ছেলেকে স্কুলে দিয়ে পূর্বাচলে খাওয়া দাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এখন প্রতিদিন সকাল বেলায় ছোট ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। এই শীতের মধ্যে বাচ্চাদেরকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া খুবই কষ্টকর। বাচ্চারা তারপরও খুবই উৎসাহ নিয়ে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যায়। আমারই লেপের মধ্যে থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। সেদিন এত বেশি কুয়াশা ছিল যে আর যেতে ইচ্ছা করছিল না। বড় ছেলে তারপরও জোর করে স্কুলে গেলো। ছোট ছেলেও কান্নাকাটি করছিল। ওকে আর পাঠাইনি। স্কুলে গিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকলে অনেকের সঙ্গে গল্প করতে করতে বেশ ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। যদিও আমার পূর্ব পরিচিত বেশ কয়েকজন এই স্কুলে আছে জন্য খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। গল্প করতে করতে সময় পার হয়ে যায়। যাদের সঙ্গে বসি তারা প্রায় বাচ্চাদেরকে রেখে আশেপাশের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। আমার ছেলের স্কুল পূর্বাচলের ঐদিকে। ঐদিকে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যেগুলোর খাবার খুব ভালো। বিশেষ করে হাঁসের মাংস খুব নামকরা। তাই হঠাৎ এক ভাবি বলল যে হাঁসের মাংস এবং খিচুড়ি খাওয়ার জন্য নিয়ে যাবে। উনি খাওয়ানোর জন্য খুব জোরাজুরি করছিলো। পরে সবাই মিলে চলে গেলাম খেতে। যদিও আমার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। ছোট ছেলে নতুন স্কুলে যাচ্ছে যদি কোন কারনে ক্লাস থেকে বের হয়ে আমাকে খোঁজে। কিন্তু ভাবিদের জন্য যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।
আমরা ৯ জন ছিলাম জন্য দুটি অটো ঠিক করলাম। অটো করে প্রায় ২০ মিনিটের মত লেগেছিল রেস্টুরেন্টে যেতে। পূর্বাচলের গোল চত্বরের ওইখানে রেস্টুরেন্টটি। রেস্টুরেন্টের নামও বেশি সুন্দর জয় বাংলা রেস্টুরেন্ট।
যেহেতু সাড়ে দশটায় বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হয়ে যায় সেজন্য আমরা দেরি না করে গিয়েই তাড়াতাড়ি করে খাবার অর্ডার দিয়ে দিলাম খিচুড়ি আর হাঁসের মাংস। রেস্টুরেন্টটি বর্তমান রেস্টুরেন্ট এর মত এত হাইফাই ডেকোরেশন করা না। নরমাল রেস্টুরেন্ট কিন্তু এদের খাবার খুবই মজাদার ছিল। যেমন মজার হাঁসের মাংস তেমন মজা খিচুড়ি ছিল। সাথে ধনিয়া পাতা এবং শসা দিয়ে খুব সুন্দর সালাদ তৈরি করে দিয়েছিল।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে জানতে পারলাম যে ভাবি আমাদেরকে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে গিয়েছিল কয়েকদিন আগে ওনার জন্মদিন ছিল। তাই সবাই মিলে ফেরার সময় আর এফ এল এর শোরুমে গিয়ে ওনার জন্য কিছু গিফট কিনে দিলাম। স্কুলে আসার পর বাচ্চাদের ছুটি হয়ে গেল। ঠিক সময় মত খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। তা না হলে তো ছুটি শেষে বাচ্চাদেরকে বসে থাকতে হতো।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনার আজকের এই পোস্ট যখন পড়তে আসলাম তবে শুরুতেই হাইওয়ের ফাঁকা দৃশ্য দেখে আশ্চর্য হলাম যেখানে বাংলাদেশে ট্রাফিক জ্যামের এত ভিড় থাকে। রেস্টুরেন্ট এর নামটা চমৎকার তবে রেস্টুরেন্ট ফাঁকা লাগছে। যাই হোক সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন 9 জন মানুষ বিশ মিনিটের পথ অতিক্রম করে সেখানে পৌঁছেছেন। এরপর সুন্দর খাওয়া-দাওয়া, ভালো লাগলো বিস্তারিত জেনে।
এটি পূর্বাচলের অনেকটা ভিতরে এজন্য রাস্তা একদমই ফাঁকা ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
এর আগেও একবার এক রেস্টুরেন্টের হাঁসের মাংসের রেসিপি নিয়ে পোস্ট করেছিলেন যাইহোক খিচুড়ির সাথে হাঁসের মাংস খেয়েছেন আর সেটা বলতে গেলে জন্মদিনের ট্রিট আকারে পেয়েছেন। তবে যেহেতু সেই ভাবীর জন্মদিন ছিল তাই আবার তার জন্য কিছু গিফট কিনেছেন। সব মিলিয়ে সুন্দর সময়টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া এর আগেও একদিন হাঁসের মাংস খেতে গিয়েছিলাম। আরো একদিন খেতে গিয়েছি। সেই গল্প পরে শেয়ার করব। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে বসে থাকলে অনেকের সাথেই জানাশোনা হয়।আর আপনার যেহেতু পূর্ব পরিচিত ২/৩ জন ছিল।এটা এক দিক দিয়ে ভালোই হয়েছে।আর বোরিং লাগবে না।এক ভাবী আপনাদের জোর করে রেস্টুরেন্টে নিয়ে ভুনা খিচুড়ি আর হাঁসের মাংস খাইয়েছিল।আবার সাথে সালাদ ও ছিল।দোকানটি ছোট খাটো হলেও খাওয়ার মান ভালো। খাওয়া-দাওয়ার পর সেই ভাবীকে গিফট দিতে আর এফ এল এ গেলেন।গিফট করে স্কুলে চলে গেলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু পূর্ব পরিচিত দু একজন থাকার কারণেই প্রথম দিকে গিয়ে খুব একটা কষ্ট হয়নি। বেশ ভালো সময় কাটছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সকালের সময়টাতে তো আমাদেরও ঘুম থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয়, বাচ্চাদের কথা কি বলবো আপু। যাইহোক, আপনারা "জয় বাংলা রেস্টুরেন্টে" গিয়ে যে খিচুড়ি আর হাঁসের মাংস খেলেন, তা দেখে তো লোভ লেগে গেল আমাদের। আপনার এক ভাবীর বার্থডে ট্রিটে, বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া হলো যা দেখছি।
আর এফ এল এর শোরুমে গিয়ে ভাবীকে কি গিফট কিনে দিলেন? সেটা তো বললেন না আপু!
আরএফএল এর শোরুমে গিয়ে ভাবিকে বড় একটি মার্বেলকোটেড প্যান কিনে দিয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এটাই জানার ছিল আপু। মার্বেলকোটেড প্যান গুলো অনেক সুন্দর দেখতে হয় কিন্তু ।
ছেলেকে স্কুলে রেখে ভাবিদের সঙ্গে গিয়ে বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখছি। অনেক সময় রেস্টুরেন্ট বা হোটেল জাঁকজমক না হলেও খাবারের মান খুবই ভালো হয়। হাঁসেরর মাংস দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। ধন্যবাদ আপু খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
পূর্বাঞ্চলের ঐদিককার সবগুলো রেস্টুরেন্টই এরকম খুব সিম্পল ভাবে ডেকোরেশন করা। কিন্তু এখনকার খাবার খুব জনপ্রিয়।