেপার দিয়ে চমৎকার একটি হাই হিল তৈরী করেছেন। দেখেই তো চোখ সরাতে পারছি না। আপনার কাজের দক্ষতা এবং যেভাবে উপস্থাপন করেছেন সেই বিষয়গুলো অনেক ভালো লেগেছে।।
আপনার ডাইপ্রজেক্ট গুলো আমি হয়তো মিস করে গিয়েছি। ঠিকই বলেছেন আপু এগুলো বানাতে আসলেই অনেক সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গ্লিটার পেপার দিয়ে মিনি হাই হিল অসাধারণ একটা জিনিস তৈরি করেছেন আপু। আমার মেয়ে তো দেখলে বলবে মামনি আমাকে এ রকম একটা হাই হিল কিনে দাও।দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে আপু। বোঝা যাচ্ছে না যে গ্লিটার পেপার দিয়ে তৈরি করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর ডাি পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমার মিনি হাই হিল তৈরির ধাপ গুলো দেখে আপনার মেয়েকে একটি বানিয়ে দিতে পারেন । মেয়ে বাচ্চা খুব পছন্দ করবে এই পেলে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই গ্লিটার পেপার দিয়ে এত সুন্দর মিনি হাই হিল তৈরি করা যায় এটা আগে জানতাম না। একেবারে চমৎকারভাবে জুতোটি তৈরি করলেন। আপনার বাচ্চারা তো মনে হয় জুতোটি দেখে খুবই খুশি হয়ে গেল। বিশেষ করে জুতোটি যদি পরা যেত তাহলে আমি বলতাম আমার জন্য পাঠিয়ে দিতেন। আমার কাছে বিশেষ করে গোলাপি কালার আর নীল কালার দিয়ে তৈরি করাটা অনেক ভালো লাগলো। ভাবতেছি মার্কেটে গিয়ে এরকম এক জোড়া জুতা খুঁজবো এবার। আমার খুবই পছন্দ হয়েছে জুতাটি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
না আপু আমার বাচ্চারা এই হিল দেখে খুব একটা খুশি হয়নি। কারণ মেয়েদের হিল। ছোট ছেলেকে তো দেখানোই যায় না। দেখলে ছবি তোলার আগেই নষ্ট করে রেখে দেয়। হা হা। বাজারে গিয়ে খুঁজে দেখতে পারেন। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই জুতাটি সত্যি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। আমার তো খুবই পছন্দ হয়েছে। আর জুতাটি তৈরি করতে যে আপনার অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে জিনিসটি দারুন হয়েছে।
ভাইয়া আপনার বিয়েতে দাওয়াত দিয়েন। ভাবির জন্য বড় করে একটি বানিয়ে নিয়ে যাব।( মজা করলাম ভাইয়া)। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু ইউনিক জিনিস বানাতে আমারও অনেক ভালো লাগে। তবে ইউনিক কোন জিনিস খুঁজে বের করে বানাতে গেলে আসলেই অবস্থা টাইট হয়ে যায়। আপনার এই মিনি জুতাটি দেখতে কিন্তু অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। মনে হচ্ছে সত্যি কারের একটি জুতো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি বানাতে আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে। আপনার বানানোটা সার্থক হয়েছে চমৎকার লাগলো আমার কাছে জুতাটি।
এই মিনি জুতাটি বানাতে গিয়ে খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। বেশ কয়েকবার ভেবেছিলাম যে আর বানাবো না। পরে ভাবলাম যে এত দূর যেহেতু বানিয়েছি কষ্ট হলেও শেষ করবোই। যাই হোক শেষে সুন্দর হয়েছে দেখে মনটা ভরে গিয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
ইউনিক মানুষজনই ইউনিক কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক 😊। তবে সত্যি বলছি এই হিলটা আপনি বলেই বানানো সম্ভব হয়েছে। এত ধৈর্য কয়জনের মাঝে আছে সেটা বলা বেশ মুশকিল। কষ্ট করেছেন বলেই ফলটা এত মিষ্টি হয়েছে। অসম্ভব সুন্দর লাগছে মিনি হাই হিলটি। দূর থেকে দেখলে একদম সত্যি কারের হিলই লাগবে তো মনে হয়।
ইউনিক মানুষই ইউনিক মানুষদের খুঁজে পায়। আসলেই ভাইয়া এগুলো বানাতে অনেক বেশি ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। ধন্যবাদ সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।